জেলখানায় কয়েদিকে 'জীবিত খেয়েছে' ছারপোকা, দাবি পরিবারের
ODD বাংলা ডেস্ক: আটলান্টা কারাগারের এক সেলে একজন ব্যক্তিকে জীবিত অবস্থায় 'ছারপোকা এবং অন্যান্য পোকা-মাকড়' খেয়ে ফেলেছে বলে দাবি করেছেন ব্যক্তির পরিবারের আইনজীবী।
এক অপরাধের জন্য লাশন থম্পসনকে কারাগারে পাঠানো হয় এবং কর্মকর্তারা তাকে মানসিকভাবে অসুস্থ বলে রায় দিলে তাকে ফুলটন কাউন্টি জেলের মনোরোগ শাখায় রাখা হয়। পারিবারিক আইনজীবি মাইকেল ডি হার্পার ছারপোকায় ছেয়ে যাওয়া মি. থম্পসনের লাশের ছবি প্রকাশ করেছেন। তিনি ফৌজদারি তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন এবং সাংবাদিকদের বলেছেন মামলা এখনো মুলতবি অবস্থায় রয়েছে।
মি. হার্পার এক বিবৃতিতে জানান, "মি. থম্পসনকে একটি নোংরা কারাগারে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে, যেখানে তাকে 'জীবিত অবস্থাতে'ই ছারপোকা খেয়ে ফেলেছে। মি. থম্পসনকে যে জেলখানায় রাখা হয়েছিল, সেখানে কোনো সুস্থ মানুষ থাকতে পারেন না। তিনি এভাবে মারা যেতে পারেন না।"
ফুলটন কাউন্টি মেডিকেল এক্সামিনারের রিপোর্ট অনুযায়ী, মি. থম্পসনকে তার জেল সেলে প্রতিক্রিয়াহীন অবস্থায় পাওয়া যায়। এরপর স্থানীয় পুলিশ এবং চিকিৎসাকর্মীরা তাকে বাঁচানোর চেষ্টার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
মি. হার্পার জানান, জেলের রেকর্ড থেকে দেখা যায় আটক কর্মকর্তা এবং চিকিৎসাকর্মীরা মি. থম্পসনের অবস্থা খারাপ থেকে খারাপতর হতে দেখলেও তারা সাহায্যের ব্যবস্থা কিংবা সাহায্য করার জন্য কিছুই করেননি।
এদিকে মেডিকেল এক্সামিনারের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে তার সেলে 'গুরুতর ছারপোকার উপদ্রব' ছিল। এছাড়াও মিঃ থম্পসনের শরীরে আঘাতের কোনও স্পষ্ট চিহ্ন নেই। প্রতিবেদনে মৃত্যুর কারণ অনির্ধারিত হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
ছারপোকায় কি মৃত্যু হতে পারে?
আইনজীবী মি. হার্পারের ছবিগুলো থেকে দেখা যায়, মি. থম্পসনের মুখ এবং বুক ছারপোকায় ঢেকে রয়েছে।
ছারপোকা বিশেষজ্ঞ এবং কেনটাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ মাইকেল পটার জানান, 'ছবিগুলোতে জেল সেলের যে অবস্থা দেখা গেছে, তা 'ভয়াবহ'। আমি ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ছারপোকা নিয়ে কাজ করেছি। কিন্তু আমি এরকম কিছু কখনো দেখিনি।"
ছারপোকার কামড় সাধারণত প্রাণঘাতী হয় না বলে জানিয়েছেন মি. পটার। "তবে দীর্ঘদিন ধরে যদি ছারপোকার উপদ্রব থাকে, তবে গুরুতরভাবে রক্ত কমে যেতে পারে, যার চিকিৎসা না করা হলে ব্যক্তি মারা যেতে পারে," বলে যোগ করেন তিনি।
"ছারপোকা মানুষের রক্ত খায়। এবং যত বেশি ছারপোকা তত বেশি রক্ত। অন্যান্য গুরুতর অবস্থায় আক্রান্তরা অ্যালার্জির মতো প্রতিক্রিয়া অনুভব করতে পারেন এবং অ্যানাফিল্যাকটিক শকে চলে যেতে পারেন, যা মৃত্যু ঘটাতে পারে।"
Post a Comment