পড়তে বসলেই কেন ঘুম আসে

 


ODD বাংলা ডেস্ক: পড়তে বসলেই যেন রাজ্যের ক্লান্তি যেন ভর করে শরীরে। কিছুক্ষণের মধ্যে ঘুমও হাজির হয়। অনেকেই হয়তো ভাবেন, কাল থেকে পড়া শুরু করবেন, অনেকক্ষণ পড়বেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পর দেখা যায় পড়বেন তো দূরের কথা, আপনিই বইয়ের উপরে ঘুমিয়ে পড়েছেন। ফলে আগামীকাল আপনাকে নিশ্চিত ক্লাসে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে, নয়তো পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হবে।

গবেষণা বলছে, আমরা যখন পড়তে শুরু করি তখন চোখ সবসময় বইয়ের পাতার দিকে নিবদ্ধ রাখতে হয়। প্রতি মুহূর্তে চোখকে বাম থেকে ডানে এবং ডান থেকে বামে ঘোরাতে হয়। মস্তিষ্কে শব্দ, বাক্য কিংবা অনুচ্ছেদগুলো জমা রাখতে হয়। শব্দগুলোর অর্থ অনুধাবন করতে হয়। পাঠ্যপুস্তক পড়ার সময় এই বাড়তি চাপগুলো একটি চ্যালেঞ্জ। এভাবে কার্য সম্পাদন করতে গিয়ে মস্তিষ্ক দ্রুত হাঁপিয়ে ওঠে। তখন চোখ ও মস্তিষ্ক উভয়েরই বিশ্রামের প্রয়োজন পড়ে। তাইতো ধীরে ধীরে চোখের পাতা ভারি হয়ে আসে এবং মস্তিষ্কে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধ হতে থাকে।


আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, অনেকেই পড়ার সময় একটি আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করে নিতে চায়। কেউ শুয়ে শুয়ে পড়ে নয়তো বিশ্রামের ভঙ্গিতে শরীর এলিয়ে দিয়ে পড়ে। তখন এমন আরামদায়ক পরিস্থিতিতে মস্তিষ্ক ধরেই নেয় এখন সময় কেবল বিশ্রামের। ফলে ঘুমিয়ে পড়ে।


এই ঘুমের কারণে অনেকের গোটা ক্যারিয়ার বরবাদ হয়ে যাচ্ছে। পরদিন পরীক্ষা, এখনো সিলেবাসের অর্ধেক বাকি। অথচ ঘুমের কারণে পড়া শেষ করা সম্ভব হলো না। এভাবেই সব তালগোল পাকিয়ে পরীক্ষার হলে গুটিয়ে বসে থাকে।


এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তির উপায়-


বিছানায় নয়, চেয়ারে বসে পড়ুন।


জোরে জোরে পড়ুন।


পড়ার পাশাপাশি লিখবেন। এতে পড়া যেমন ভালো মনে থাকবে , ঘুমকেও তাড়ানো যাবে সহজে।


অনেক আলো আছে এমন রুমে পড়তে বসুন।


গ্রুপ স্টাডি করুন।


চা-কফি পান করুন।


পড়ার আগে বা পড়ার সময় ভারী খাবার বর্জন করুন। ভারি খাবার শরীরে অলসতা আনে।


আর্লি টু বেড, আর্লি টু রাইজ মেনে চলুন।


পড়ার মাঝে জল পান করুন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.