নিজের ছেলে শনিকে অভিশাপ দিয়ে দূর করে দিয়েছিলেন সূর্যদেব! জানুন সেই কাহিনি



 ODD বাংলা ডেস্ক: পুরাণ অনুসারে সূর্যের ছেলে হলেন শনি। কিন্তু এই দুজনের মধ্যে সম্পর্ক মোটেও ভালো না। সেই কারণে জ্যোতিষশাস্ত্রেও সূর্য ও শনিকে পরস্পরের শত্রু গ্রহ হিসেবে মনে করা হয়। সেই কারণে সূর্য ও শনি পরস্পরের কাছাকাছি এলে অশুভ যোগ সৃষ্টি হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে সূর্যের থেকে সবথেকে বেশি সময় দূরে থাকে শনি। যখন যে গ্রহ সূর্যের কাছে আসে, তখন সেই গ্রহ অস্ত যায়। শনির অস্ত যাওয়ার ঘটনা সবথেকে দেরি করে হয়। কারণ এই দুই গ্রহ সবথেকে বেশি সময় পরস্পরের থেকে দূরে থাকে।

কেন সূর্য ও শনি সবথেকে বেশি সময় দূরে দূরে থাকে, তার উত্তর রয়েছে পুরাণে। পুরাণ অনুসারে সূর্যদেবে স্ত্রী হলেন বিশ্বকর্মার কন্যা সন্ধ্যা। কিন্তু সূর্যের প্রচণ্ড তেজ সহ্য করতে না পেরে নিজের একটি প্রতিমূর্তি তৈরি করেন তিনি, এর নাম দেন ছায়া। এই ছায়াকে সূর্যের কাছে রেখে নিজে গোপনে বাবা বিশ্বকর্মার কাছে পালিয়ে যান তিনি। কিছুদিন পরে সূর্য ও ছায়ার সন্তান হিসেবে জন্ম নেন শনিদেব। এদিকে বিশ্বকর্মা সব জেনে মেয়ে সন্ধ্যাকে তিরস্কার করে সূর্যের কাছে আবার পাঠিয়ে দেন। সন্ধ্যা ফিরে এলে সূর্য সব জানতে পারেন।

ঘোর কৃষ্ণবর্ণ শনি তাঁর পুত্র হতে পারেন না বলে তাঁকে অপছন্দ করা শুরু করেন সূর্যদেব। সতীন-পুত্র হওয়ায় শনিকে মোটেও পছন্দ করতেন না সন্ধ্যাও। তিনি সূর্যের কাছে শনির নামে অনেক খারাপ কথা বলতে থাকেন। সন্ধ্যা ও সূর্যের একটি পুত্র ও একটি কন্যা সন্তান হয়। পুত্রটি হলেন যমরাজ এবং কন্যাটি হলেন যমুনা। বাবা ও মা কারোর ভালোবাসা না পেয়ে তিক্ততার জন্ম নিতে থাকে শনির মনে। শনির সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে নিজের কাছ থেকে দূরে থাকার অভিশাপ দেন সূর্যদেব। আবার শনিও উল্টে সূর্যদেবকে অভিশাপ দেন যে তিনিও কালো হয়ে যাবেন। শনির অভিশাপে গ্রহণ লাগে সূর্যে, তখন সূর্যও কালো হয়ে যায়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.