গরমে ঘামাচির সমস্যায় নাজেহাল, তাহলে এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে দেখুন দুদিনেই আরাম পাবেন



 ODD বাংলা ডেস্ক: গরমে ফুসকুড়ি বা ঘামাচি হল একটি সাধারণ সমস্যা। এর প্রধাণ কারণ হল ঘাম। ঘাম এবং ময়লা দ্বারা ত্বকের ছিদ্র বন্ধ হয়ে গেলে কাঁটাযুক্ত ত্বক হয়। বেশিরভাগ মানুষেরই পিঠে বা ঘাড়ে ঘামাচি হওয়ার সমস্যা থাকে। এই কারণে, চুলকানি এবং জ্বলন হয়, কখনও কখনও ছোট ক্ষত তৈরি হয়। কিছু পাউডার যা ঘামাচি থেকে মুক্তি দেয় বাজারে প্রচুর বিক্রি হয়। কিন্তু আজ আমরা আপনাদের জানাব ঘামাচি নিরাময়ের কিছু ঘরোয়া উপায়। আপনিও যদি গ্রীষ্মে এই সমস্যায় বিরক্ত হন, তবে এখানে উল্লেখিত প্রতিকারগুলি আপনার জন্য খুব কার্যকর প্রমাণিত হতে পারে।


শসা-


গ্রীষ্মকালে প্রতিটি ঘরেই শসা পাওয়া যায়। এই শসা পাতলা করে কেটে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে দিন। ঠাণ্ডা হয়ে এলে নিয়ে ঘামাচির উপর রেখে আস্তে আস্তে ঘষে নিন। এই প্রতিকারটি দিনে দুই থেকে তিনবার চেষ্টা করুন। অনেক আরাম পাবেন।


মুলতানি মাটি-


মুলতানি মাটি ঘামাচি নিরাময়েও সহায়ক। এটি লাগালে ঘামাচির কারণে চুলকানি এবং জ্বালাপোড়াও শান্ত হয়। এর জন্য আপনি গোলাপ জলে মুলতানি মাটি মিশিয়ে ঘামাচির এই পেস্টটি লাগান। শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মুলতানি মাটির এই প্যাক আপনাকে অনেক স্বস্তি দিতে পারে।


অ্যালোভেরা জেল-


অ্যালোভেরা জেল ত্বকে শীতলতা প্রদান করে এবং জ্বালা প্রশমিত করে। রোজ রাতে ঘুমানোর সময় ঘামাচির জায়গায় অ্যালোভেরা জেল লাগালে অনেক আরাম পাওয়া যায়। আপনি চাইলে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা হওয়ার পর লাগান। এতে আপনার খুব ভালো লাগবে।


নারকেল তেল-


নারকেল তেলের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যার কারণে এটি ঘামাচির সমস্যা দূর করতেও সহায়ক বলে মনে করা হয়। প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে আক্রান্ত স্থানে নারকেল তেল লাগান। এটি আপনাকে অনেক আরাম দেবে।


বেসন প্যাক-


এই কাঠফাটা গরমেও বেসনের প্যাক উপকারী। বেসন ময়দায় ঠান্ডা জল মিশিয়ে পাতলা পেস্ট তৈরি করে ঘামাচির উপর লাগাতে হবে। শুকানোর পর পরিষ্কার করুন। এছাড়া একটি সুতির কাপড়ে ২-৩টি বরফের টুকরো নিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগান, এতেও অনেক উপশম হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.