গরমকালে খান এইসব ফল, দ্রুত কমবে ওজন

ODD বাংলা ডেস্ক: দেহের অতিরিক্ত ওজন কমাতে কত কিছুই না করি আমরা, কঠোর শরীরচর্চা থেকে শুরু করে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন, আরও কত কী। অনেকেরই ধারণা যে, কম খেলে দ্রুত ওজন কমে। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলছেন, ওজন কমাতে গিয়ে শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব ঘটলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই ডায়েটে এমন কিছু খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন, যেগুলি ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখবে আর শরীরও সুস্থ থাকবে। আর এখন যেহেতু গ্রীষ্মকাল, তাই আপনি চাইলে আপনার রোজকার পাতে রাখতে পারেন কিছু স্বাস্থ্যকর গ্রীষ্মকালীন ফল।

১) তরমুজ ওজন কমাতে তরমুজ অত্যন্ত সহায়ক। এই গ্রীষ্মকালীন ফলটিতে ভিটামিন এ, সি, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লাইকোপেন থাকে। এছাড়া, তরমুজে প্রায় ৯২ শতাংশ জল থাকে, ফলে গরমে শরীর হাইড্রেট রাখতেও সহায়তা করে। জল এবং ফাইবার থাকার কারণে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরাও রাখে তরমুজ। 

২) শসা এখন সারা বছরই পাওয়া যায়। সবুজ রঙের এই ফলটি আমাদের ডিহাইড্রেশন এবং শরীর গরম হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে। শসায় প্রায় ৯৫ শতাংশ জল থাকে এবং ক্যালোরির পরিমাণও খুবই কম। দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখতে পারে শসা এবং শরীরকে ডিটক্সিফাইও করতে পারে। এছাড়াও, আমাদের ত্বককে সুস্থ ও সুন্দর রাখতে পারে। 

৩) ফুটিতেও জলের পরিমাণ বেশি থাকে এবং এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল। গ্রীষ্মকালীন এই ফলটিতে ক্যালোরি কম এবং ফাইবার বেশি, ফলে ওজন কমাতে অত্যন্ত সহায়ক। ভিটামিন এ, বি, কে, সি, জিঙ্ক এবং কপার সমৃদ্ধ এই ফলটি দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে এবং রক্তচাপ কমায়। এর পাশাপাশি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত পেট ভরা রাখতেও সহায়তা করে। চুলের যত্নে ম্যাজিকের মতো কাজ করবে ভ্যাসলিন! জেনে নিন কী ভাবে ব্যবহার করবেন 

৪) আনারস ওজন কমাতে অত্যন্ত সহায়ক। আনারস ভিটামিন সি এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। আনারসে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ধরনের ফাইবার রয়েছে, যে কারণে দীর্ঘ সময় আমাদের পেট ভরা রাখে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া, আনারসে প্রচুর পরিমাণে জল থাকায় আমাদের শরীরকে হাইড্রেটও করে। 

৫) লিচুও কিন্তু ওজন কমাতে অত্যন্ত সহায়ক। লিচুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা শরীর থেকে টক্সিন দূর করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। এতে ক্যালোরির পরিমাণও খুব কম। 

৬) পেঁপে ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার (USDA)-এর মতানুসারে, ১০০ গ্রাম পেঁপেতে মাত্র ৪৩ ক্যালোরি থাকে। ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ এই ফলটি ওজন কমানোর পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রিত করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী করে। 

৭) পীচ কম-ক্যালোরিযুক্ত স্বাস্থ্যকর একটি ফল। এতে ৮৯ শতাংশ জল এবং প্রচুর ফাইবার রয়েছে, ফলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে এই ফল। পীচ ভিটামিন এ, সি, আয়রন, জিঙ্ক এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণে ভরপুর।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.