মানসিক রোগে আক্রান্ত মহিলাদের হতে পারে জরায়ু ক্যান্সারে, গবেষণায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

 


ODD বাংলা ডেস্ক: একের পর এক কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। এই সকল রোগ তালিকায় যেমন আছে হার্ট, কিডনির সমস্যা তেমনই অনেকের শরীরে বাসা বাঁধছে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ। বর্তমানে এই ক্যান্সার নিয়ে উঠে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। দ্য ল্যানসেট পাবলিক হেলথ-এ প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে, মানসিক অসুস্থতা, নিউরোসাইকিয়াট্রিক সমস্যায় ভুগছেন যারা তারা আক্রান্ত হতে পারেন জরায়ু ক্যান্সারে। এক নয়, একাধিক বার ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়ে গিয়েছে।


বিশেষজ্ঞদের মতে, মহিলাদের যোনি থেকে জরায়ুর প্রবেশ পথে বিকাশ লাভ করে জরায়ু ক্যান্সার। হু-র মতে, ৯৯ শতাংশ সার্ভিকাল ক্যান্সারের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, এই রোগ ছড়ায় প্যাপিলোমা ভাইরাস থেকে। এটি যৌন যোগাযোগের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। ২০১৮ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী আনুমানি ৫৭০,০০০ মহিলারা সার্ভিকাল ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। তেমনই ৩১১০০০ জন মহিলার এই রোগে মারা গিয়েছেন।


মানসিক রোগে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এই রোগের প্রবণতা বেশি দেখা গিয়েছে। ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের রিসার্চার কারিন সান্ডস্ট্রোম বলেন, ‘মানসিক রোগে আক্রান্ত নারীদের নিয়মিত গাইনোকোলজিকাল স্ক্রিনিং করা প্রয়োজন। এতে সঠিক সময় রোগ ধরা পড়ে। মানসিক রোগে আক্রান্ত মহিলাদের মধ্যে সব থেকে বেশি ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে।’ তিনি বলেন, সকলের এই রোগের ক্ষেত্রে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।


সুস্থ থাকতে নির্দিষ্ট বয়সের পর স্ক্রিনিং করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। ক্যান্সার রোধ করতে তা সঠিক সময় নির্ণয় করা প্রয়োজন। ধূমপান, হরমোনজনিত গর্ভনিরোধক এবং যৌনবাহি রোগ হতে পারে ক্যান্সারের কারণ। তাই সুস্থ থাকতে বজায় রাখতে হবে সঠিক জীবনধারা।


এদিকে, ২০২০ সালের মে মাসের আগে হু মহিলাদের স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে সার্ভিকাল ক্যান্সার নির্মূল করার জন্য একটি বিশ্বব্যাপী কৌশল অনুমোদন করেছিল। কৌশলটি হল, মহিলাদের ৩৫ বছর বয়সের আগে অন্তত একবার এবং ৪৫ বছর বয়সের আগে দুবার স্ক্রীনিং করা দরকার। এতে শরীরে কোনও কঠিন রোগ বাসা বাঁধলে তা সঠিক সময় নির্নয় করা যাবে। তাই মেনে চলুন এই মত। সুস্থ থাকতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুসারে চলুন। এতে কঠিন রোগ থেকে পেতে পারেন মুক্তি। আর অবশ্যই নির্দিষ্ট বয়সের পর স্ক্রীনিং করান। এতে কোনও রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করলে তা সঠিক সময় ধরা পড়বে। সঠিক চিকিৎসার দ্বারা পাবেন মুক্তি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.