টক দই খাওয়ার সঠিক সময়

 


ODD বাংলা ডেস্ক: স্বাস্থ্য-সচেতন মানুষের মধ্যে টক দই খাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। পুষ্টিবিদরাও টক দই খাওয়ার পরামর্শ দিযে থাকেন। টক দইয়ের গুণের শেষ নেই। প্রোবায়োটিক উপাদান-সমৃদ্ধ দই ভেতর থেকে যত্ন নেয় শরীরের। দইয়ে রয়েছে কিছু উপকারী ব্যাক্টেরিয়া, যেগুলো শরীরে থাকা কিছু ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়াকে মেরে ফেলে। সেই সঙ্গে প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে।

দইয়ে রয়েছে ভিটামিন এ, বি৬, বি ফ্যাট, ক্যালশিয়াম, ফসফরাসের-সহ নানা পুষ্টিকর উপাদান। টক দই শরীরের টক্সিন জমতে দেয় না। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও টক দইয়ের জুড়ি মেলা ভার। তবে টক দইয়ের সব উপকারিতা পেতে হলে এটি খাওয়ার সময়ও কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। টক দই খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। জেনে নিন।


রাতে দই খাবেন না: অনেকেই রাতে খাওয়ার পাতে রায়তা খান। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, রাতে টক দই এড়িয়ে চলাই ভালো। এর ফলে শরীরে মিউকাসের জন্ম হয়। তার ফলে বিভিন্ন সংক্রমণের মূলে থাকে এই ধরনের মিউকাস। এই সংক্রমণের ফলে শ্বাস নিতে সমস্যা হওয়া, নাকের মধ্যে অস্বস্তি, আর্থরাইটিসের ঝুঁকি বাড়ে।


দইয়ের সঙ্গে চিনি: ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই টক দইয়ের সঙ্গে চিনি খান না। পুষ্টিবিদদের মতে, চিনি না খাওয়ার সিদ্ধান্ত একেবারে ঠিক। কিন্তু দই খাওয়ার ক্ষেত্রে নিয়মে খানিক বদল আনলে ভালো। শুধু টক দই খেলে অম্বল হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই চিনি খেতে না চাইলেও মধু, গুড় মিশিয়ে নিতে পারেন। এছাড়া অল্প লবণ, গোলমরিচ গুঁড়া, দারচিনিও মিশিয়ে নিতে পারেন।


প্রতিদিন না খাওয়াই ভালো: টক দই নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর। তবে পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিন দই না খাওয়াই ভালো। একদিন পর পর টক দই খাওয়া জরুরি। তাতে ভালো থাকে শরীর। রোজ টক দই খেলে মিউকাস সংক্রমণের আশঙ্কা কমে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.