এই গরমে ঘি খাওয়া কি ঠিক?
ODD বাংলা ডেস্ক: ঘি শুধু খাবারে স্বাদই বাড়ায় না, এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও আছে। অনেকেই গরম ভাতের সঙ্গে ঘি খান। আবার রান্নাতেও ঘিয়ের অনেক ব্যবহার হয়। কিন্তু প্রচণ্ড দাপদাহে ঘি খাওয়া কি ঠিক?
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদন বলছে,আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী, গরমকালে ঘি খেলে শরীরের উপর নানা ধরনের প্রভাব পড়ে। তবে তার বেশির ভাগই অত্যন্ত ভালো। গরমে ঘি খেলে আরও যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-
ক্লান্তি কমায়: শরীরের শক্তি বাড়ানো এবং ক্লান্তি কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। গরমের সময়ে আরও বেশি মাত্রায় ক্লান্তি গ্রাস করে। তাই এই সময়ে ঘি খাওয়া ভালো। মসুর ডাল বা তরকারিতে এক চামচ ঘি দিয়ে খেতেই পারেন। এতে বেশি উপকার পাবেন।
রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়: ঘি রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ঘি খাওয়ার ফলে নানা রকম সংক্রমণ ও রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সহজ হয়। ঘিয়ে নানা ধরনের ভিটামিন রয়েছে। এগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। গরমে নানা কারণে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে যেতে পারে। তাই এই সময়ে ঘি খেলে উপকার পাওয়া যায়।
জলশূন্যতা রোধে সাহায্য করে: গরমে ঘাম হয়ে শরীর শুকিয়ে যায়, শরীরে জলশূন্যতা দেখা দেয়। ঘি শরীরের ভিতরে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদদের মতে, গরমের সময় শরীরে জলের অভাব মেটায় ঘি। শুধু তাই নয়, ঘি খেলে ত্বকেরও অনেক উপকার পাওয়া যায়। ত্বক শুকিয়ে যাওয়া থেকেও রক্ষা পাওয়া যায় ঘি খেলে।
হজম ক্ষমতা বাড়ে: খালি পেটে ঘি খেলে হজম ক্ষমতা বাড়ে। আয়ুর্বেদ বলছে, ঘি খাবার থেকে পুষ্টিগুণ সংগ্রহ করতে দারুণ কাজ করে। এতে প্রচুর পরিমাণে বিউটারিক অ্যাসিড অন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। যে কোনও কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে খেলে তার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কমে যায়। ফলে এটি ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও উপকারী।
শরীর ঠান্ডা করে: ঘি খাওয়ার ফলে শরীর ঠান্ডা থাকে বলেও মনে করেন অনেকে। কানো কোনো বিশেষজ্ঞর মতে, ঘি প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি শরীরকে শীতল রাখতে পারে। এই কারণে গরম কালে ঘি খাওয়ার পরামর্শ দেন তারা।
Post a Comment