গরমে শিশুর হিট র‍্যাশ হলে করণীয়

 


ODD বাংলা ডেস্ক: অতিরিক্ত গরমের কারণে শিশুর ত্বকে লাল লাল র‍্যাশ দেখা দেয়। চিকিৎসকরা এর নাম দিয়েছেন হিট র‍্যাশ। গরমের কারণে ঘাম হলে র‍্যাশের স্থানে জ্বালা হয়ে থাকে। ফলে শিশুরা আরও বেশি অস্বস্তিতে ভোগে এবং কান্নাকাটি করে। একেবারে ক্ষুদে থেকে স্কুলগামী, যেকোনো বয়সী শিশুরই দেখা দিতে পারে হিট র‍্যাশের সমস্যা। গরমে শিশুর হিট র‍্যাশ হলে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন শিশু বিশেষজ্ঞ ডা: ফারহানা পারভীন ফ্লোরা । চলুন জেনে নেই: 


হিট র‍্যাশের স্থানে নখের স্পর্শ যেন না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। কারণ নখের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তাই হিট র‍্যাশ হলে শিশু যেন সেখানটাতে না চুলকায় সেদিকে নজর রাখবেন। ঠাণ্ডা জলে নরম ও পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে আক্রান্ত স্থানে আলতো করে মুছে দিতে পারেন। এতে শিশু আরাম পাবে।


অনেকে গরমে শিশুর শরীরে পাউডার ব্যবহার করেন। এটি একেবারেই ঠিক নয়। পাউডার ব্যবহার করলে তা ঘাম নিঃসরণের পথ বন্ধ করে দেয়। ফলে সমস্যা না কমে আরও বাড়তে থাকে। তাই ঘামাচিনাশক পাউডার ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে বরং শিশুর কষ্ট আরও বেড়ে যায়।

বড়দের পাশাপাশি ছোটদেরও হালকা ধরনের পোশাক পরার অভ্যাস করতে হবে। এতে গরমে সুস্থ থাকা সহজ হবে। পোশাকের জন্য বেছে নিতে পারেন সুতির কাপড়। তবে এসির নিচে বেশি সময় থাকলে শিশুর গায়ে একটু মোটা পোশাক রাখুন। বাতাসের মাধ্যমে ঘাম শুকিয়ে নিলে এবং ত্বক পরিষ্কার রাখলে ঘাম জমার ভয় থাকে না। ফলে আশঙ্কা কমে হিট র‍্যাশের। ছোট্ট শিশুকে অযথা চাদর বা কাঁথা দিয়ে ঢেকে রাখবেন না। এতে ঘামের কারণে সমস্যা আরও বাড়তে পারে।


অনেকে শিশুদের প্রতিদিন স্নান করান না। এমনটা করা যাবে না। এই গরমে শিশুকে প্রতিদিন স্নান করান। শিশু যদি স্কুলে যায় তবে বাড়ি ফেরার সঙ্গে সঙ্গে তাকে স্নান করাতে নিয়ে যাবেন না। প্রথমে ঘাম মুছে দিন। এরপর তাকে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে বলুন। শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হলে তারপর স্নান করান। স্নানের সময় শিশুর ত্বকের উপযোগী সাবান ব্যবহার করুন।

এখন রোদের তীব্রতা অনেক বেশি। তাই প্রয়োজন ছাড়া শিশুকে রোদে বের হতে দেবেন না। বিশেষ করে সকাল দশটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত। নয়তো হিট র‍্যাশের সমস্যা আরও বাড়তে পারে। এছাড়া কোনো মলম বা ওষুধ ব্যবহার করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.