ঘুমের সময় বালিশের নীচে হাতঘড়ি রাখেন? বাস্তু বলছে সামনে বিপদ!
ODD বাংলা ডেস্ক: যদিও সময় জানার জন্য হাতঘড়ির উপর আমরা অনেকেই নির্ভরশীল নই। মুঠোফোন দেখেই সময়ের নির্ভুস হিসেব রাখতে পারি। তবু হাতঘড়ি শুধু সময় দেখার জন্য তো নয়, এটা আমাদের স্টাইল স্টেটমেন্টও বটে। তাই দরকার থাক বা না থাক, কবজিতে একটা ঘড়ি পরে থাকতে আমরা অনেকেই পছন্দ করি।
আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা প্রায় সারা দিনই ঘড়ি পরে থাকেন। স্নান ও রাতে ঘুমনোর সময়টুকু ছাড়া ঘড়ি এরা কাছছাড়া করেন না। রাতে ঘুমনোর সময় ঘড়ি খুলে বালিশের নীচে রেখে দেওয়ার অভ্যেস অনেকেরই রয়েছে। কিন্তু বাস্তুশাস্ত্র এই অভ্যেস অনুমোদন করছে না। এর ফলে জীবনে অশুভ প্রভাব পড়তে পারে বলে জানাচ্ছে বাস্তুশাস্ত্র। জেনে নিন বালিশের নীচে ঘড়ি রেখে ঘুমোতে গেলে কী কী ক্ষতি হতে পারে।
* ঘুমের সময় বালিশের নীচে ঘড়ি থাকলে তা ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। ফলে এই অভ্যেস যাঁদের থাকে, তাঁদের বেশিরভাগ সময়ই সাউন্ড স্লিপ হয় না।
* ঘুম ঠিকমতো না হওয়ার কারণে স্বাস্থ্যে তার প্রভাব পড়তে পারে। দীর্ঘদিন ঠিকতো ঘুম না হলে আপনার শরীরের নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।
* ঘুম ঠিকমতো না হলে শুধু শরীরে যে তার প্রভাব পড়ে তা নয়। এর গভীর প্রভাব পড়তে পারে মনেও। ঘুম ঠিকমতো না হলে অনেকে খিটখিটে হয় যান, মনঃসংযোগের অভাব দেখা দেয়।
* ঘড়ি থেকে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ নির্গত হয়। ঘুমের সময় এই ইলেকট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ আমাদের শরীরে প্রবেশ করলে তা হার্টের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
* ইলেকট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গের প্রভাবে গোটা বেডরুমেই নেগেটিভ এনার্জির পরিমাণ বেড়ে যায়। এই নেগেটিভ এনার্জি পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি করে এবং শান্তি বিঘ্নিত করে।
* মনে শান্তি না থাকলে জীবনে সাফল্য লাভ করা কঠিন হয়ে যায়। কারণ অশান্ত মন কখনোই কোনও বিষয়ে মনঃসংযোগ করতে পারে না।
* ইলেকট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গের প্রভাবে আমরা আদর্শচ্যুত হয়ে পড়তে পারি। কারণে নেগেটিভ এনার্জি আমাদের মনে প্রভাব বিস্তার করে এবং আমাদের চিন্তাভাবনাকেও প্রভাবিত করে।
তাই কাজের সময় হাতে ঘড়ি পরে থাকুন, কিন্তু রাতে শোওয়ার সময় তা খুলে বালিশের নীচে বা বিছানার পাশে রাখবেন না। এই অভ্যেস ত্যাগ করতে না পারলে আপনারাই ক্ষতি হতে পারে।
Post a Comment