ভাগ্যে চমক ফেরাতে চাইলে বাড়িতে পশু-পাখি রাখুন বাস্তু মেনে
ODD বাংলা ডেস্ক: পশু বা পাখি পোষার শখ থাকে অনেকেরই। অধিকাংশ লোকেরাই কুকুর পুষতে ভালোবাসেন, কেউ কেউ আবার বেড়াল পুষে থাকেন। তেমনই এমন কিছু ব্যক্তিও আছেন, যাঁরা বাড়িতে মাছের অ্যাকোয়েরিয়াম রাখেন। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী বাড়িতে পশু রাখলে সুখ-সমৃদ্ধি লাভ করা যায়। এর ফলে বাড়িতে ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার হয়। বাড়িতে কোন কোন পশু রাখা শুভ জেনে নিন—
১. কুকুরকে সবচেয়ে বিশ্বস্ত পশু বলা হয়ে থাকে। অধিকাংশ ব্যক্তি নানান প্রজাতির কুকুর পুষতে ভালোবাসেন। তবে কালো রঙের কুকুর পোষা অধিক শুভ। জ্যোতিষ অনুযায়ী কারও কোষ্ঠিতে শনি দুর্বল বা পীড়িত অবস্থায় থাকলে কালো কুকুরকে খাবার খাওয়ানো উচিত। এর ফলে শনি মজবুত হয়।
২. হিন্দু ধর্মে ঘোড়াকে ঐশ্বর্যের প্রতীক মনে করা হয়। জ্যোতিষ অনুযায়ী ঘোড়া পোষাও শুভ। কারণ এর প্রভাবে কখনও অর্থাভাব দেখা দেবে না।
৩. আবার পাখি শখ থাকলে টিয়া পুষতে পারেন। মনে করা হয় টিয়া যে কোনও সমস্যার আঁচ করে মালিককে সে সম্পর্কে সতর্ক করতে পারে।
৪. খরগোশ পোষাও জ্যোতিষ মতে শুভ। এর প্রভাবে বাড়িতে সুখ-সমৃদ্ধির আগমন ঘটে। এমনকি বাড়ির পরিবেশও শান্ত থাকে। তবে খরগোশ কখনও একা পুষতে নেই, সবসময় জোড়ায় পোষা উচিত।
৫. অ্যাকোয়েরিয়ামে নানান রঙের মাছ রাখতে ভালোবাসেন অনেকেই। জ্যোতিষ মতে বাড়িতে মাছ রাখাও শুভ। এর ফলে নেতিবাচক শক্তি দূর হয় এবং সুখ-শান্তির বাস হয়। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী মাছ পরিবারে আগত সংকট নিজের ওপর নিয়ে নিতে পারে।
ভাগ্যে চমক ফেরাতে চাইলে বাড়িতে পশু-পাখি রাখুন বাস্তু মেনে
৬. হিন্দু ধর্মে গরুকে অত্যন্ত পবিত্র মনে করা হয়। গরু রাখলে বাড়িতে কোনও সমস্যা তো আসেই না, উপরন্তু ইতিবাচক শক্তিও বজায় থাকে।
৭. সাদা ইঁদুরকে গণেশের প্রতীক মনে করা হয়। এর ফলে বাড়িতে ইতিবাচক শক্তি এবং সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি হয়।
৮. জ্যোতিষ অনুযায়ী বাড়িতে কচ্ছপ রাখাও শুভ। কচ্ছপ বিষ্ণুর দশাবতারের মধ্যে অন্যতম। তাই কচ্ছপকে লক্ষ্মীর প্রতিনিধি হিসেবে গণ্য করা হয়। বাড়িতে কচ্ছপ রাখলে কখনও অর্থাভাব হয় না। বাড়িতে তামার কচ্ছপ রাখলে সমৃদ্ধির আগমন ঘটে।
৯. বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী আসল অথবা যে কোনও ধাতুর তৈরি ব্যাঙ বাড়িতে রাখলে ইতিবাচক শক্তির উৎস সৃষ্টি করা যায়। ব্যাঙ বাড়ির সদস্যদের নানান রোগ থেকে দূরে রাখে।
Post a Comment