প্রচন্ড গরমেও জ্বালাচ্ছে সর্দি কাশির মত সমস্যা, কীভাবে বাঁচাবেন নিজেকে-রইল ঘরোয়া টোটকা
ODD বাংলা ডেস্ক: ঘরের বাইরে পা দিলেই জ্বলে যাচ্ছে শরীর। আর ঘরের ভিতর চলছে এসি, কুলার। ফলে তাপমাত্রার চরম পার্থক্যের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পেরে শরীরের দফারফা। এসি চালিয়ে রাখলে ঠান্ডা লাগছে, আর তীব্র গরম থেকে ঘরে ঢুকে গলায় ঠান্ডা জল ঢাললে লেগে যাচ্ছে সর্দি কাশি। সাধারণত শীত ও বর্ষায় সর্দি-কাশির সমস্যা বেশি হয়। কিন্তু অনেক সময় জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ এবং অ্যালার্জির কারণে গরমেও সর্দি-কাশির সমস্যা হতে পারে।
তাই এখন তীব্র গরম চললেও সর্দি কাশির হাত থেকে রেহাই মিলছে না। গলা খুশখুশ থেকে নাক দিয়ে জল পড়া। একের পর এক সমস্যা লেগেই রয়েছে। এমনকি এখন গরমে ফ্লু এবং ভাইরাল সংক্রমণের কারণে মানুষ সর্দি-কাশির মতো সমস্যার অভিযোগ করছে। তাই, আজ আমরা আপনাকে এমন কিছু প্রতিকারের কথা বলব, যা ব্যবহার করে আপনি গ্রীষ্মের মৌসুমে সর্দি-কাশি নিরাময় করতে পারেন। এই ছোট্ট ছোট্ট টিপস দিয়ে আপনি আপনার নিজের ও পরিবারের সবার সর্দি কাশি নিরাময় করতে পারেন।
পর্যাপ্ত জল পান করুন
গরমে শরীরের জলের চাহিদা বেড়ে যায়, তাই পর্যাপ্ত জল পান করুন এবং দিনের বেলা অন্যান্য তরল পান করুন। এতে শরীর হাইড্রেটেড থাকবে, শরীরে জমে থাকা কফ দূর হয়। দিনে ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল পান করার লক্ষ্য রাখুন। এছাড়াও ক্যাফেইন গ্রহণ এড়িয়ে চলুন। এতে অনেকটা সুস্থ থাকবে শরীর।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম পান
শরীরে অসুস্থতা দেখা দিলে বিশ্রামের প্রয়োজন বেড়ে যায়। যেকোন মানুষ যদি সুস্থ থাকতে চান তাহলে তার উচিত প্রতি রাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানো। এমন পরিস্থিতিতে আপনার যদি সর্দি-কাশির মতো অভিযোগ থাকে, তাহলে দিনের বেলায়ও বিশ্রাম নিন। শরীর অতিরিক্ত পরিশ্রম করলে সমস্যা বাড়তে পারে। তাই সর্দি-কাশির মতো সমস্যা থাকলে বিশ্রাম বাড়িয়ে নিন।
পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা
বাড়ির কারো যদি সর্দি-কাশির সমস্যা থাকে, তাহলে তাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে বেশি নজর দিতে হবে। সাবান দিয়ে ঘন ঘন আপনার হাত ধুয়ে নিন এবং ঘন ঘন আপনার মুখ স্পর্শ করা এড়িয়ে চলুন। এ ছাড়া হাঁচি বা কাশির সময় ডিসপোজাল টিস্যু ব্যবহার করতে হবে।
পরীক্ষা করুন এবং ওষুধ খাওয়া শুরু করুন
বর্তমানে করোনার সংক্রমণও ছড়িয়ে পড়ছে, সর্দি-কাশির সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে থাকলে অবশ্যই পরীক্ষা করান এবং চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা নিন। প্রয়োজনে নিজেকে আইসোলেশনে রাখুন, যাতে আপনার থেকে সর্দি কাশি পরিবারের কারোর মধ্যে ছড়িয়ে না পড়ে।
Post a Comment