গর্ভাবস্থায় করলা খাওয়ার যত উপকারিতা

 


ODD বাংলা ডেস্ক: গর্ভাবস্থা নারীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। এ সময় তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাড়তি সতর্ক থাকতে হয়। পাশাপাশি খ্যাদ্যাভ্যাসেও বিশেষভাবে নজর দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় মায়ের সুষম খাদ্য শিশুর সুস্থ বৃদ্ধি ও বিকাশ নিশ্চিত করে।


করলা স্বাদে তেতো হলেও পুষ্টিগুণে অনন্য। গর্ভাবস্থায় নিয়মিত করলা খেলে নানা উপকারিতা পাওয়া যায়। যেমন-


রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে: করলা গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নারীদের জন্য একটি চমৎকার খাবার। এতে কার্বোহাইড্রেট কম এবং ফাইবার বেশি, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।


হজমে সাহায্য করে: গর্ভবস্থায় অনেকেরই হজমের সমস্যা যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফোলাভাব এবং বদহজমের সমস্যা হয়। করলাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় তা হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমায়।


রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: করলায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি থাকায় এটি শরীরে ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। এ কারণে নিয়মিত করলা খেলে গর্ভবস্থায় সংক্রমণ এবং নানা রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এতে মা এবং অনাগত শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষিত হয়।


স্বাস্থ্যকর ত্বক : করলা ভিটামিন সি'য়ের একটি বড় উৎস, যা স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য অপরিহার্য। গর্ভাবস্থায় করলা খেলে ত্বকের সমস্যা যেমন ব্রণ এবং পিগমেন্টেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।


জন্মগত ত্রুটির ঝুঁকি কমায়: করলা ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা শিশুর সুস্থ বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য অপরিহার্য। গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত ফলিক অ্যাসিড গ্রহণে শিশুর জন্মগত ত্রুটির ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।


স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে: করলার ক্যালোরি কম এবং ফাইবার বেশি থাকায় গর্ভাবস্থায়ও স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে ভূমিকা রাখে। করলায় পেট ভরা অনুভূত হয়, ফলে অতিরিক্ত খাওয়া রোধ করে।


প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগায়: করলা হল আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ভিটামিন এ-এর মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টির সমৃদ্ধ উৎস। এসব শিশুর সুস্থ বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য অপরিহার্য।


তবে এত গুণ থাকা সত্ত্বেও গর্ভাবস্থায় কোনো খাবার খেলে যদি সমস্যা হয় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.