এই ৫ কারণে পিঠে চাপ ও ব্যথার সমস্যা দেখা দেয়, এই লক্ষণগুলি দেখলে অবিলম্বে চিকিত্সা করুন

 


ODD বাংলা ডেস্ক: খারাপ জীবনধারার কারণে পিঠে ব্যথা বা স্ট্রেন আজকের যুগে খুবই সাধারণ ব্যাপার। যারা ঠিকমতো বসেন না মানে তাদের বসার ভঙ্গি ঠিক নয়। সাধারণত, এই ধরনের লোকেরাও কোমর ব্যথার গুরুতর সমস্যায় দু-চারটি হতে থাকে। এ ছাড়া একটানা শুয়ে থাকা এবং শারীরিক কাজকর্ম ঠিক না হলে কোমর ব্যথার সমস্যা হয়ে যায়। কখনও কখনও ভুল উপায়ে ব্যায়াম করা বা সঠিকভাবে যোগব্যায়াম না করাও ব্যাকপেইন সৃষ্টি করে। এই ব্যাকপেইন এবং পেশীর স্ট্রেন এতটাই বেদনাদায়ক যে একজন ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবন সম্পূর্ণভাবে ব্যাহত হয়। এ ছাড়াও আরও কিছু কারণ রয়েছে। তাদের জানাও জরুরি।


পিঠে ব্যথা এবং স্ট্রেন কেন হয়?


এর পেছনে প্রধানত ৫টি কারণ রয়েছে। প্রথমটি লিগামেন্টে কোনও ধরনের স্ট্রেনের কারণে, দ্বিতীয়টি হাড়ে কোনও ধরনের সংক্রমণের কারণে, তৃতীয় কোন ধরনের টিউমার তৈরির কারণে, চতুর্থটি স্নায়ু সংক্রান্ত কোনও সমস্যার কারণে, পঞ্চম কোনও ধরনের সমস্যার কারণে। স্পাইনাল কার্ডে মচকে যাওয়া এবং ব্যথা অনুভব করা যেতে পারে।


এর উপসর্গ-


ব্যথার সঙ্গে জ্বরও আসছে, অবসাদ রয়ে গিয়েছে, ঘাড় থেকে হাত ও পায়ে ব্যথা শুরু হওয়া, ঘাড় বা পিঠে ব্যথার কারণে ওজন কমে যাওয়া, শুয়ে থাকা অবস্থায়ও ব্যথা অনুভূত হওয়া, হাত-পায়ে দুর্বলতা ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।


এইভাবে ঘরোয়া প্রতিকার করুন


এর জন্য কিছু প্রাথমিক ঘরোয়া প্রতিকার করা যেতে পারে। যদি পিঠে ব্যথা তৈরি হয়, তাহলে হালকা গরম ফোমেন্টেশন করতে পারেন। উষ্ণ মলম ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনি ফোলা কমাতে ট্যাবলেট বা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি জেল প্রয়োগ করতে পারেন। এর জন্য ফিজিওথেরাপি দেখানো যেতে পারে। ক্রমাগত সমস্যা বাড়তে থাকলে থেমে না গিয়ে ডাক্তার দেখাতে হবে।


শুধু ব্যথার ওষুধ খাওয়া যাবে না-


ব্যথার সমস্যা চলতে থাকলে শুধু পেইন কিলার ওষুধ খাওয়া করবেন না। পেইন কিলার ওষুধের প্রভাব যতক্ষণ থাকবে ততক্ষণ ব্যথা বন্ধ হবে। এর পরে এটি পুনরায় চালু হবে। পেইন কিলার খাওয়া কিডনির জন্য মারাত্মক হতে পারে। সেজন্য শুধু পেইন কিলার চালিয়ে যাবেন না, অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.