চৈত্র পূর্ণিমায় ভুলেও এই কাজ করবেন না, দুর্ভাগ্য আছড়ে পড়বে জীবনে



 ODD বাংলা ডেস্ক: চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথি চৈত্র পূর্ণিমা নামে পরিচিত। অনেক জায়গায় এই পূর্ণিমাকে চৈতি পূনমও বলা হয়। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুসারে বছরের শেষ মাস হল চৈত্র। অর্থাত্‍ বাংলা ১৪২৯ সালের শেষ পূর্ণিমা।


চৈত্র পূর্ণিমার দিনক্ষণ


পূর্ণিমা পড়ছে ৫ এপ্রিল ২০২৩ বুধবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে। পূর্ণিমা ছেড়ে যাবে ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে। উদয়া তিথি অনুসারে ৬ এপ্রিল পালন করা হবে চৈত্র পূর্ণিমা। নারায়ণ পুজো করতে চাইলে বুধবার সন্ধেয় করে নিতে পারেন, তবে লক্ষ্মী পুজো করতে হলে বৃহস্পতিবার করতে হবে। এদিন সত্য নারায়ণের সিন্নিও দিয়ে থাকেন অনেকে। চৈত্র পূর্ণিমার মধ্যরাতে চন্দ্র দেবতার অর্ঘ্য দেওয়ার রীতিও প্রচলিত আছে।


মনে রাখবেন চৈত্র পূর্ণিমায় কোনও কোনও কাজ মোটেও করতে নেই। এদিন এই কাজগুলি করলে রুষ্ট হন লক্ষ্মী নারায়ণ। তাঁদের রোষে জীবনে নানা বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।


চৈত্র পূর্ণিমায় কোন কোন কাজ করতে নেই?


* চৈত্র পূর্ণিমায় বেলা পর্যন্ত ঘুমনো কখনোই উচিত নয়। এদিন ভোরে বিছানা ছাড়ুন এবং স্নান সেরে মা লক্ষ্মীর আরাধনা করুন। তারপর কোনও দরিদ্রকে নিজের সাধ্যমতো দান করুন।


* এদিন আমিষ জাতীয় খাবার ও মদ এড়িয়ে চলুন। এর ফলে মন ও মস্তিষ্কের উপর অশুভ প্রভাব পড়ে। সেই কারণে চৈত্র পূর্ণিমায় সাত্ত্বিক আহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।


* চৈত্র পূর্ণিমায় কারোর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবেন না এবং কাউকে খারাপ কথা বলবেন না। এর ফল চন্দ্র দেবতা রুষ্ট হন এবং কোষ্ঠীতে তার অশুভ প্রভাব পড়়ে।


* চৈত্র পূর্ণিমায় ভুলেও তুলসী পাতা ছিঁড়বেন না। কারণ তুলসী বিষ্ণুর পরম প্রিয়। তাই এদিন তুলসী পাতা ছিঁড়লে রুষ্ট হন নারায়ণ।


* চৈত্র পূর্ণিমার রাতে ভুলেও দই খাবেন না। এর ফলে কোষ্ঠীতে চন্দ্র দোষ তৈরি হয় এবং নানা ধরনের সমস্যা জীবনে ঘিরে ধরে। চৈত্র পূর্ণিমার রাতে দই খেলে শরীর খারাপ হতে পারে, আর্থিক টানাটানিও দেখা দিতে পারে।


* পূর্ণিমার রাতে চাঁদের প্রভাব সবথেকে বেশি থাকে। নিজের সম্পূর্ণ আকার ধারণ করে এদিন উদ্ভাসিত হয়ে ওঠেন চন্দ্র দেবতা। তাই কোষ্ঠীতে চন্দ্র দোষ তৈরি হয়, এমন কোনও কাজ এদিন করা উচিত নয়।


* এদিন চাঁদের পুজো করলে কোষ্ঠীতে চন্দ্র দোষ থাকলে তা কেটে যায় এবং জীবনে সুখ, শান্তি ও সম্পদ আসে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.