কোরিয়ায় কঠোর পরিশ্রম করি, ৭০ বছর আগে এখানে কিছুই ছিল না: বিটিএসের আরএম

 


ODD বাংলা ডেস্ক: স্পেনের বিলবাও শহরে ভক্তদের উচ্ছ্বাস দেখে দারুণ অবাক হয়েছিলেন ২৮ বছর বয়সী কিম নাম-জুন। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে জন্ম নেওয়া 'আরএম' নামে পরিচিত এই র‍্যাপার জানান, "আমি ভেবেছিলাম পৃথিবীর আরেক প্রান্তের এক ছোট শহরে আমাকে তেমন কেউই চিনবে না...।" আরএম পরিচিত তার কে-পপ বয় ব্যান্ড দল বিটিএসের লিডার হিসেবে, যারা গত ১০ বছরে সারাবিশ্বের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে একের পর এক রেকর্ড ভেঙেছে।


গত গ্রীষ্মে দলটির সাত সদস্য অস্থায়ীভাবে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, এর কারণ দলের সদস্য কিম সক-জিন বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে দেশটির সামরিক বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন, বাকিরা নিজস্ব সোলো প্রজেক্টে কাজ করবেন। 'আর্মি' হিসেবে পরিচিত ব্যান্ডটির ভক্তরাও (যাদের ইন্সটাগ্রাম ফলোয়ার ৭২ মিলিয়ন) আগ্রহভরে অপেক্ষা করছেন আবার কবে তারা একসাথে হবেন, ধারণা করা হচ্ছে ২০২৫ সালেই সেটি ঘটবে। আরএমও জানিয়েছেন তিনিও একত্র হওয়ার ব্যাপারে আগ্রহভরে দিন কাটাচ্ছেন।  


ডিসেম্বরে বের হওয়া নিজের ইন্ডিগো অ্যালবামের প্রমোশনসহ গুগেনহাইম, প্রাডো, বার্সেলোনার পিকাসো ফাউন্ডেশনসহ স্পেনের নানা দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখতে দেশটিতে এসেছেন তিনি। "আমি প্রচুর [ফ্রান্সিস্কো] গয়া দেখেছি, এল গ্রেকো দেখে অবাক হয়েছি, তবে আমি লাস মেনিনাসের মধ্যেই ডুবে আছি," বলেন তিনি।


এই তরুণ অ্যামেচার শিল্প সংগ্রাহকের অ্যালবামটির প্রথম ট্র্যাকের নামই ইয়ুন, যেটির নামকরণ করা হয়েছে কোরীয় চিত্রকর ইয়ুন হিয়ং-কিউনের নামানুসারে। আরএম তার অনুভূতি নিয়ে বলেন, "তাকে এশিয়ান রথকো নামে ডাকা হয়, তবে তার জীবন নিয়ে আমি আরও বেশি আগ্রহী। তিনি জাপানের [কোরিয়া] আক্রমণের সময় দেখেছেন যুদ্ধ, তাকে সরকারের হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে, কিন্তু তিনি কখনোই হাল ছেড়ে দেননি। আমি তার কাজের মধ্যে দেখতে পাই রাগ, দুঃখ, জটিলতা, সৌন্দর্য..."


এলপাইস'কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের অ্যালবাম ও কে-পপ নিয়ে বিস্তারিত বলেছেন বিশ্বখ্যাত এই তারকা।  


আপনার গানের শুরুটাই হয়েছে এভাবে, "I'm a turn back the time/Far to when I was nine/When things were only good or bad/ I think I was more of a human." কে-পপের এই অসাধারণ সাফল্য কি শিল্পীকে বি-মানবিক (Dehumanize) করে ফেলে? 


এখানে ক্যারিয়ার শুরুই হয় খুব অল্প বয়সে, আর তা শুরু হয় কোনো দলের সদস্য হিসেবে। কোনো একক ব্যক্তি হিসেবে গড়ে ওঠার সময় এখানে তেমন পাওয়া যায় না, অবশ্য এটাই কে-পপকে এত আকর্ষণীয় করে তুলেছে। একেবারেই তরুণ কয়েকজন একত্র হয়ে চেষ্টা করছে দারুণ কিছু করার।


আপনি দিন-রাত এক করে ফেলছেন কোরিওগ্রাফি, ভিডিও আর মিউজিককে নিখুঁত করার জন্য। এবং তারপরই বিগ ব্যাং! জীবনের টুয়েন্টিজে আমরা সবাই শ্রম আর সময় দিয়েছি বিটিএসকে নিয়ে। আপনি সাফল্য পেয়েছেন, ভালোবাসা পেয়েছেন, পেয়েছেন ক্ষমতা। এরপর কী? তবে সবকিছুর মূলে হলো ঐ মিউজিকই...প্রশ্নটা যেন কী ছিল? 


কে-পপ কি বিমানবিক?


আমি যেভাবে এই প্রশ্নের উত্তর দেবো, তা হয়তো আমার কোম্পানি পছন্দ করবে না, কারণ আমি এর কিছুটা হলেও স্বীকার করি। এটি শুনে সাংবাদিকেরা লাফিয়ে উঠে বলবে যে: "এটা এক ভয়ানক ব্যবস্থা, এটা তরুণদেরকে ধ্বংস করে দেয়!"


কিন্তু এই ইন্ডাস্ট্রিকে বিশেষ করে তোলার পেছনে এই অংশরও কিছুটা অবদান আছে। এবং পুরো ব্যবস্থাটিই দিনদিন আরও ভালো হয়ে উঠছে, হোক সেটি চুক্তি, অর্থ, শিক্ষা। এখন সেখানে শিক্ষক, কাউন্সিলর আর মনোরোগ বিশেষজ্ঞরাও যুক্ত হয়েছেন। 


কোরিয়ান রেকর্ড লেবেল কোম্পানিগুলো [যারা পরিচিত এন্টারটেইনমেন্ট এজেন্সি নামে] বহু বছর ধরে তরুণ শিল্পীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। আপনি ১৬ থেকে ১৯ বছর বয়স পর্যন্ত আপনার সহযোগীদের সাথে একসাথে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, সময় কাটিয়েছেন- ২০১৩ সালে বিটিএসের হয়ে অভিষেক হওয়ার আগ পর্যন্ত। আপনার বাবা-মা এ বিষয়ে কী বলতেন?


আমার মা দুই বছর ধরে আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, "স্কুলে ফিরে যাও, তুমি তো কত ভালো ছাত্র ছিলে। কলেজে যাও, মিউজিককে স্রেফ একটা শখ হিসেবে রাখো!" কিন্তু আমি ফিরে যাইনি। 


প্রশিক্ষণের সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোন জিনিসটি আপনি শিখেছেন? 


আমার মনে হয় নাচ, কারণ এর আগে আমি নাচতে পারতাম না। 


আর প্রশিক্ষণের জন্য কোন জিনিসটি আপনি সবচেয়ে বেশি মিস করেছেন বলে মনে করেন?


আমি সত্যিই কলেজে যেতে চেয়েছিলাম, ক্যাম্পাসের জীবন [উপভোগ করতে চেয়েছিলাম]। 


কে-পপে যে তারুণ্যের জয়গান, সবকিছু নিখুঁত করা... এগুলো কি সাধারণ কোরিয়ানদের বৈশিষ্ট্য? 


পশ্চিমের লোকেরা সহজে এই জিনিসটি বুঝতে পারে না। কোরিয়া এমন এক দেশ যেটি দখলের শিকার হয়েছে, ধূলিসাৎ করে দেওয়া হয়েছে, দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে। মাত্র সত্তর বছর আগেও কোরিয়া কিছুই ছিল না। আমরা আইএমএফ আর জাতিসংঘের সাহায্যে চলতাম। কিন্তু এখন সারা বিশ্ব আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। এটা কীভাবে সম্ভব হলো? কীভাবে এটা ঘটলো? এর কারণ এখানকার মানুষ তাদের জীবনকে আরও ভালো করার জন্য ক্রমাগত চেষ্টা করে যাচ্ছে।


আপনি ফ্রান্স অথবা ব্রিটেনের লোকের কাছে যান, যারা কয়েক শতাব্দী ধরে অন্য দেশ দখল করে রেখেছেন, তারা আমার কাছে এসে বলে, "তোমরা নিজেদের ওপর এত চাপ নেও! কোরিয়ার জীবন প্রচণ্ড চাপের!" হ্যাঁ, এখানে এভাবেই কাজ করতে হয়। আর এটা অন্যতম এক বিষয় যেটা কে-পপকে এত বেশি আকর্ষণীয় করে তুলেছে। অবশ্যই এর অন্ধকার দিক রয়েছে। এত দ্রুত আর এত গভীরভাবে যেহেতু পরিবর্তন হচ্ছে, এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকবেই।


কে-পপ নিয়ে সবচেয়ে বড় ভুল ধারণা কী?


এটা নকল, বানোয়াট। 


যদি আপনি অন্য কোনো দেশে ক্যারিয়ার গড়তেন অথবা ইন্ডি মিউজিকের দিকে যেতেন তাহলে আপনার ক্যারিয়ার কোনদিকে যেত?


আমি প্রায়ই মাল্টিভার্সের কথা ভাবি, আর ডক্টর স্ট্রেঞ্জের শিক্ষা সবক্ষেত্রেই কাজ করে: আপনার ইউনিভার্সের সংস্করণটিই সবচেয়ে সেরা, অন্য ইউনিভার্সে কী হচ্ছে তা নিয়ে ভাবার দরকার নেই। বিটিএসের সদস্য হওয়ার চেয়ে ভালো আর কিছু হতে পারে না। 


আপনি এখন যেখানে আছেন, এই অবস্থানে থাকার কথা কখনো কল্পনা করেছেন?


একেবারেই না। আমি কখনোই একজন কে-পপ আইডল হওয়ার স্বপ্ন দেখিনি। আমি র‍্যাপার হতে চেয়েছি, আর তার আগে একজন কবি। 


নাস কিংবা এমিনেমের মতো র‍্যাপার কিংবা রেডিওহেড বা পর্টিসহেডের মতো দলগুলোর প্রভাব আপনার ওপর প্রভাব রয়েছে বলে স্বীকার করেন। কিন্তু আপনি কখনোই কোনো বয় ব্যান্ডের নাম বলেন না...


বিটলসকেও কিন্তু বয় ব্যান্ড বলা হতো। আমি তাদের সাথে নিজেদের তুলনা করছি না। তারা সবকিছুর স্রষ্টা। আপনি হয়তো নিউ কিডোস বা এনএসওয়াইএনসি-এর মতো দলগুলোর কথা বোঝাচ্ছেন। এই ব্যান্ডগুলোর পপ মিউজিক আমার ভালো লাগে, কিন্তু আমি ঠিক ওরকম ভক্ত নই। আমার যা ভালো লাগে তা হলো র‍্যাপ: রিদম আর পোয়েট্রি।


আপনি বলেছেন যাদেরকে আপনি শ্রদ্ধা করেন, তাদের ওপর আপনি ঈর্ষাবোধও করেন। এখন কার ওপর ঈর্ষাবোধ করছেন?


কেন্ড্রিক লামার, সবসময়ই। আর ফারেল উইলিয়ামস। উনি একজন জীবন্ত ইতিহাস। আমি ওনার মতো হতে চাই, হয়তো ভবিষ্যতে হবোও। আর এ কারণেই আমি ছবি আঁকি না, কারণ পিকাসো কিংবা মোনের মতো হতে চাওয়া খুব বেশি কিছু হয়ে যাবে। 


আপনি চিত্রকর্মও সংগ্রহ করেন। কোনগুলো সংগ্রহ করবেন তা কীভাবে ঠিক করেন? 


আমি মাত্র চার বছর ধরে সংগ্রহ করা শুরু করেছি, আর এটা সময়ে সময়ে পরিবর্তনও হয়েছে। আমার ফোকাস হলো বিংশ শতাব্দীর কোরিয়ান আর্ট। কিন্তু আমি গেটি বা রকফেলার নই… 


আপনি নিশ্চয়ই বিনিয়োগ হিসেবে এগুলো কেনেন না?


আমি একশ ভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারি যে এগুলো কোনো বিনিয়োগ না। যদি আমি বিনিয়োগ করতে চাইতাম তাহলে কৃষ্ণাঙ্গ শিল্পী, নারী আর উঠতি ইন্দোনেশীয় শিল্পীদের চিত্রকর্ম কিনতাম।


আমার লক্ষ্য হলো আগামী দশ বছরের মধ্যে একটি ছোট প্রদর্শনীর জায়গা তৈরি করা, কারণ আমার মনে হয় সিউলের এমন একটি জায়গা প্রয়োজন যেখানে কোরিয়ান তরুণদের রুচি প্রতিফলিত হবে, যেটি একইসাথে কোরিয়ার ঐতিহ্যকেও ফুটিয়ে তুলবে। 


আপনি কি সবসময়েই একজন সংগ্রাহক ছিলেন?


আমি এর আগে তাকাশি মুরাকামির ফিগার [ছোট পুতুল], পুরনো কাপড়, ফার্নিচার এসব সংগ্রহ করেছি।


আপনার অ্যালবামে বিভিন্ন জনরার গান রয়েছে। কেউ কেউ একে সঙ্গতিবিহীন বলছে, কেউ কেউ আবার একে ভার্স্যাটাইল বলছে... 


আমার মনে হয় আর কয়েক দশকের মধ্যেই 'জনরা' শব্দটি হারিয়ে যাবে। আরঅ্যান্ডবি, হাইপারপপ, জার্সি ক্লাব, ইউকে ড্রিল, শিকাগো ড্রিল, কে-পপ! এগুলোর কোনোটিরই কোনো অর্থ নেই। মিউজিক হলো এমন তরঙ্গ, এমন ফ্রিকোয়েন্সি যেগুলো মানুষকে এক বিশেষ ধরনের মুডে নিয়ে যায়। 


আপনি কি 'কে-পপ' লেবেলের মধ্যে আটকে থাকায় বিরক্ত?


আমাদের সবাইকে স্পটিফাই কে-পপ বলে অভিহিত করেছে দেখে বিরক্ত হওয়াই যায়। তবে এটা ভালো যে এটা একটা প্রিমিয়াম লেবেল।


আপনার গানগুলোতে আপনি ইংরেজি আর কোরিয়ান ভাষা মিশিয়ে বাক্য ব্যবহার করেন। মাঝেমধ্যে একই বাক্যে দুই ভাষাই ব্যবহার করেন। কোন ভাষা কোথায় ব্যবহার করতে হবে সেটি কিভাবে ঠিক করেন?


ভিন্ন ভাষার শব্দগুলোর টেক্সচার আলাদা। হয়তো সেগুলোর অর্থ একই, কিন্তু একটু ভিন্নতা রয়েছেই। এটা আমার মধ্যে স্বাভাবিকভাবে চলে আসে। আমি কোনো বাদ্যযন্ত্র বাজাই না, আমি গান লিখি আর কণ্ঠ দিয়ে মেলোডি বানাই, এটাই আমার বাদ্যযন্ত্র। আর আমার গানগুলোর সবগুলো শুরু হয় কথা দিয়েই। 


আপনি বেশ কয়েকবার আপনার পরিচয় পরিবর্তন করেছেন। কিশোর বয়সে আপনি পরিচিত ছিলেন রাঞ্চ রান্ডা নামে। তারপর বিটিএসে আপনি পরিচিত র‍্যাপ মন্সটার নামে, আর এখন আরএম নামে। আপনি কি কখনো নিজের আসল নাম ব্যবহার করার কথা ভেবেছেন? 


[হাসতে হাসতে] আমাদের সবারই একটা অতীত থাকে। কোরিয়ায় আমরা একে অন্ধকার অতীত বলি। এক রোল-প্লেয়িং গেম খেলার সময় আমার নাম ছিল রাঞ্চ রান্ডা, আর ওখান থেকেই এই নামটা আসে। আমি ঐটাই হতে চাইতাম। তারপর আমি হতে চাইলাম একজন 'র‍্যাপ মন্সটার'!


তারপর আমি আরেকটু ম্যাচিওর হলাম। আমি চেষ্টা করি আমার আসল নাম যত কম মানুষকে জানাতে। জন লেনন কিংবা পল ম্যাককার্টনি না আমি। আমি যেকোনো হোটেলে গিয়ে চেক-ইন করবো, আর তারা আমার ব্যাপারে মাথাই ঘামাবে না, এমনটাই আমি চাই। 


আপনার পোশাকেও বেশ পরিবর্তন এসেছে...


আমি আমার পোশাকে বেশ কয়েকবার পরিবর্তন এনেছি। প্রথমে বড় আকারে টি-শার্ট আর বেজবল ক্যাপ পরেছি। তারপর আমি বড় বড় ব্র্যান্ডের পোশাক পরেছি। তারপর র‍্যাপ মন্সটার হিসেবে আমি কেবল সাদা আর কালো রঙের কাপড় পরেছি।


তবে এখন আমি টাইমলেস ফ্যাশনের দিকে ঝুঁকেছি। আমি ট্রেন্ড অনুসরণ করা বাদ দিয়েছি। আমি এখন পুরনো দিনের জিনস পরি, কটন টি-শার্ট পরি, প্রাকৃতিক জিনিস পরি, যেগুলো জানান দেয় না যে "আরএম এখানে।"


আপনি কিছুদিন আগেই মিলানে বোত্তেগা ভেনেতার ফ্যাশন শোতে আমন্ত্রিত হলেন। এবং গুজব শোনা যাচ্ছে যে আপনি এই ব্র্যান্ডের সাথে কাজ করবেন... 


এটা হলে আমি সত্যিই খুশি হতাম। যদিও আমি ব্র্যান্ড আর ফ্যাশন শোয়ের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। তবে বোত্তেগা ভিন্ন। তারা কোনো লোগো ব্যবহার করে না, এমনকি তাদের ইন্সটাগ্রামও নেই। তারা এসবের ঊর্ধ্বে। 


বিশাল এই 'আর্মি' থাকা কি ঝামেলার? 


আপনি খ্যাতি পেয়েছেন আর কোথাও যাওয়ার পর আপনাকে কেউ চিনবে না, তা হয় না। আপনাকে এটা মানিয়ে নেওয়া শিখতে হবে। আপনি নিজের ওপর করুণা করে বলতে পারবেন না, "ওহ, আমি সাধারণ কেউ হতে চাই।"


যদি আপনি খ্যাতিকে পাথর মনে করেন, তাহলে এটা একটা পাথর। আর আপনি যদি একে ভালোবাসা আর ক্ষমতা মনে করেন, তাহলে তা সেটাই। আমি এর মাধ্যমে যা চেয়েছি তা-ই পেয়েছি। 


ত্রিশ বছর বয়সে পৌঁছাবেন, এ নিয়ে কী ভাবছেন?


আমি কখনোই এরকম এক বিভ্রান্তিকর সময়ের মধ্যে দিয়ে যাইনি। এক দশক ধরে আমি বিটিএসের লিডার ছিলাম, এবং এটা খুবই স্থিতিশীল ছিল, সবকিছু কেবল ভালোর দিকেই যাচ্ছিলো।


২০২৩ সালে এসে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে, পেশাগত দিক থেকেও আবার ব্যক্তিগতভাবেও। যদিও আমি ঠিক বলে বোঝাতে পারবো না। আমি ত্রিশের দোড়গোড়ায়। আমি এখন নিজেকে আরও বেশি পছন্দ করি, বিশ বছর বয়সের যখন ছিলাম তারচেয়েও বেশি।


এখন আমি দেড় বছর সামরিক বাহিনীতে কাটাবো, যেটা প্রত্যেক কোরিয়ান পুরুষের জীবনের এক বিশাল মুহূর্ত। আমি নিশ্চিত যে আমি এরপর একজন ভিন্ন মানুষ হবো, আশা করি আরও ভালো আর আরও পরিপূর্ণ একজন হবো।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.