শেক্সপিয়ার: মৃত্যুর আগে কবরের গায়ে লিখলেন যে অভিশাপ

 


ODD বাংলা ডেস্ক: গতকাল ২৩ এপ্রিল ছিল মহান দার্শনিক ও সাহিত্যিক শেক্সপিয়ারের ৪০০তম মৃত্যুবার্ষিকী।

 

অনেকে মনে করেন ২৩ এপ্রিল তিনি জন্মগ্রহণও করেছিলেন। তিনি আজ বেঁচে থাকলে তার বয়স হত ৪৫২ বছর। 

আসুন তার সম্বন্ধে কিছু মজার তথ্য জানা যাক।


১. ভাষা এনসাইক্লোপেডিয়ার মতে ইংরেজিতে সর্বাধিক উদ্ধৃতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাইবেলের পরেই অবস্থান শেক্সপিয়ারের সাহিত্যের ।


২. তিনি ১৮ বছর বয়সে ২৬ বছর বয়সী নারীকে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় তার স্ত্রী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। সেই যুগের জন্য খুবই অভাবিত ঘটনা ছিল।


৩. ১৬৭০ সালে তার একমাত্র নাতনি নি:সন্তান অবস্থায় মারা যাবার পর কোন বংশ প্রদীপ ছিল না।


৪. তিনি ডাবল লাইফ যাপন করতেন। লন্ডনে তার পরিচয় সাহিত্যিক হলেও নিজ শহরে যেখানে তার স্ত্রী-কন্যা-পুত্র থাকতেন সেখানে তার পরিচয় ছিল সম্মানিত সফল ব্যবসায়ী ও সম্পত্তির মালিক।


৫. তিনি মোট ৩৭টি নাটক, ১৫৪টি সনেটসহ আরো কিছু কবিতা লিখেছেন। তবে তার বেশকিছু লেখা খোয়া যায়। তার নাটকের ১৩জন চরিত্রকে তিনি আত্মহত্যা করান।


৬. ইউরেনাস গ্রহের ২৭টি চাঁদের অনেকগুলোর নামকরণ হয় তার নাটকের চরিত্রের নামে।


৭. Shakespeare নামটি ৮০ভাবে রেকর্ড করা আছে। তিনি নিজেও বিভিন্ন সময় হরেক রকমভাবে নামটি লিখেছেন।


৮. যুক্তরাষ্ট্রের ৮০ মিলিয়ন স্টারলিং পাখি সেক্সপিয়ারের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকার কথা। তার লেখায় এই পাখির নামটি ব্যবহার করায় তার একজন ভক্ত। ১৮৯০ সালে নিউইয়র্কের সেন্ট্রালপার্কে এই অস্ট্রেলিয়ান প্রজাতির ১৬টি পাখি প্রথম নিয়ে আসেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে এই পাখি ছিল না।


৯. তিনি নিজে তার কোন লেখা প্রকাশ করেননি। তার মৃত্যুর পর দুজন অনুসারী এগুলো প্রকাশ করেন।


১০. কেউ কেউ মনে করেন কলেজে না পড়া সেক্সপিয়ার আসলে কিছুই লিখেননি। বরং এক বা একাধিক লেখক নিজেদের পরিচয় গোপন রাখতে তার নামটি ব্যবহার করেছেন। বেশ কয়েকজনের নাম এই সন্দেহজনক তালিকায় স্থান পেয়েছে। এদের মধ্যে অন্যতম এ্যাডওয়ার্ড ডি ভেরে, ফ্রান্সিস বেকন, ক্রীষ্টফার মারলো এবং মেরি সিডনি হারবার্ট।


১১. মৃত্যুকালে শেক্সপিয়ার সমস্ত সম্পত্তি তার কন্যা সুজানার নামে দিয়ে যান। আর উইলে স্ত্রীর নামে ছিল শুধু ফার্নিচারসহ তার দ্বিতীয় সেরা খাটটি।


১২. ঐ সময় নুতনদের জন্য জায়গা দিতে পুরনো কবর খুড়ে খালি করা হতো। তাই, মৃত্যুর আগে তার কবরের গায়ে একটি অভিশাপ সম কবিতা লিখে যান, যাতে কেউ কখনো তার কবর খুড়তে সাহস না পায়। অনেকের ধারনা, এজন্যই ৪০০ বছর ধরে কবরটি অক্ষত আছে।


তার নিজের লেখা সমাধিস্তম্ভ লিপিটি নিম্নরূপ: 


Good friend for Jesus' sake forbear,

To dig the dust enclosed here:

Blest be the man that spares these stones,

And curst be he that moves my bones.

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.