রাতে কুকুরের কান্না কি সত্যিই কারোর মৃত্যুর ইঙ্গিত দেয়? জানুন এর আসল ব্যাখ্যা



 ODD বাংলা ডেস্ক: আমাদের সমাজে এমন অনেক ধারণা প্রচলিত আছে, যা কেউ কেউ বিশ্বাস করেন, আবার কেউ কেউ বিশ্বাস করেন না। যাঁরা এই ধারণাগুলি বিশ্বাস করেন না, তাঁরা একে কুসংস্কার বলে থাকেন। কিন্তু কেন এই ধরনের বিশ্বাস যুগ যুগ ধরে মানুষের মনে বাসা বেধে আছে, তা বেশিরভাগ মানুষের কাছেই অজানা। এরকমই একটি প্রচলিত বিশ্বাস কুকুরের কান্নার সঙ্গে জড়িয়ে।


রাতের বেলা কুকুর কাঁদলে তা অশুভ বলে মনে করা হয়। যে বাড়ির সামনে বসে রাতে কুকুরে কাঁদে, সেই বাড়িতে শিগগিরই কারোর মৃত্যু হতে চলেছে বলে আশঙ্কা করা হয়। সেই কারণে রাতে বাড়ির সামনে কুকুর কাঁদলে তখনই তাকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এই ধারণা কেন মানুষের মনে তৈরি হয়েছে? জেনে নিন এর পেছনের বৈজ্ঞানিক কারণটা কী।


সনাতন ধর্মে অনেক ঘটনাকেই শুভ বা অশুভ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু কোনও কিছু যেমন চোখ বুজে বিশ্বাস করা উচিত নয়, তেমনই কিছু না জেনে অবিশ্বাসও করা উচিত নয়। চোখ কান খোলা রেখে সবদিক বিচার করে নেওয়া জরুরি।


কুকুর কেন রাতে কাঁদে?


গ্রামের দিকে রাতে কুকুর বা বেড়ালের কান্না খুবই সাধারণ ব্যাপার। তবে শহরে রাতে কুকুর বা বেড়ালের কান্না অত্যন্ত অশুভ হিসেবে মনে করা হয়। বাড়ির বড়রা বলে থাকেন যে রাতে বাড়ির বাইরে কুকুর কাঁদলে কারোর মৃত্যু হতে পারে। তাই রাতে কুকুর কাঁদলে তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় এবং সবকিছু ঠিক রাখতে ভগবানের কাছে প্রার্থনা করা হয়। তবে এর পেছনের আসল কারণটা জানলে আমরা আর কুকুরের কান্নাকে ভয় পাব না।


আসলে আমরা যাকে কুকুরের কান্না বলে মনে করি, তা আসলে মোটেও কুকুরের কান্না নয়। রাতের বেলা ওই রকম সুরে ডেকে কুকুর তার সঙ্গীকে বার্তা পাঠানোর চেষ্টা করে। যাতে সেই আওয়াজ শুনে তার সঙ্গী রাতে তার কাছে আসতে পারে। তবে কুকুরটি কোনও কারণে চোট আঘাত পেয়ে থাকলেও সে ওই রকম সুরে ডাকতে পারে। মনে রাখবেন কুকুরও কিন্তু মানুষের মতো একা বোধ করতে পারে। সেই সময় সে সুর করে সঙ্গীকে ডাকে, যাকে আমরা কুকুরের কান্না বলে ভুল করি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.