এআইয়ের লেখা গল্পে সয়লাব ম্যাগাজিন; কিন্তু কাউকে বোকা বানাতে পারছে না

 


ODD বাংলা ডেস্ক: শিলা উইলিয়ামস 'আসিমভ'স সাইন্স ফিকশন' ম্যাগাজিনের সম্পাদক। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তার কাছে 'দ্য লাস্ট হোপ' নামে একটি ছোটগল্প পাঠানো হয়। গল্পটি পর্যালোচনা করে যথাযথ মনে হওয়ায় তিনি গল্পটি প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেন। 


প্রথমদিকে সম্পাদক উইলিয়ামস গল্পটিকে খুব বেশি সন্দেহের চোখে দেখেননি। কেননা প্রতি মাসে তিনি প্রায় ৭০০ থেকে ৭৫০টি গল্প সম্পাদনা করেন এবং লেখকদের ঐ লেখাগুলো প্রকাশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন। তবে সন্দেহের শুরু হয় তখনই, যখন ঐ গল্পটি পাঠানোর কয়েক সপ্তাহ পর ঠিক একই নামে আরেকটি গল্প সম্পাদকের হাতে আসে। উইলিয়ামসের ততক্ষণে বুঝতে বাকি থাকে না যে, গল্প দুটির কোথাও একটা গণ্ডগোল রয়েছে। 


তবে ঘটনা এখানেই শেষ নয়। বরং সময়ের সাথে সাথে উইলিয়ামসকে 'দ্য লাস্ট হোপ' নামেই আরও প্রায় ২০টি গল্প পৃথক মেইল থেকে ভিন্ন ভিন্ন নামে পাঠানো হয়। সাহিত্য ম্যাগাজিনটির এ সম্পাদকের ধারণা, গল্পগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত টুলস ব্যবহার করে রচিত হয়েছে। তিনি আরও আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, অন্য ম্যাগাজিনে প্রকাশিত ভালো মানের গল্পের মধ্যেও হয়তো এআই রচিত কন্টেন্ট থাকতে পারে। 


আসিমভ'স ম্যাগাজিনে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে প্রায় ৯০০টি এবং গত মাসে প্রায় এক হাজার গল্প পাঠানো হয়েছে। গল্পগুলো পড়ার পর বেশ কয়েকটি গল্পকে সম্পাদক এআই রচিত গল্প হিসেবে শনাক্ত করেছেন। একইসাথে প্রতিনিয়ত গল্প পড়তে পড়তে এখন তার এমন অভ্যাস হয়েছে যে, লেখার প্রথমে কিছু নির্দিষ্ট প্যাটার্ন দেখলেই তিনি আন্দাজ করতে পারেন যে, লেখাটি হয়তো কোনো মানুষ লিখেননি।


এআইয়ের লেখা গল্পগুলোর নামে সামঞ্জস্য থাকার পাশাপাশি ঐসব গল্পের চরিত্রের মধ্যেও মিল দেখা যায়। কখনও কখনও পাঠানো পাণ্ডুলিপিতে গল্পের নাম পরিবর্তন করে দেওয়া হয়। চরিত্রের ক্ষেত্রেও কেউ হয়তো নামে আংশিক পরিবর্তন আনেন। আবার কেউ টুলস থেকে প্রাপ্ত নামের কোন পরিবর্তনই করেন না। এমনকি অনেকে এআই টুল দিয়ে রচিত গল্প ম্যাগাজিনে পাঠিয়ে চূড়ান্ত নির্বাচনের আগেই অর্থের দাবি করেন। 


এআই চালিত চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে গণমাধ্যম দ্য ভার্জ উইলিয়ামসের কাছে থাকা এআইয়ের লেখা গল্পের আদলে গল্প লেখার চেষ্টা করেছে। আসিমভ'স ম্যাগাজিনের সাবমিশন গাইডলাইন অনুযায়ী কমান্ড দিয়ে ছোট সাইন্স ফিকশন গল্প লেখার চেষ্টা করা হয়। ফলাফল হিসেবে দেখা যায়, ম্যাগাজিনটিতে পাঠানো গল্পের মতো 'দ্য লাস্ট ইকো', 'দ্য লাস্ট মেসেজ', দ্য লাস্ট ভয়েজার' নামে অসংখ্য গল্প তৈরি করেছে চ্যাটজিপিটি।   


ইতোমধ্যেই উইলিয়ামস ও তার দল এআই রচিত গল্পগুলো শনাক্ত করার কৌশল রপ্তের চেষ্টা করছেন। তবে অধিক মাত্রায় এ  ধরণের গল্প পাঠানোর ফলে সম্পাদক দলের যথেষ্ট বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আসিমভ'স ম্যাগাজিনের মত অন্য ম্যাগাজিনের সম্পাদকেরাও এআই চ্যাটবটের মাধ্যমে সৃষ্ট এ সমস্যার মুখোমুখি হয়ে প্রকৃত গল্পগুলো খুঁজতে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছেন। সমস্যাটি ভবিষ্যতে আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে। কেননা সাহিত্য ম্যাগাজিনগুলোতে লিখলে মোটা অঙ্কের টাকা পাওয়া যায় এবং এর কারণেই এআই টুলস ব্যবহার করে গল্প তৈরির প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।  


সম্পাদক উইলিয়াম এআই রচিত গল্পের ফিল্টারিং প্রসঙ্গে বলেন, "আমি যতটা দ্রুত সম্ভব সন্দেহজনক গল্পগুলো পড়ার চেষ্টা করি। তবে একটি গল্প ইমেইল থেকে ডাউনলোড করতে এবং পড়তে একটা নির্দিষ্ট সময় তো প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে এআইয়ের লেখা গল্পের পেছনে সময় অপচয় না করে সৃজনশীল গল্পে সময় ব্যয় করলে তা কাজে লাগতো।" 


এআই তৈরিকৃত গল্প পাঠানোর প্রবণতা এতটাই বেড়েছে যে, বেশ কয়েকটি ম্যাগাজিন আপাতত নতুন গল্প জমা নিচ্ছে না। গত সপ্তাহে জনপ্রিয় সাইন্স ফিকশন ম্যাগাজিন 'ক্লার্কসওয়ার্ল্ড' এআই রচিত গল্পের আধিক্যের কারণে সাময়িকভাবে গল্প জমা নেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ রেখেছে। 


ম্যাগাজিনটির সম্পাদক নীল ক্লার্ক জানান, এআই ব্যবহার করে গল্প লেখায় আমাদের ম্যাগাজিন বিপুল সংখ্যক লেখককে নিষিদ্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। শুধু চলতি মাসেই পাঠানো সর্বমোট ১২০০ গল্পের মধ্যে প্রায় ৫০০ গল্পই ছিল এআই রচিত!      


সম্পাদক ক্লার্ক মনে করেন, খুব জলদি টাকা আয়ের জন্য কিছু ব্যক্তি এসব গল্প প্রায়ই জমা দিচ্ছেন। তারা অনলাইনে বিভিন্ন সাইট থেকে ক্লার্কসওয়ার্ল্ড ও অন্য পাবলিকেশনগুলোতে অসদুপায় অবলম্বন করে গল্প পাঠানোর ব্যাপারে অনুপ্রেরণা লাভ করেন। 


উদাহরণস্বরূপ, ইন্টারনেটে বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট রয়েছে যেটি মার্কেটিং, রাইটিং ও বিজনেস সম্পর্কিত লেখালেখির জন্য সহজে টাকা আয়ের উপায় বলে দেয়। সেখানে থাকা একটি আর্টিকেলে ক্লার্কসওয়ার্ল্ড, আসিমভ'স ম্যাগাজিন থেকে শুরু করে বিবিসির মত প্ল্যাটফর্মে এআই টুল ব্যবহার করে লেখা পাঠানোর ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। এমনকি ঐ কন্টেন্টের মাঝেই তারা জ্যাসপারসহ আরও অন্যান্য এআই রাইটিং সফটওয়্যারের লিংক সরবারাহ করে থাকে।  


বেশিরভাগ পাবলিকেশনই পাঠানো গল্পের শব্দপ্রতি ৮ থেকে ১০ সেন্ট রেটে অর্থ প্রদান করে থাকে। তবে অনেক ক্ষেত্রে লেখার মানের উপর ভিত্তি করে কয়েকশ ডলার পর্যন্ত অর্থ প্রদান করা হয়। ক্লার্ক নিজের ব্লগে জানান যে, যেসব দেশ থেকে জালিয়াতি করে খুব বেশি পরিমাণে এআই রচিত লেখা জমা দেওয়া হচ্ছে সেসব দেশের লেখকদের 'স্ক্যামি' হিসেবে চিহ্নিত করা হতে পারে! এতে করে ঐ দেশের ভালো মানের লেখকেরাও লেখা পাঠানো থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।


কিন্তু এআইয়ের লেখা গল্প পাঠানোর ক্ষেত্রে অর্থ আয়ের সম্ভবনা একটি বড় ফ্যাক্টর। এ কারণে যেসব লেখককে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, ক্লার্ক তাদের বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বলেছেন। অনেকেই এ কাজ করার পেছনে তাদের অর্থ সংকটের কথা জানান। 


দ্য ভার্জের নিকট আরেকজন সম্পাদক জানান যে, এআই রচিত গল্পের আগেও যেসব দেশে জীবনযাত্রার খরচ খুবই কম, সেসব দেশ থেকে অনেক বেশি গল্প পাঠানো হতো। কেননা একটি প্রকাশনার জন্য প্রায় ৮০ ডলার পাওয়া যেত যা তাদের কাছে তুলনামূলক অনেক বেশি অর্থ।  


ক্লার্ক তার ম্যাগাজিনে সাবমিশন সিস্টেমে যে পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন সেখানে এআই রচিত গল্পের লেখকদের সম্পর্কে একটা আন্দাজ করা যায়। এমনকি ঐ সিস্টেমের মাধ্যমে লেখক নিজের আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করে একই লেখা অন্য কোনো ম্যাগাজিনে পাঠিয়েছেন কি-না সেটাও খুঁজে বের করা সম্ভব।  


এ বিষয়ে ক্লার্ক বলেন, "সাইন্স ফিকশনের সাথে সত্যিকার অর্থেই জড়িত মানুষেরা ভালো করেই জানেন যে, এআই ব্যবহার করে গল্প রচনা করে কোন লাভ নেই। খুব শীঘ্রই জালিয়াতি করা লেখকেরা বুঝতে পারবেন যে, তারা এভাবে (এআই ব্যবহার করে গল্প রচনা করে) কাজ করতে পারবেন না।"


তবে এআই ব্যবহার করে গল্প রচনার এ প্রবণতা শুধু সাইন্স ফিকশন কিংবা ফ্যান্টাসি পাবলিকেশনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। বরং হরর ও কথাসাহিত্যের জগতেও এ প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ফ্লাশ ফিকশন অনলাইন (এফএফও) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, "আমরা শুধু মানুষ কর্তৃক রচিত গল্প প্রকাশে বদ্ধপরিকর। তাই যদি কোন গল্প চ্যাটজিপিটি কিংবা অনুরূপ এআই টুলস ব্যবহার করে বানানো হয়, সেক্ষেত্রে ঐ গল্প প্রকাশ না করার ক্ষমতা আমাদের রয়েছে।" 


এফএফও ম্যাগাজিনের প্রকাশক এন্না ইয়েটস জানান, অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই তারা একই সূত্র থেকে ৩০ টিরও বেশি গল্প পাঠানোর প্রবণতা লক্ষ্য করেন। পরবর্তীতে এসব সাবমিশন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সবগুলো গল্পই এআইয়ের লেখা। যদিও প্রতিটিতে ভিন্নধর্মী কভার লেটার ও শব্দের গাঁথুনি দেখে খালি চোখে বোঝার উপায় নেই যে, এগুলো এআইয়ের লেখা। তবে ইয়েটস এবং তার সহকর্মীদের জানুয়ারি থেকেই সন্দেহ ছিল যে, তাদের কাছে এআই টুল ব্যবহার করে বানানো গল্প আসছে।

  

গত বছরের ডিসেম্বর মাসেই প্রকাশক ইয়েটস চ্যাটজিপিটির সক্ষমতা যাচাই করেছিল। চ্যাটবটটিতে নির্দিষ্ট ধাঁচে গল্প তৈরির কমান্ড দেওয়া হলে প্ল্যাটফর্মটি সফলভাবে গল্প বানাতে পারে। একইসাথে গল্পে চরিত্রের সৃষ্টি থেকে শুরু করে সুন্দর সমাপ্তি প্রদানেও সমর্থ হয়। তবে গল্পে ভেতরে গভীর উপলব্ধি সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছে চ্যাটজিপিটি। ইয়েটস মনে করেন, চলতি বছরের এফএফও ম্যাগাজিনে যে এক হাজার গল্প জমা হয়েছে সেগুলোর শতকরা পাঁচ ভাগই এআই রচিত।  


পূর্বে এফএফও ম্যাগাজিন শুধু মূলধারার লেখা প্রকাশ করতো যেগুলোর লিখন শৈলী খুবই প্রচলিত। সময়ের সাথে সাথে ম্যাগাজিনটি নিজেদের ক্ষেত্রকেও আরও প্রসারিত করেছিল। তবে বর্তমানে এআই ব্যবহারে গল্প রচনার প্রবণতার জন্য ম্যাগাজিনটি পূর্বের নির্ধারিত গাইডলাইনে ফিরে যেতে পারে। 


ইয়েটস ম্যাগাজিনের কর্মীদের এআই রচিত লেখা শনাক্তে প্রশিক্ষণ দেওয়ার তথ্য জানিয়ে বলেন, "একটি গল্পে ঠিক যা যা থাকার কথা তার সবই ঐ গল্পগুলোতে থাকে। লেখার মান বিবেচনায় প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সুন্দর বর্ণনা এবং বেশ কয়েকটি চরিত্র থাকে। এমনকি ব্যাকরণগত দিক থেকেও গল্পগুলো ঠিকঠাক হয়। তাই আপাতত আমাদের কাছে এআই রচিত গল্পগুলো ফিল্টারিং এ খুব ভালো কোনো সমাধান নেই।" 


এআই ব্যবহার করে এমনটা চলতে থাকলে অনেক ম্যাগাজিনে লেখালেখির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইয়েটস। এফএফও ম্যাগাজিন প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক লেখা জমা নিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে যদি শত শত এআই রচিত গল্প পাঠানো হয় তবে সত্যিকারের বহু প্রতিভাবান লেখক গল্প পাঠাতে পারবেন না। 


এসব গল্পগুলোকে ফিল্টারিং করতে ঠিক কী পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে, সে বিষয়ে সন্দিহান ইয়েট। এমনিতেই ম্যাগাজিনটি খুব কম বাজেটে সাবমিশনের কাজে একটি সফটওয়্যারটি চালিয়ে থাকে। এমতবস্থায় সফটওয়্যারটি আপডেট করাও খুবই ব্যয়বহুল হবে।


অন্য প্রকাশকেরাও কমবেশি একই সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন এবং সমস্যাটি আরও জটিল হওয়ার পূর্বেই এ নিয়ে আরও বিস্তর কাজ করা জরুরী বলে মত প্রকাশ করেছেন। সাইন্স ফিকশন লেখক ম্যাথিউ ক্রেসেল 'মোকশা' নামের একটি অনলাইন সাবমিশন সিস্টেম পরিচালনা করেন যেটি আবার বেশ কয়েকটি পাবলিকেশন সাবমিশনের কাজে ব্যবহার করে। ক্রেসেল জানান, তিনি ইতোমধ্যেই প্রকাশনাগুলোর কাছ থেকে এআই রচিত গল্পগুলো সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছেন। 


ক্রেসেল আরও বলেন, "মোকশা সাবমিশন সিস্টেমটিকে এআই রচিত লেখা সাবমিশনের বিরুদ্ধে আরও বেশি কার্যকরী করতে চাই। এক্ষেত্রে লেখাটি এআই সিস্টেম ব্যবহার করে রচিত কি-না লেখককে সেটি জিজ্ঞাসার জন্য একটি চেকবক্স যুক্ত করা যেতে পারে। এআই টুল ব্যবহার করে লেখা সাবমিট করার ক্ষেত্রে ঐ লেখককে ব্লক কিংবা সাবমিশন নিয়ন্ত্রণের করা যায় কি-না সে বিষয়েও চিন্তা করা হচ্ছে।"


তবে ক্রেসেল মনে করেন, লেখাটি যে এআই রচিত নয়, সেটি লেখকের কাছ থেকে জিজ্ঞাসা করা প্রাথমিকভাবে একটি ভালো পদক্ষেপ হতে পারে। এটা পুরো কাজকেই একটি স্বচ্ছতার মধ্যে নিয়ে আসবে। কেননা বর্তমানে এ সম্পর্কিত বহু ধরণের অনিশ্চয়তা রয়েছে। 


অন্যদিকে আসিমভ'স এর সম্পাদক উইলিয়ামস মনে করেন, এআই কর্তৃক লিখিত গল্পগুলো খুঁজে বের করার কাজটি সময় সাপেক্ষ এবং একইসাথে হতাশাজনক। এর ফলে ভালো মানের লেখকেরা মনে করতে পারেন যে, সম্পাদকেরা তাদের পাণ্ডুলিপি হয়তো পড়ছেন না।


তবে এ বিষয়ে নবীন লেখকদের আশ্বস্ত করে সম্পাদক উইলিয়ামস বলেন, "আমি এআই রচিত লেখা যাচাইয়ে ব্যস্ত আছি বলে ভালো লেখকদের লেখা যাচাই করতে পারবো না বিষয়টি এমন নয়। লেখকেরা উদ্বিগ্ন হবেন না। ভালো গল্প অবশ্যই প্রকাশিত হবে।"

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.