বাস্তু মেনে সাজান বৈঠকখানা, জীবনে হবেন সুখী ও সফল
ODD বাংলা ডেস্ক: বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী বাড়ি তৈরির সময় বাস্তুর দিকটি ভালো ভাবে সুনিশ্চিত করলে জীবনে আগত সমস্যা দূর হয়। বাস্তুবিদদের মতে, আগে বাড়ি তৈরি করা হলে এবং তাতে ব্যপ্ত বাস্তু দোষ দূর করার জন্য কোনও ভাঙচুর করতে না-চাইলে বাস্তু সংক্রান্ত উপায় করা উচিত। বাড়ি তৈরির সময় সাধারণত শয়নকক্ষ ও ঠাকুরঘরের বাস্তুর ওপরই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। বৈঠকখানার বাস্তুর বিষয়টি সকলে উপেক্ষা করে যান। তবে বাস্তু শাস্ত্র মতে, বৈঠক খানার বাস্তুর প্রতি নজর দিলে বাড়িতে ইতিবাচক শক্তি বজায় থাকবে। এখানে বাস্তু শাস্ত্রে বর্ণিত সেই উপায়গুলির বিষয় আলোচনা করা হল, যা পালন করলে বৈঠকখানার নেতিবাচক শক্তি দূর হবে ও বাড়িতে ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ হবে।
অধিক সংখ্যক জানালা রাখুন বৈঠকখানায়
বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী প্রবেশদ্বার থেকে বাড়িতে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই বৈঠকখানা থাকে। এ কারণে লিভিং এরিয়া বা বৈঠকখানা উন্মুক্ত হওয়া উচিত। এখানে অনেক বেশি জানালা থাকা ভালো, যার মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো আসতে পারে। পাশাপাশি আলো ও বায়ুর প্রবাহের কারণে বাড়িতে ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ হয়।
বৈঠকখানা বড় হওয়া উচিত
সাধারণত বাড়ির সমস্ত কক্ষ একই আকারের হয় এবং তার একটি কক্ষকে বৈঠকখানা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তবে বাস্তু অনুযায়ী বাড়ির বৈঠক খানা অন্য কক্ষ থেকে বড় হওয়া উচিত। বৈঠকখানা যত বড় হবে, সেখানে তত বেশি ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ থাকবে।
বৈঠকখানায় এমন ছবি লাগাবেন না
সকলে বৈঠকখানার সাজসজ্জায় গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তবে এই কক্ষে এমন কোনও ছবি লাগাবেন না, যাতে হতাশা, ঝগড়া-বিবাদ প্রদর্শিত হচ্ছে। এমন ছবি বাড়িতে নেতিবাচক শক্তি প্রবাহিত করে। এর পরিবর্তে সুন্দর পেন্টিং, শো পিস রাখতে পারেন।
ইলেকট্রনিকস জিনিসের দিক
বৈঠকখানায় ইলেকট্রনিক্স জিনিস রাখা হয়, তবে এর দিকের প্রতি নজর দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। বাস্তু মতে, যে কোনও ইলেকট্রনিকস সামগ্রী বৈঠকখানার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রাখা উচিত। জিনিস রাখার জন্য এ দিকে র্যাক বানাতে পারেন। বৈঠকখানার দক্ষিণ দেওয়ালে টিভি লাগানো উচিত।
উত্তর-পূর্ব দিকে আসবাব রাখুন
বৈঠকখানায় চেয়ার, টেবিলের মতো ফার্নিচারকে এমন ভাবে রাখতে হবে, যা যাতায়াতের পথে বাধা সৃষ্টি না-করে। বৈঠকখানায় উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকে আসবাব থাকা জরুরি।
Post a Comment