ওজন কম করতে চান? ফেংশুই-এর এই নিয়মগুলি মেনে চলুন

 


ODD বাংলা ডেস্ক: ওজন কম করার বিস্তর চেষ্টা করছেন, কিন্তু খুব একটা কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না? সে ক্ষেত্রে নিজের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ফেংশুইয়ের সাহায্যও নিতে পারেন। চার পাশের বস্তু ও রঙের মাধ্যমে ইতিবাচক শক্তিকে আকৃষ্ট করে ফেংশুই। এই ইতিবাচক শক্তি ব্যক্তির দ্বারা গৃহীত খাবার-দাবারের সঙ্গেও সম্পর্কযুক্ত। তাই ফেংশুই অনুযায়ী কিছু হেরফের করে নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্য সাধন করা যায়।


* ফেংশুই মতে খাবার খাওয়ার প্লেটের রঙ নীল হওয়া উচিত। নীল জল তত্বের রঙ। এটি রক্তচাপ ও নাড়ীর হার কমিয়ে শরীরকে ধীর-স্থির করে। নীল রঙের প্লেট খাবারের পরিমাণ কম করে।


* রান্নাঘর সবসময় সাজিয়ে গুছিয়ে রাখবেন। অগোছালো রান্নাঘর ব্যক্তির শক্তির ওপর প্রভাব বিস্তার করে। ফেংশুই মতে বিভিন্ন সামগ্রীতে ভরপুর অগোছালো রান্নাঘর ব্যক্তির ওজন বাড়াতে পারে। তাই রান্নাঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও গুছিয়ে রাখুন। সিঙ্কের নীচে ও রেফ্রিজারেটরের ওপরে পরিষ্কার করতে ভুলবেন না। ফেংশুই মতে, রান্নাঘরের অতিরিক্ত ভার লাঘবের জন্য যাঁরা একে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখেন, তাঁদের ওজন সহজে কমে যায়।


* আলমারি পরিষ্কার রাখুন। পুরনো কাপড় সরিয়ে দিন। ফেংশুই মতে, পুরনো বাতিল পোশাক রেখে দেওয়া পুরনো জীবনকে আটকে রাখার প্রতীক। আবার এখনও পুরনো কাপড় পরে যাওয়ার অর্থ, আপনি ওজন কম করার জন্য অনুপ্রাণিত হচ্ছেন না। তাই পুরনো কাপড় আলমারিতে না-রেখে, তা সরিয়ে দিন। যে কাপড় পরতে পারবেন না তা ফেলে দিয়ে নতুন পোশাক কিনুন।


* ওজন কম করার জন্য বাড়িতে ছোট-খাটো জিম সামগ্রী যেমন ট্রেডমিল ইত্যাদি রেখেছেন, কিন্তু তাতে কোনও কাজ দেয়নি এবং এখন আর তেমন ব্যবহার করেন না? তা হলে অব্যবহার্য এই সামগ্রীগুলিকেও বাড়ি থেকে দূর করুন। কারণ এই সব জিনিস ওজন কমানোর ক্ষেত্রে আপনার অসাফল্যের সাক্ষ্য বহন করে। তাই এগুলিকে বিক্রি বা দান করুন। এর পরিবর্তে এমন কোনও স্থানে লগ্নি করুন, যা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করবে।


* ফেংশুই মতে নিজের শরীরকে সক্রিয় রাখার জন্য বাড়ির কয়েকটি নির্দিষ্ট স্থানে আয়না লাগান। যেমন স্ন্যাকস ক্যাবিনেট এবং রেফ্রিজারেটরের দরজায় আয়না লাগান। এর ফলে কিছু খেতে যাওয়ার আগে আয়নায় আপনার প্রতিফলন ঘটবে ও আপনি কিছু খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।


* রান্নাঘরের দরজা বা পর্দা দিয়ে রাখুন। রান্নাঘর যদি আপনার শয়নকক্ষ থেকে দেখা যায় বা বাড়িতে প্রবেশ করার পরই সবার আগে রান্নাঘর দেখতে পান, তা হলে এটি ব্যক্তির খাবার খাওয়ার ইচ্ছাকে বাড়িয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণের সমস্ত প্রচেষ্টা বিফল হতে পারে। তাই রান্নাঘরের দরজা বন্ধ রাখুন। রান্নাঘরের সামনে কোনও আয়না ও ছবি লাগান। এমনকি কাপড়ের পর্দাও লাগাতে পারেন।


* রান্নাঘরে লাল রঙ ব্যবহার করবেন না। ফেঙ্গ শুই মতে লাল রঙ খিদে বাড়ায়। লাল রঙের টেবিল কভার, ম্যাট ব্যবহার করবেন না। এর পরিবর্তে নীল, কালো বা ফুলের প্যাটার্ন নির্বাচন করুন।


* খাবার-দাবারের ইতিবাচক শক্তি সংগ্রহ করার জন্য সুন্দর টেবিলে বসে খাবার খান। ফুলদানি, মোমবাতি দিয়ে টেবিল সাজিয়ে খাবার উপভোগ করুন।


* ফেংশুইতে উল্লিখিত ইন ও ইয়াঙ্গ শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করুন। খাবারের প্লেট, বাটি, গ্লাস, খাবার রাখার পাত্রের রঙ পরিবর্তন করুন। হালকা রঙের খাদ্যবস্তু রাখার জন্য উজ্জ্বল রঙের কন্টেনার ব্যবহার করুন। হালকা স্বাদযুক্ত গরম ও মশলাদার খাবার গ্রহণ করে ইন ও ইয়াঙ্গের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারেন। ফল ও সবজি রঙীন হওয়ায়, এদের মিশ্রণ ব্যক্তিকে সুস্থ রাখে। টাটকা খাবার কিনুন। কারণ প্রক্রিয়াজাত খাদ্য সামগ্রীতে স্থির চি শক্তি থাকে। রান্নাঘরে ইতিবাচক শক্তিকে আকৃষ্ট করার জন্য কাউন্টারের ওপর তাজা ফলের বাটি রাখুন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.