বাংলা নতুন বছরে অবশ্যই করুন এই ৮ কাজ, সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে উঠবে জীবন
ODD বাংলা ডেস্ক: সামনেই নববর্ষ। ১৫ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে বাংলা নতুন বছর অর্থাই ১৫ এপ্রিল তারিখটিই বাংলা ক্যালেন্ডর অনুযায়ী ১লা বৈশাখ। স্বাভাবিক ভাবেই এই দিনটি প্রতিটি বাঙালির জীবনে বিশেষ স্থান দখল করে। মন্দিরে মন্দিরে পুজো, হালখাতা, একে অপরের বাড়ি যাওয়া, খাওয়া-দাওয়ার এলাহি আয়োজনের মাধ্যমে এই দিনটি কাটিয়ে দেন প্রত্যেকে। সারা বছর যাতে ভালো কাটে এই কামনাই থাকে তাঁদের মনে।
তবে অনেক সময় জীবন নানান সমস্যায় ঘিরে যায়, যার ফলে মনের সব ইচ্ছে পূর্ণ হয় না। বাস্তু শাস্ত্রে এমন কিছু উপায় সম্পর্কে জানানো হয়েছে যা এই বাংলা নববর্ষে মেনে চললে নানান সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। পয়লা বৈশাখ থেকে শুরু করে সারা নববর্ষে কী কী উপায়ে পারিবারিক সুখ-শান্তি বজায় রাখবেন, তা জেনে নিন এখানে।
সারা বছর সুখ-শান্তি ধরে রাখুন এই উপায়ে
১. বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী বাড়ির প্রবেশদ্বারের পাশে কখনও ডাস্টবিন রাখতে নেই। কারণ এর ফলে প্রতিবেশিদের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হয় এবং শত্রুতা বৃদ্ধি পায়। আপনিও এমন করে থাকলে এই নববর্ষ থেকেই তা করা বন্ধ করে দিন।
২. সূর্যাস্তের সময়ে কেউ দুধ, দই বা পেঁয়াজ চাইতে এলেও দেবেন না। তা না-হলে বাড়ির উন্নতি বাধিত হয়। বাড়ির ছাদে কখনও অন্ন বা বিছানা ধোবেন না। কারণ এর ফলে শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। বরং ছাদে ধোয়া অন্ন, বিছানা শুকোতে দিতে পারেন।
৩. বহু চেষ্টা করেও চাকরি ও ব্যবসায় সাফল্য লাভ করতে পারছেন না? তা হলে নববর্ষ থেকেই এই একটি সবজ উপায় করুন। আমরা প্রত্যেকেই ফল খেয়ে থাকি। ফলের খোসাগুলি ডাস্টবিনে না-ফেলে বাড়ির বাইরে ফেলে আসা উচিত। এর ফলে বন্ধুদের কাছ থেকে লাভ অর্জন করতে পারবেন এবং ব্যবসা ও চাকরি সংক্রান্ত ক্ষেত্রে কোনও সুসংবাদ পেতে পারেন।
৪. নববর্ষের প্রতি মাসে অন্তত এক দিন মিশ্রীযুক্ত পায়েস বানান এবং তা পরিবারের সঙ্গে মিলে তা খান। সবার আগে এই পায়েস বাড়ির বয়স্ক সদস্যকে দিন। এই উপায় করলে লক্ষ্মী প্রসন্ন হন।
৫. এ বছরে প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে রান্নাঘরে বালতি ভরে রাখুন। এই উপায়ে ঋণের বোঝা থেকে মুক্তি পাবেন। অন্য দিকে বাথরুমে বালতি ভরে রাখলে উন্নতির পথে কোনও বাধা আসবে না।
৬. বৃহস্পতিবার অবশ্যই কোনও হলুদ বস্তু খান। এ দিন সবুজ খাদ্যবস্তু খেতে নেই। অন্য দিকে বুধবার সবুজ খাদ্যবস্তু গ্রহণ করবেন, কিন্তু হলুদ বস্তু থেকে দূরে থাকুন। এই উপায়ে পরিবারে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে।
৭. রাতে এঁটো বাসন ফেলে রাখার অভ্যাস থাকলে নতুন বছরে তা ত্যাগ করুন। রাতে ভুলেও এঁটো বাসন না-ধুয়ে ঘুমাবেন না। কারণ এর ফলে পরিবারের লোকসান হয়। আবার পুরো পরিবার মিলে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করলে এক সঙ্গে বেরোবেন না। আগে-পড়ে বেরোলে যশ বৃদ্ধি হয়। সমাজে সেই ব্যক্তির মান-সম্মান বাড়ে।
৮. সন্তান জেদি হলে এই উপায় করে দেখতে পারেন। এ ক্ষেত্রে খুব সহজ একটি উপায় রয়েছে। পয়লা বৈশাখ থেকে শুরু করে প্রতিদিন এটি নিজের অভ্যাসে পাল্টে ফেলুন। বাস্তু অনুযায়ী স্নানের পর কখনও ভেজা বা একদিন আগের তোয়ালে ব্যবহার করবেন না। কারণ এর ফলে সন্তান জেদি হয় এবং পরিবার থেকে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হতে শুরু করে। এর পরিবর্তে প্রতিদিন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও ধোয়া তোয়ালে ব্যবহার করা উচিত।
Post a Comment