বাথরুম ও শৌচালয় একসঙ্গে? জীবন হয়ে উঠবে বিষময়! জানুন...

 


ODD বাংলা ডেস্ক: জীবনকে সুখ-সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ করা তোলার জন্য প্রয়োজন শুভ ও ইতিবাচক শক্তির। বাস্তু শাস্ত্র এই ইতিবাচক শক্তির বৃদ্ধির নানান উপায় সম্পর্কে জানিয়ে থাকে। বাস্তু দোষের কারণে বাড়িতে নেতিবাচক ও অশুভ শক্তির প্রভাব বৃদ্ধি পায়। এই প্রভাবকে কী ভাবে দূর করা যায়, তার পথ দেখায় বাস্তু শাস্ত্র। বাস্তু শাস্ত্রে প্রতিটি দিকের একটি পৃথক গুরুত্ব রয়েছে। রান্নাঘর, ঠাকুরঘর, শয়নকক্ষ, শৌচালয় তৈরির জন্য নির্দিষ্ট দিক ও স্থান নির্ধারিত রয়েছে। কোনও ব্যক্তির জীবনে সমস্যার আনাগোনা লেগে থাকলে এটি সরাসরি বাস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত থাকতে পারে। বাস্তু শাস্ত্রে গৃহ নির্মাণ সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য প্রদান করা হয়েছে, যা পালন করলে অশুভ শক্তিকে দূর করে, সুখে জীবন কাটানো যেতে পারে। বাস্তু শাস্ত্রে এমনই কিছু ব্যাখ্যা দেওয়া রয়েছে বাথরুম ও শৌচালয় তৈরি সম্পর্কেও। বাথরুম ও শৌচালয় তৈরির সময় বাস্তুর বিষয়য়টিকে গুরুত্ব না-দিলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন।


শৌচালয় ও স্নানকক্ষ বা বাথরুম


বর্তমানে ঘর-বাড়ির আকার বদলে গিয়েছে। এখন ছোট ছোট ঘরই বেশি চোখে পড়ে। তাই শৌচালয় ও বাথরুম এক সঙ্গে তৈরি করা হয়। আবার কিছু ঘরে শৌচালয় ও বাথরুম শয়নকক্ষের মধ্যেই থাকে। তবে বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী এটি একটি বাস্তু দোষ। এর ফলে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় পরিবারের সদস্যদের। পরিবারে কলহ দেখা দেয়। এমনকি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেও মনোমালিন্য থাকে।


শৌচালয় ও বাথরুম এক সঙ্গে বানানো উচিত নয় কেন


বাথরুমকে চন্দ্রের স্থান মনে করা হয়। আবার শৌচালয় রাহুর স্থান হিসেবে বিবেচ্য। বাথরুম ও শৌচালয় এক সঙ্গে তৈরি করার অর্থ, রাহু ও চন্দ্রকে একসঙ্গে রাখা। রাহু ও চন্দ্র একে অপরের চরম শত্রু। প্রচলিত ধর্মীয় ধারণা অনুযায়ী, রাহুর কারণে চন্দ্রে গ্রহণ লাগে। তাই বাথরুম ও শৌচালয় একসঙ্গে নির্মাণ করলে চন্দ্র দোষের সম্ভাবনা থেকে যায় এবং পুরো ঘর দূষিত হয়ে পড়ে। এর ফলে একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় ওই পরিবারের সদস্যদের।



বিষ ও অমৃত


শাস্ত্রে চন্দ্রকে অমৃত ও রাহুকে বিষ মনে করা হয়। বাথরুম ও শৌচালয় একসঙ্গে থাকার অর্থ, বিষ ও অমৃতের যুতি। বিপরীত ধর্মী এই বস্তু এক সঙ্গে থাকলে পরিবারের সদস্যদের এর দুষ্পরিণাম ভোগ করতে হতে পারে। বাথরুম ও শৌচালয় একই সঙ্গে তৈরি করলে বাস্তু নিয়ম ভঙ্গ হয়। এর ফলে পরিবারে অশুভ শক্তির প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। এমনকি পরিবারে বিভেদ দেখা দেয়। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা কমতে থাকে। এর পরিবর্তে প্রত্যেকের মনে একে অপরের প্রতি দ্বেষ ও ঈর্ষা জন্ম নেয়।


বাথরুম ও শৌচালয়ের সঠিক দিক


বাস্তু অনুযায়ী নৈঋত্য কোণ, অর্থাৎ দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে শৌচালয় বানানো উচিত। আবার স্নানকক্ষ হোক পূর্ব দিকে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.