স্বামীকে বলবেন না এই ৩ গোপন কথা, আগুন লাগবে সংসারে! সাবধান করছেন চাণক্য
ODD বাংলা ডেস্ক: প্রথম মৌর্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন চাণক্য। কূটনীতিতে তাঁর বিশেষ দক্ষতার কারণে তাঁকে কৌটিল্যও বলা হত। প্রাচীণ ভারতের এই বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অর্থশাস্ত্র নামে একটি গ্রন্থ রচনা করেন। এছাড়া জীবনের কোন ক্ষেত্রে কী করা উচিত এবং কী করা উচিত নয়, সেই বিষয়ে তাঁর রচিত চাণক্য নীতি গ্রন্থে উল্লেখযোগ্য পরামর্শ পাওয়া যায়। আজ আমরা জেনে নেব সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য কী উপদেশ দিয়েছেন চাণক্য।
সংসার জীবনে স্বামী ও স্ত্রী পরস্পরের পরিপূরক। সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য দুজনের সক্রিয় ভূমিকা বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তবে চাণক্য বলেছেন যে কয়েকটি গোপন কথা স্ত্রীদের কখনোই তাঁদের স্বামীদের বলা উচিত নয়। এই কথাগুলি স্ত্রীরা স্বামীদের বলে দিলে সংসারে নানা অশান্তি দেখা দিতে পারে।
স্ত্রীরা কোন কোন কথা স্বামীদের ভুলেও বলবেন না?
* চাণক্য বলেছেন যে বিয়ের পর শাশুড়ি ও শ্বশুরবাড়ির কারোর সম্পর্কে কোনও নিন্দে বা সমালোচনা স্ত্রীদের তাঁদের স্বামীদের কাছে করা উচিত নয়। এতে তাঁদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হতে পারে।
* দান করা অত্যন্ত পূণ্যের কাজ। কিন্তু দান করার পূণ্যফল তখনই পাওয়া যায়, যদি সেই দানের কথা আর কেউ না জানে। আপনি যদি দান করে সবাইকে সেই কথা বলে বেড়ান, তাহলে সেই দান করার কোনও মানে হয় না। তাই স্ত্রী যদি কাউকে কিছু দান করেন, স্বামীকে সেই বিষয়ে নেহাত প্রয়োজন না পড়লে কিছু না জানানোই ভালো।
* চাণক্যের পরামর্শ অনুসারে স্ত্রীর উচিত স্বামীর উপার্জনের একটা অংশ সরিয়ে রাখা এবং স্বামীকেও সেই বিষয়ে কিছু না জানানো। ভবিষ্যতে আর্থিক কষ্ট দেখা দিলে তখন সেই টাকা বের করে দিন। কিছু টাকা কাউকে না জানিয়ে সরিয়ে রাখলে তা প্রয়োজনের সময় কাজে লাগে।
সুখী দাম্পত্যের জন্য কী করবেন?
* স্ত্রী বা স্বামী, কারোরই অন্যজনকে আর কারোর সঙ্গে তুলনা করা উচিত নয়। এর ফলে স্বামী বা স্ত্রী-কে অপমান করা হয় ও আঘাত দেওয়া হয় এবং সংসারে অশান্তি বাধতে পারে।
* চাণক্যের পরামর্শ অনুসারে স্বামী বা স্ত্রী উভয়ের পরস্পরের সঙ্গে নম্র ভাবে কথা বলা উচিত। একজন অন্যজনের সঙ্গে রুক্ষ ব্যবহার করলে সেই সংসারে কখনও সুখ ও শান্তি থাকতে পারে না। নম্র ব্যবহার রাগ ও মন কষাকষি অনেকটা দূর করে দিতে পারে।
* দাম্পত্য জীবনে রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন চাণক্য। রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে সেই বিবাহিত জীবন সুখের হয় না। কারণ রাগের সময় আমরা ভালো ও মন্দের মধ্যে পার্থক্য করতে পারি না।
Post a Comment