শরীর সুস্থ রাখতে অবশ্যই মেনে চলুন এই বাস্তু টিপস

 


ODD বাংলা ডেস্ক:  সুস্থ শরীরই সুস্থ মস্তিষ্ক গড়ে তুলতে পারে। শরীর সুস্থ থাকলে সমস্ত স্বপ্ন পূরণ করা যায়। এর বিপরীতে স্বাস্থ্য ভালো না-থাকলে প্রতি পদে সমস্যায় পড়তে হয়। নানান দুশ্চিন্তা ঘিরে থাকে জীবনে। সুস্থ থাকার জন্য ব্যক্তি খাওয়া-দাওয়ার যত্ন নেওয়া থেকে শুরু করে ব্যায়াম করা ইত্যাদি নানান কাজ করে থাকে। এর পাশাপাশি বাস্তু শাস্ত্রেও এমন কিছু উপায় সম্পর্কে জানানো রয়েছে, যা ব্যক্তির উন্নত স্বাস্থ্য লাভের স্বপ্ন পূরণ করে। ছোটখাটো ভুলের কারণে বাস্তুদোষ সৃষ্টি হয় যার নেতিবাচক প্রভাব জীবনের ওপর পড়ে থাকে। যে পরিবারের সদস্যরা বার বার অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাঁদের নিজের বাড়ির বাস্তু দোষ দূর করা উচিত। এখানে এমন কিছু বাস্তু টিপস দেওয়া রইল যার সাহায্যে নিজের স্বাস্থ্য উন্নত করতে পারবেন—


১. বাস্তু মতে শয়নকক্ষে কখনও পুরনো ও অপ্রয়োজনীয় জিনিস একত্রিত করবেন না। কারণ এর ফলে ঘরে নেতিবাচক শক্তির সঞ্চার হয়। যা ভাইরাস ও ব্যাক্টিরিয়াজনিত রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।


২. শয়নকক্ষ বদ্ধ হওয়া উচিত নয়। আবার বিছানার সামনে আয়না রাখাও উচিত নয়। এমন হলে ওই পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য দুর্বল থাকতে পারে। শয়নকক্ষে দেবী, দেবতার ছবি লাগাবেন না।


৩. বাড়ির প্রবেশদ্বারের সামনে গর্ত বা কাদা থাকলে পরিজনদের মানসিক রোগ হতে পারে। অবসাদ ঘিরে থাকে তাঁদের। প্রবেশদ্বারের সামনে গর্ত থাকলে তাতে মাটি ভরে দিন। আবার লক্ষ্য রাখবেন যাতে প্রবেশ দ্বারের সামনে নোংরা, আবর্জনা না-থাকে।


৪. খেতে বসলে মুখ যেন পূর্ব বা উত্তর দিকে থাকে। এর ফলে হজম শক্তি ভালো হবে এবং ব্যক্তি সুস্থ থাকবে।


৫. বাড়ির সামনে কোনও বড় গাছ বা পোস্ট থাকলে এবং তাঁর ছায়া যদি বাড়ির ওপর পড়ে তা হলে তা-ও বাস্তুদোষের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই দোষ দূর করার জন্য বাড়ির প্রবেশদ্বারে স্বস্তিক চিহ্ন বানানো উচিত।


৬. বাড়ির আগ্নেয় কোণ অর্থাৎ দক্ষিণ-পূর্ব কোণে নিয়মিত লাল রঙের বাল্ব বা লাল মোমবাতি জ্বালালে পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।


৭. সকালে ঘুম থেকে উঠে কিছিু ক্ষণের জন্য দরজা-জানালা খুলে দিন। সূর্যরশ্মি স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। এর ফলে ব্যক্টিরিয়া ও জীবণু নষ্ট হয়। তবে বেলা ১১টার পর থেকে সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির প্রভাব বৃদ্ধি পায়। এই রশ্মি চর্মরোগ ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই বাস্তু মতে, দুপুরের সময় বাড়ির দক্ষিণ দিকের দরজা, জানালায় পর্দা দিয়ে রাখা উচিত। গাঢ় রঙের ভারী পর্দা লাগাবেন।


৮. ঘুমানোর সময়ও বাস্তু নিয়ম মেনে না-চললে সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঘুমানোর সময় মাথা উত্তর ও পা দক্ষিণে রেখে ঘুমানো উচিত নয়। এর ফলে মাথাব্যথা, অনিদ্রার মতো সমস্যা দেখা দেয়। ঘুমানোর দিক মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর গভীর প্রভাব বিস্তার করে।


৯. পরিবারে কোনও গর্ভবতী মহিলা থাকলে তাঁদের শয়নকক্ষ দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে হওয়া উচিত। উত্তর-পূর্ব বা ঈশান কোণের শয়ন কক্ষে গর্ভবতী স্ত্রীদের না-থাকাই ভালো। কারণ এ দিকে শয়নকক্ষ থাকলে গর্ভাশয়ের সমস্যা, এমনকি গর্ভপাতও হতে পারে। আবার সদ্যজাত শিশুদের জন্য পূর্ব বা উত্তর-পূর্বের ঘরই উত্তম মনে করা হয়। ঘুমানোর সময় শিশুদের মাথা পূর্ব দিকে রাখা উচিত। এই দিকে দেবতাদের বাস। শিশুর বিকাশে এই দিক সাহায্য করে।


১০. আবার বাস্তু মতে উচ্চরক্তচাপের রোগীদের দক্ষিণ-পূর্বের শয়নকক্ষে থাকা উচিত নয়। এটি আগ্নেয় কোণ। এখানে অগ্নির প্রভাব থাকে। তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা এই দিকে বাস করলে তাঁদের সমস্যা বাড়তে পারে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.