বিস্কুটের গায়ে ফুটা থাকার অদ্ভুত ৪ কারণ

 


ODD বাংলা ডেস্ক: চায়ের সঙ্গে বিস্কুট—আমাদের দেশের খুবই জনপ্রিয় ফুড কম্বিনেশন। শিশু-কিশোর থেকে বৃদ্ধ; বিস্কুট সবারই কম-বেশি পছন্দ। অতিথি আপ্যায়নে কিংবা জরুরি ক্ষুধা মেটাতে আমরা বিস্কুট পরিবেশন করে থাকি। কখনো কি খেয়াল করে দেখেছেন বিস্কুটের গায়ে ফুটা থাকে! এমনটা দেখলেও বিস্কুটের গায়ের ফুটা নিয়ে কখনো কৌতূহল জেগেছিল?

বিস্কুটের গায়ে এই ফুটাগুলোকে বলা হয় ডকার হোলস। মিষ্টি, নোনতা এমনকি ক্রিম দেওয়া বিস্কুটেও এমন ফুটা থাকে। এই ফুটাগুলোর প্রথম কারণ সেটির ডিজাইন এবং সৌন্দর্য। তবে সব ধরনের বিস্কুটে শুধু ডিজাইনের জন্য ফুটা রাখা হয় না।


এখনকার হাই-টেক মেশিনগুলো এই ছিদ্রগুলোকে সমান ব্যবধান এবং মাপের করে তোলে। এতে বিস্কুটগুলো সব দিক থেকে সমানভাবে বেক করা যায়। বিস্কুটে ছিদ্র বা ফুটা করা থাকলে তৈরির পর তা অনেক বেশি কুড়কুড়ে ও সুস্বাদু হয়। ছিদ্র তৈরির আরেকটি বৈজ্ঞানিক কারণ হল, এর মধ্যে থেকে তাপ বের করা। যদি ছিদ্র না থাকে তা হলে বিস্কুটের তাপ বের হতে পারবে না এবং মাঝখান থেকে ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।


বেকিংয়ের সময় যাতে বিস্কুটের ভেতর দিয়ে হাওয়া চলাচল করতে পারে, যাতে বেশি ফুলে না যায় বিস্কুটটি, সে কারণেও ফুটা রাখা হয়। ময়দা, চিনি, নুন ট্রেতে রেখে মেশিনের নিচে রাখা হয়। এরপর শুরু হয় বেকিংয়ের কাজ।


ডো তৈরির পর যখন সেগুলো সাজিয়ে দেওয়া হয়, সেগুলোর উপর মেশিন দিয়েই প্রথমে ফুটা করে দেওয়া হয়। কারণ, ডো-এর ভেতর হাওয়া থাকে। ফলে সেগুলো বেক করার সময় বেশি ফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে বিস্কুটের গায়ে ফুটা করে দেওয়া হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.