পরিবারের লোক তাঁকে ভুল বুঝেছিল, কীভাবে মুম্বই এলেন নিজেই জানান উরফি যাদব

 


ODD বাংলা ডেস্ক: আমি যখন মাত্র ১৫ বছরের, তখন কেউ বা কারা পর্ন সাইটে আমার ছবি পোস্ট করে দেন। উরফি বলেন, আমি টিউব টপ পরা এক সাধারণ ছবি ফেসবুকে প্রোফাইল পিকচরা করেছিলাম, সেই ছবিই কেউ ডাউনলোড করে পর্ন সাইটে পোস্ট করে দেন। বিষয়টা আত্মীয়রা জানতে পারলে আমাকেই দোষারোপ করা শুরু করলেন। আমাকে বলা হয়েছিল আমি নাকি পর্নস্টার। আমি অবাক হয়ে বললাম, তাই যদি হবে তাহলে ভিডিও কোথায়? এমনকি আমার বাবাও একথা বলেছিলেন। - উরফি এক সাক্ষাৎকারে বলেন ঠিক এমনটাই।


তাঁর বাবা নাকি আত্মীয়দের বলেন, পর্ন সাইটের লোকজন নাকি ৫০ লক্ষ টাকা দাবি করছেন। আম কিছুই বুঝিনি সেদিন, কিছু বলতেও পারিনি। কারণ আমায় মারধর করা হয়েছিল। কিন্তু, কেন মার খাচ্ছি বুঝতে পারিনি। আমি কিছু লোকজনের অন্যায়ের জন্য এমন পরিস্থিতির শিকার হয়ে গিয়েছিলাম। ‘আত্মীয়স্বজন একপ্রকার, নিজের বাবাও এমন করলে মেনে নেওয়া সহজ ছিল না। দু বছর অনেক শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার সহ্য করেছি, লোকজন খারাপ শব্দে আমায় ডাকত। বাবা এমন মারতেন যতক্ষণ না অজ্ঞান হয়ে যাই। তখন মনে হত আত্মহত্যা করি। তারপর ১৭ বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাই।’- উরফির কথায় এতটা কঠিন ছিল তাঁর জীবন।


এরপর শুরু হয় তাঁর জীবনের লড়াই। মারধর থেকে বাঁচতে তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। তারপর লখনউ-এ একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। টিউশন পড়িয়ে ভাড়া দিতেন। সেখান থেকে দিল্লিতে বন্ধুর ফ্ল্যাটে যায় উরফি। কল সেন্টারে কাজ করতে। পরে মুম্বই আসা। সেখানে অডিশন দিতে শুরু করে। এভাবে ফিল্মি দুনিয়ায় আসা উরফির। এমন জানান তিনি।


সকলেরই তাঁর প্রসঙ্গে খারাপ মন্তব্য করেন। তাঁর এমন অদ্ভুত পোশাক নিয়ে আলোচনা করেন। অধিকাংশের মতে উরফি খারাপ মেয়ে। কিন্তু, তাঁর জীবনের পিছনে রয়েছে কঠিন কাহিনি। এক প্রকার দুঃখে কেটেছে তাঁর জীবন। কিছু লোকজনের মশকরা তাঁর জীবনে অন্ধকার সময় ডেকে এনেছে। নিজের পরিবারের লোক তাঁকে ভুল বোঝে এক সময়। যার কারণে একা হয়ে গিয়েছিলেন উরফি। ভুল ধারণা পোষণ করেন তাঁকে নিয়ে। তবে, এখন সেই সকল পুরনো কথা ভুলে এগিয়ে চলেছে উরফি। নিজের মতো করে সাজিয়ে নিয়েছে নিজের পৃথিবীটাকে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.