কানাডার মানুষেরা ছারপোকায় অতিষ্ঠ

 


ODD বাংলা ডেস্ক: কানাডায়ও ছারপোকার অত্যাচার চলে! কথাটা বলে অনেকের চোখ কপালে উঠে যাওয়াই স্বাভাবিক। নির্মল প্রকৃতি ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধার মিশেলে এই শহর পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয়। সারি সারি সুউচ্চ ভবন যেন মেট্রোপলিটন এ শহরের আভিজাত্যের প্রতীক। আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে, দেশটির বেশ কয়েকটি শহরে ছারপোকার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন নগরবাসী।


কানাডার যেসব শহরে সবচেয়ে বেশি ছারপোকার বিস্তার রয়েছে, তার একটি তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। তালিকায় শীর্ষে আছে টরন্টোর নাম। পর পর তিন বছর ধরে এই তালিকায় শুরুতে অবস্থান করছে টরন্টো। খবর সিটিভি নিউজ, সিপি-২৪ এর।


তালিকাটি প্রকাশ করেছে অরকিন কানাডা নামের একটি প্রতিষ্ঠান। কীটপতঙ্গ দূর করার সেবা দেয় প্রতিষ্ঠানটি। সবচেয়ে বেশি ছারপোকা রয়েছে, এমন শহরের তালিকা প্রতিবছর প্রকাশ করে অরকিন কানাডা। গত মঙ্গলবার ২০২২ সালের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।


ছারপোকা প্রতিরোধে সবচেয়ে বেশি বিজ্ঞাপন প্রচারিত হয়েছে ও চিকিৎসা নিয়েছেন, এমন মানুষের সংখ্যা বিবেচনায় নিয়ে ২৫টি শহরকে এবারের তালিকায় রেখেছে অরকিন কানাডা। তালিকায় টানা তিন বছর ধরে শীর্ষে রয়েছে টরন্টো।


টরন্টোর পরের অবস্থানে আছে যথাক্রমে ভ্যাঙ্কুভার, সাডব্যারি, ওশাওয়া ও অটোয়া। শীর্ষ দশের অন্য পাঁচটি শহর যথাক্রমে স্কারব্রট, সল্ট স্টে. মেরি, লন্ডন (অন্টারিও), সেন্ট জনস ও হ্যামিলটন। প্রথম ১০টি শহরের আটটিই অন্টারিও রাজ্যের। তালিকায় আরও রয়েছে বড় শহর উইনিপেগ, মন্ট্রিল, উইন্ডসর, ক্যালগেরির নামও।


অরকিন কানাডার কীটতত্ত্ববিদ অ্যালিস সিনিয়া বলেন, ছারপোকাগুলো খালি চোখে দেখা যায়। তবে এগুলো দ্রুত লুকিয়ে পড়তে পারে। এদের নিয়ন্ত্রণ করা বেশ কঠিন।


অ্যালিস সিনিয়া আরো বলেন, শুধু বাড়িতে বিছানার কোনায় কোনায় নয়, বরং ট্যাক্সি, বাস, ট্রেন, উড়োজাহাজেও ছারপোকা রয়েছে। মানুষ যখন ভ্রমণ করেন, তখন তাদের সঙ্গে এগুলোও এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। ছারপোকা থেকে মুক্তির উপায় সচেতনতা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.