এক মাসের মধ্যে কমবে কয়েক কিলো ওজন, সকালে উঠে মেনে চলুন এই কয়েকটা নিয়ম

 


ODD বাংলা ডেস্ক: ওজন কমানোর ব্যায়ামের পাশাপাশি, ক্যালোরি কমানোর আরও অনেক উপায় আছে যা আপনি চেষ্টা করতে পারেন। ওজন কমানোর কথা মাথায় এলে কেউ কঠিন ডায়েট করেন। কেউ দিনের অধিকাংশ সময় জিমে কাটান তো কেউ বাড়িতেই এক্সারসাইজ করেন। বিশেষজ্ঞের মতে, ওজন কমাতে যেমন সঠিক এক্সারসাইজ করা প্রয়োজন তেমনই প্রয়োজন সঠিক ডায়েট মেনে চলা। তার আগে নিজের ধারণা স্পষ্ট করুন। আজ আমরা আপনাকে ওজন কমানোর কিছু সহজ উপায় বলতে যাচ্ছি, যা চেষ্টা করে আপনি সহজেই ওজন কমাতে পারবেন, তাও এক মাসের মধ্যে।


খাবার এড়িয়ে যাবেন না


একটি জনপ্রিয় বিশ্বাস আছে যে খাবার বাদ দিলে ওজন কমে যায়। যদিও আপনি কম ক্যালোরি গ্রহণ করছেন, তবে খাবার এড়িয়ে গেলে সাধারণত খুব বেশি খিদে পায়, এতে আপনি একবারে অনেকটা খেয়ে ফেলতে পারেন। অনেকে ডায়েটিং এর সময় ক্যালোরি মেপে খান। এই সময় কত ক্যালোরি খাবার খেলেন তা হিসেব রাখা জরুরি। তাই বলে সব ক্যালোরি যুক্ত খাবার একেবারে বাদ দিলে হবে না। রোজ মত পরিমাণ ক্যালোরি খাওয়া প্রয়োজন তা মেপে খান। একেবারে ক্যালোরি বাদ দেবেন না।


সকালের জলখাবারে বাদাম খান


ওজন কমাতে আপনার ডায়েটে বাদাম ও পেস্তা অন্তর্ভুক্ত করা উচিত কারণ এতে অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে যা পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে, ব্যায়ামের আগে বাদাম খাওয়াও উপকারী।


উচ্চ ফাইবার খাওয়া


উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে দীর্ঘ সময় খিদে পাবে না। অতএব, আপনার খাদ্যতালিকায় ফল ও শাকসবজি, ওটস, পুরো শস্যের রুটি, বাদামী চাল, পাস্তা, মটরশুটি, মটর এবং নানা রকমের ডাল অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।


ছোট প্লেট ব্যবহার করুন


আপনি যখন খাবার খেতে বসছেন, তখন রোজকার ব্যবহৃত থালা বাটির থেকে আকারে ও পরিমাণে ছোট থালা বাটি নিন। এতে খাবার পরিমাণ কম ধরবে এটা কিন্তু আপনার ওজন ও চেহারা নিয়ন্ত্রণ করার একটি সহজ উপায়। আপনি যদি ফাইবার, প্রোটিন ইত্যাদি দিয়ে ছোট খাবারগুলি পূরণ করেন তবে আপনার খারাপ লাগবে না। একবারে বেশি পরিমাণে না খেয়ে বারেবারে অল্প পরিমাণে খান।


পর্যাপ্ত ঘুম


ঘুমের অভাব আপনার তৃপ্তি হরমোন, লেপটিনকে কমিয়ে দেয় এবং ক্ষুধার হরমোন ঘেরলিন বাড়ায়, যা ওজন বাড়াতে পারে। যখন আমরা ঘুম থেকে বঞ্চিত থাকি, তখন আমাদের নোনতা এবং মিষ্টি খাবারের তীব্র আকাঙ্ক্ষা থাকে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.