তিন হাজার বছর আগে থেকেই স্পেনে মাদকের প্রচলন ছিল, বলছে গবেষণা



 ODD বাংলা ডেস্ক: এক নতুন গবেষণা থেকে জানা যায় স্পেনে তিন হাজার বছর আগেই সম্মোহনকারী মাদক সেবনের প্রচলন ছিল। 


গবেষকরা স্পেনের মেনোরকার এক প্রত্নতাত্ত্বিক গোরস্থান থেকে একগোছা চুল খুঁজে পান। সেটির উপাদান বিশ্লেষণ করে তারা নিশ্চিত হন সে সময়ের মানুষেরা এক ধরনের সম্মোহনকারী মাদক গ্রহণ করতো। পুরো ইউরোপজুড়ে সম্মোহনকারী মাদক গ্রহণের সবচেয়ে প্রাচীন এবং সরাসরি প্রমাণ এখানেই পাওয়া গিয়েছে। এগুলোর ফলে হ্যালুসিনেসন এবং ডেলিরিয়াম হতো বলে জানান গবেষকরা। 


প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান মেনোরকার দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের এস কারিটক্স গুহা থেকে পাওয়া নমুনার ভিত্তিতে সায়েন্টিফিক রিপোর্ট জার্নালে গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়। এই গুহাগুলোতে ২০০-রও বেশি মানুষের কবর দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হয় খ্রিস্টপূর্ব ৮০০ অব্দ পর্যন্ত প্রায় ছয়শ বছর ধরে এটি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াসহ অন্যান্য মৃত্যুকালীন ধর্মীয় আচার পালনের স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল এই স্থানটি।


গবেষণা অনুযায়ী, মাদক পদার্থগুলো গুহায় অনুষ্ঠিত ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের অংশ হিসাবে ব্যবহৃত হতো। উদ্ভিদ থেকে তৈরি এসব মাদকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণের সাথে শামান তথা ধর্মীয় পুরোহিত জড়িত থাকতে পারে।


চুলের গোছাকে প্রাচীন ধর্মীয় আচারের সময় লাল রঙ করা হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে চুলগুলো একাধিক ব্যক্তির মাথা থেকে এসেছে। এর মধ্যে তিন ধরনের সাইকোঅ্যাকটিভ পদার্থ শনাক্ত করা গিয়েছে।


হ্যালুসিনেশন তৈরি করা অ্যাট্রোপাইন এবং স্কোপোলামিনের সাথে বিজ্ঞানীরা শক্তি এবং সতর্কতা বাড়ানো এফিড্রিনও খুঁজে পেয়েছেন। গবেষকরা আরও উল্লেখ করেছেন যে, গুহাগুলোতে মোটিফ খোদাই করা ঢাকনাসহ পাত্রের মধ্যে চুলগুলোকে পাওয়া গিয়েছে।


এর আগে গুহাচিত্রে মাদক উৎপাদন করা যায় এমন গাছের উপস্থিতির মতো পরোক্ষ অনুমানের ওপর ভিত্তি করে প্রাগৈতিহাসিক যুগের ইউরোপে মাদক ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.