সিদ্ধ না অমলেট-কোন ধরনের ডিম খাওয়া বেশি উপকারী?
ODD বাংলা ডেস্ক: ছোট-বড় সবারই পছন্দের খাবার ডিম। কেউ সিদ্ধ খান,কারও পোচ পছন্দ , কেউ বা ডিমের অমলেট পছন্দ করেন।
যারা স্বাস্থ্য সচেতন, তারা মনে করেন ডিম ভাজার বদলে সিদ্ধই সেরা। পুষ্টিবিদরা অবশ্য সকালের নাশতায় একটা করে ডিম সিদ্ধ খাওয়ার কথা বলেন। চিকিৎসকেদের মতে, অমলেট বা পোচের তুলনায় সিদ্ধ ডিমই বেশি উপকারী। কিন্তু পুষ্টিগুণের দিক থেকে কোন ধরনের ডিম এগিয়ে তা জানানো হয়েছে ভারতীয় গণসাধ্যম 'এই সময়ে'র এক প্রতিবেদনে।
ডিম খেলে বেশ কিছু উপকার পাওয়া যায়। যেমন-ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে, চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে, প্রোটিন এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের ঘাটতি মেটে। ডিম হচ্ছে প্রোটিনের সেরা উৎস। এতে রয়েছে ভিটামিন বি ১২, বায়োটিন, থায়ামিন এবং সেলেনিয়াম। পুষ্টিবিদদের মতে, ডিমে নয়টি অত্যাবশ্যকীয় অ্যামিনো অ্যাসিড মজুত থাকে, যা নানাভাবে আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে।
পুষ্টিবিদদের মতে, একটা সিদ্ধ ডিমে ৭৮ ক্যালরি, ৬.৩ গ্রাম প্রোটিন, ০.৬ গ্রাম কার্বহাইড্রেট ও ৫.৩ গ্রাম ফ্যাট, যার মধ্যে ১.৬ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে। সিদ্ধ ডিমে প্রাকৃতিকভাবেই প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন মজুত থাকে। সকালের নাশতায় একটা সিদ্ধ ডিম খেলে ৬ গ্রামের বেশি প্রোটিন পাওয়া যায়। অন্যদিকে, অমলেটে রয়েছে ৯০ ক্যালরি, ৬.৮ গ্রাম ফ্যাট। এর পাশাপাশি রয়েছে ২ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট।
একটা সিদ্ধ ডিমের ১৫ শতাংশ রাইবোফ্লোভিন, ১০ শতাংশ ভিটামিন বি ১২ ও ১১ শতাংশ ভিটামিনে ভরপুর। ভাজা ডিমেও ভিটামিনের পরিমাণ প্রায় একই।
সিদ্ধ ডিমের চেয়ে অমলেটে খনিজের পরিমাণ বেশি। সিদ্ধ ডিমে ৯ শতাংশ ফসফরাস রয়েছে, অন্যদিকে অমলেটে ফসফরাসের পরিমাণ ১০ শতাংশ। হাড় শক্ত করতে ফসফরাস অত্যন্ত জরুরি। অন্যদিকে, কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে সিদ্ধ ডিম। ডিম তেলে ভাজলে, এই উপকারিতা একেবারেই চলে যায়।
Post a Comment