শিশু দুধ খেতে চায় না? বিকল্প হিসেবে কী খাওয়াবেন

 


ODD বাংলা ডেস্ক: হাড় ও দাঁত ঠিকমতো যাতে বেড়ে ওঠে সেজন্য ক্যালসিয়াম প্রয়োজন। ছোট থেকেই দেহের অধিকাংশ ক্যালসিয়ামই হাড়ে সঞ্চিত হয়। এ কারণে প্রতিদিনের ডায়েটে এমন খাবার রাখতে হয় যা থেকে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। ঠিকমতো ক্যালসিয়াম দেহে না এলে ভবিষ্যতে হাড়ের ক্ষয়ের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।


ছোটবেলা এবং বয়স সন্ধিক্ষণের শুরুতে অর্থাৎ বেড়ে ওঠার সময় হাড়ের গঠনের জন্য় ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি হয়। যত বয়স বাড়ে ক্যালসিয়াম সঞ্চয়ের ক্ষমতা তত কমতে থাকে। ছোটবেলায় এই ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি থাকে। এ কারণে সেই সময় ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার ডায়েটে রাখতেই হয়।


দুধ ক্যালসিয়ামের জন্য সবচেয়ে সহজলভ্য এবং নির্ভরযোগ্য উৎস। কিন্তু অনেক শিশুই দুধ খেতে চায় না। অনেকের আবার দুধ ও দুধজাতীয় খাবারে অ্য়ালার্জি থাকে। সেই কারণে বাধ্য হয়েই এড়িয়ে যেতে হয় দুধ। এমন হলে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম পেতে অন্য খাবারে ভরসা করতে হয়। যেমন-


কালো তিল: মসলা হিসেবে কালো তিল পরিচিত। বিভিন্ন রান্নায় এর ব্যবহার রয়েছে। নাড়ু ও নানারকমের মিষ্টি তৈরিতেও এটি কাজে লাগে । এই কালো তিল ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস। এছাড়াও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স রয়েছে এখানে। কালো তিলের তৈরি খাবার দেওয়া যেেত পারে পরিবারের ছোট সদস্যদের।


ডিম: যারা আমিষ খান, তাদের জন্য ক্য়ালসিয়ামের অত্যন্ত ভালো উৎস ডিম। বিশেষ করে ছোটবেলা এবং বেড়ে ওঠার সময়ে পুষ্টির প্রয়োজনে নিয়মিত ডিম খাওয়া ভালো।


ডালজাতীয় শস্য: বিভিন্ন ডালজাতীয় শস্য ক্যালসিয়ামের পর্যাপ্ত উৎস।


বাদাম: বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং মুগ অবশ্যই ডায়েটে রাখতে হবে। সঙ্গে খেজুরও রাখতে পারেন। আখরোট, আমন্ড, খেজুর, মুগ থেকে প্রোটিনের পাশাপাশি যথেষ্ট পরিমাণে ক্যালসিয়ামও পাওয়া যায়। ছোট থেকেই শিশুদের নিয়মিত এগুলো দিতে পারেন।


শাকসবজি: ব্রকলি, পালং শাক, মেথি, মুলার শাক থেকে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। পুদিনা ও ধনের চাটনি দিতে পারেন শিশুদের।


দই: অনেক সময় দুধ থেকে সমস্যা হয়, কিন্তু দই-তে সমস্যা থাকে না। সেক্ষেত্রে শিশুদের টক দই খাওয়াতে পারেন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এবং পেট ভালো রাখতে দইয়ের জুড়ি নেই।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.