কলকাতা সম্পর্কে ১০টি অবাক করা তথ্য, যা আবারও তিলোত্তমার প্রেমে পড়তে আপনাকে বাধ্য করবে

 


ODD বাংলা ডেস্ক: বিশ্বের বৃহত্তম গাছ


বিশ্বের সবথেকে বড় বটগাছ  রয়েছে হাওড়ায়। কলকাতারই পশ্চিমপ্রাপ্তে, গঙ্গানদীর পাড়ে।  বোটানিক্যাল গ্যার্ডেনে রয়েছে বিশ্বের সবথেকে পুরনো আর বড় বটগাছ। এটির বয়স ২৫০রও বেশি। এই গাছ নিয়ে একটি মজায় ঘটনা রয়েছে, অনেকেই জানতে চান এর আসল গুঁড়ি কোনটি। কারণ ঝুরি দিয়েই ঘেরা গোটা এলাকা। 

 

বই পাড়া


কলকাতা মানেই বইপ্রেমিদের স্বর্গ। এখানেই রয়েছে দেশের সেকেন্ডহ্যান্ড বইয়ের সবথেকে বড় বাজার। বিশ্বে অবশ্যই দ্বিতীয়। সারা বছরই এখানে বই কেনা বেচা হয়।  জাতীয় গ্রন্থাগার দেশের বৃহত্তম ও প্রাচীনতম গ্রন্থাগারও রয়েছে এই শহরে।


লন্ডনের পরে কলকাতা

 

একটা সময় কলকাতাই ছিল ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী। ইতিহাস বলছে এই শহরই ছিল সেই সময় ব্রিটিশদের কাছে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর।  কলকাতা থেকেই দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলি শাসন করত ব্রিটিশরা। 


দেশের প্রাচীনতম চিড়িয়াখানা


রয়েল বেঙ্গল টাইগার থেকে সিংহ এমনকি গন্ডার, জলহস্তী সবই রয়েছে দেশের প্রাচীনতম চিড়িয়াখানায়। আলিপুর জু তৈরি হয়েছিল ১৮৭৫ সালে। 

 

ইডেন গার্ডেন


বিশ্বের দ্বিতীয় প্রাচীনতম ক্রিকেট ও ফুটবল মাঠ। কলকাতার নামের সঙ্গে জডিয়ে রয়েছে ফুটবল আর ক্রিকেট। খেলা পাগল বাঙালি। এই শহরেই গর্ব ইডেন গার্ডেনস। এটি বিশ্বের দ্বিতীয় প্রাচীনতম মাঠ। অন্যদিকে এই শহরেই রয়েছে সল্টলেক স্টিডিয়াম বা যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন। যা বসার দিক থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম। 

 

ট্রাম


এশিয়ার প্রাচীনতম ট্রাম লাইন রয়েছে কলকাতায়। তৈরি হয়েছিল ১০০২ সালে। ট্রামের ব্যবহার অনেক কমেছে। কিন্তু এখনও রয়েছে। নতুন ভাবে এসি ট্রামও চালান হয় বর্তমানে। এই শহরে একটা সময় হাতে টানা রিকশা দেখা যেত। আজ তা বাতিলের খাতায়। 

 

খিদিরপুর পোর্ট


ভারতের প্রাচীন বন্দরগুলির মধ্যে অন্যতম খিদিরপুর পোর্ট রয়েছে এই শহরে। একটা সময় এই বন্দর ছিল ব্রিটিশ বাণিজ্যের প্রাণ কেন্দ্র। 

 

বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়াম


কলকাতা সর্বদা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রচার করেছে এবং শহরটি কলকাতা থেকে কিছু বিখ্যাত বিজ্ঞানীকে আসতে দেখেছে। এখন, আমাদের কাছে এশিয়ার বৃহত্তম প্ল্যানেটেরিয়াম রয়েছে যা বিড়লা প্ল্যানেটেরিয়াম নামে পরিচিত এবং এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তমও হতে পারে। ১৯৬৩ সালে এটি তৈরি হয়েছে। 

 

বিশ্বের প্রাচীনতম পোলে ক্লাব


পোলো বিশ্বে বর্তমানে ভারতের নাম তেমন নেই। কিন্তু বিশ্বের প্রথম পোলো ক্লাব তৈরি হয়েছিল এই শহরেই। ১৮৫৮ সালে ব্রিটিশরা তৈরি করেছিল। খেলাটি জনপ্রিয় করার জন্য এই শহরে এসেছেন সেই সময়ের নামিদামি খোলোয়াড়। 


গ্রেট ইসটার্ন হোটেল


রুডইয়ার্ড কিপলি তাঁর বইতে গ্রেট ইস্টার্ন হোটেলকে প্রাচ্যের জুয়েল বলে চিহ্নিত করেছেন। এটি  এশিয়ার প্রথম হোটেল যা সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। যদিও গ্র্যান্ড হোটেল তৈরি হয়েছিল ১৮৪১ সালে। সেই সময় বিখ্যাত ব্যক্তিরা সেখানেই উঠতেন। কিন্তু গ্রেট ইস্টার্ন ছিল সকলের জন্য 

 

গলি থেকে রাজপথ

এই শহরের গলি থেকে রাজপথ নানান ইতিহাস নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। যা আজও শুধু ভারতীয় নয় বিশ্বের অনেক মানুষকেই টেনে নিয়ে আসে। কথায় আছে মুম্বই কখনই ঘুমায় না। তাহলে কলকাতা কিন্তু কখনই ক্লান্ত হয় না। কলকাতায় আনন্দ শেষ হয় না। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.