সোনার অলংকারে জাদু আছে, এই গহনা পরলেই সেরে ওঠে অনেক রোগ, মেলে পাঁচ উপকার

 


ODD বাংলা ডেস্ক: সোনা অনেক ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ। অনেক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। আগেকার যুগে রাজা-সম্রাট বা রানী-বেগমরা সোনার অলঙ্কার পরতেন। আজকাল মহিলারা তাদের পোশাকের উপরে সোনার অলঙ্কার পরেন। যখন রাণীরা তাদের ত্বকে লেগে থাকা পোষাক হিসেবে অলঙ্কার পরতেন। তখনকার দিনে কাপড়ের সঙ্গে সোনার বস্ত্রও প্রচলনও বেশি ছিল।


এর কারণ হল সোনা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য এর থেকে অনেক উপকার দিতে পারে। আয়ুর্বেদ অনুসারে, শরীরের কাছাকাছি সোনার গয়না পরা উচিত। কারণ এটি শরীরে অনেক ঔষধি উপকারিতা দেয়। শুধু তাই নয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। বর্তমানে সোনার দাম এত পরিমানে বৃদ্ধি পেয়েছে যে মধ্যবিত্তের সাধ থাকলেও তা সাধ্যের বাইরে। এই সোনার গয়না সাজসজ্জার একটি অংশ হলেও নারী পুরুষ নির্বিশেষে এখনও এই অলংকার ব্যবহার করেন। সোনা শরীরের সংস্পর্শে থাকলে যে এত উপকার পাওয়া যায় তা বোধহয় আগে আমরা কেউ ভেবেই দেখিনি। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক সোনা পরার উপকারিতা-


জেনে নেওয়া যাক সোনা পরার উপকারিতা সম্পর্কে-


১) রক্ত ​​সঞ্চালনের উন্নতি:


স্বর্ণ রক্ত ​​সঞ্চালন বাড়াতে কাজ করে। যখন একজন ব্যক্তি সোনার গহনা পরেন, তখন এটি শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেনের প্রবাহকে উন্নত করে। সোনা পরার সর্বোচ্চ সুবিধা শরীরের সেই অংশ পায়, যেখানে সোনা পরা হয়।


২) শরীরকে শিথিল করে:


সোনা পরলে শরীরে আরাম পাওয়া যায়। এটি মাথাব্যথাও কমাতে পারে। বলা হয়ে থাকে যে হাতের তর্জনীতে একটা প্রেসার পয়েন্ট থাকে যা মাথা ব্যাথা কমায়। আপনি যখন একটি রিং পরেন, তখন এই চাপ বিন্দুতে চাপ থাকে।


৩) শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে:


এটা বিশ্বাস করা হয় যে সোনার শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রয়েছে। এটি ব্যক্তিকে শরীরের তাপমাত্রার ওঠানামা থেকে রক্ষা করে এবং ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতেও কাজ করে।


৪) মেজাজ উন্নত করে:


সোনার গয়না মেজাজ বাড়াতে কাজ করে। সোনার গহনা পরলে একজন ব্যক্তি নিজেকে আরও আকর্ষণীয় মনে করেন এবং তার আত্মবিশ্বাসও বৃদ্ধি পায়।


৫) ত্বককে উজ্জ্বল করতে সহায়ক:


আজকাল বিভিন্ন বিউটি ট্রিটমেন্টে সোনা ব্যবহার করা হচ্ছে। সোনার ব্যবহার শুধু মুখ উজ্জ্বল করে না, ত্বককেও রাখে উজ্জল ও ঝলমলে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.