ঘরে ঘরে জ্বর আর অবিরাম কাশি, জানুন কী কী করবেন আর করবেন না
ODD বাংলা ডেস্ক: ঘরে ঘরে জ্বর। তার সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী কাশি। অনেকের আবার সর্দির সমস্যা- গোটা ভারত জুড়ে এই সমস্যা গত কয়েক মাস ধরেই দেখা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের কথায় এটি ফ্লু। যা ইনফ্লুয়েঞ্জা A-র H3N2 সাব-টাইপ ভাইরাসের কারণে হচ্ছে। অন্যান্য সাব-টাইপের তুলনায় এটিতে আক্রান্তদেরই বেশি হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে হচ্ছে।
ফ্লুর দ্রুত বিস্তারের কারণে বিভিন্ন ওষুধের বিক্রি বেড়েছে। যার মধ্যে রয়েছে - ব্রঙ্কিয়াল কাশির সিপার, অ্যান্টি অ্যালার্জি ওষুধ , প্যারাসিটামল ট্যাবলেট। সাময়িক একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে এজাতীয় ওষুধের বিক্রি শুধুমাত্র দিল্লিতেই ২৫ শতাংশে বেড়েছে। তবে এজাতীয় রোগের ক্ষেত্রে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে আইসিএমআর। আসুন জেনেনি এজাতীয় রোগের মোকাবিলা কীভাবে করতে হবে
H3N2 ফ্লু ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্যঃ
আইসিএমআর-এর নির্দেশ অনুসারে, জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সম্ভবত বায়ু দূষণের কারণে তা আরও ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে। এছাড়াও সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে কাশি, বমি বমি ভাব, বমি, গলা ব্যাথা, শরীরে ব্যাথা আর ডায়েরিয়া।
অনেকেই এজাতীয় সমস্যায় ভুগলে অ্যাজিনোথ্রোমাইসিন,অ্যামোক্সিক্লাভ ইত্যাদির মত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করে। তবে অনেকেও ডোস আর ফ্রিকোয়েন্সির দিকে খেয়াল করে না। আক্রান্তরা একটু ভাল হলেই ওষুধ বন্ধ করে দেয়। এটি খুব ভল পদক্ষেপ। কারণ আইএমএ করেছে, অ্যান্টিবায়োটিক কোর্স কমপ্লিট না করে বন্ধ করে দিয়ে অন্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আইসিএমআর বলেছেন এই মরশুমে হঠাৎ করে করমর্দন না করাই ভাল। যোগাযোগের জন্য অন্য কোনও মাধ্যম খুঁজে বার করতে হবে।
সংক্রমণ সাধারণত পাঁচ থেকে সাত দিন স্থায়ী হয়। তিন দিনের মধ্যে জ্বর কমে যায়। কিন্তু কাশি তিন সপ্তাহ পর্যন্ত থেকে যেতে পারে। বলেছে আইএমএ।
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের চিকিৎসকরা চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে পরামর্শ দিয়েছে। অযথা অ্য়ান্টিবায়োটিক ব্যবহার না করতেই নির্দেশ দিয়েছে।
বায়ু দুষণের কারণে ভাইরাল রোগের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। দেখা যাচ্ছে ১৫ বছরের কম বয়সী ও ৫০ বছরের বেশি বয়সীরাই বেশি সংক্রমিত হচ্ছে। জ্বরের সঙ্গে নিঃশ্বাসের সমস্যা হচ্ছে।
Post a Comment