স্বামীকে সুস্থ রাখতে রান্নাঘরে মেনে চলুন চাটু-কড়াইয়ের বাস্তু টিপস

 


ODD বাংলা ডেস্ক: বাস্তু শাস্ত্রে রান্নাঘরের বাস্তুর উল্লেখ পাওয়া যায়। পাশাপাশি রান্নাধরে রাখা একাধিক বস্তুর সঠিক ব্যবহারের নির্দেশ দিয়ে থাকে বাস্তু শাস্ত্র। বাস্তু মতে রান্নার কড়াই ও চাটু কী ভাবে রাখেন এবং কী ভাবে ব্যবহার করছেন তা-ও আমদের জীবনে প্রভাব বিস্তার করে থাকে।


জ্যোতিষ মতে চাটু ও কড়াই রাহুর প্রতিনিধিত্ব করে। কোনও বিবাহিত মহিলা যদি নোংরা চাটু বা কড়া ব্যবহার করেন, তা হলে তার প্রভাব সরাসরি তাঁর স্বামীর ওপর পড়ে। এর পাশাপাশি সন্তান ও স্বামী নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়তে শুরু করে। তাই বাড়ির অন্যান্য স্থানের বাস্তু ঠিক রাখার পাশাপাশি রান্নাঘরের বাস্তুর ওপরও জোর দিন। জেনে নিন চাটু ও কড়াইয়ের সঙ্গে জড়িত কিছু বাস্তু নিয়ম—


১. সকালে চাটু ব্যবহারের আগে, তা গরম করে তাতে নুন ছিটিয়ে নেওয়া উচিত। মনে করা হয় এর ফলে বাস্তু দোষ দূর হয়। উল্লেখ্য, এই নুন সাদা হওয়া উচিত, অর্থাৎ এতে লঙ্কা গুঁড়ো বা হলুদ গুঁড়ো মেশানো না-থাকে।


২. চাটু বা কড়াইকে কখনও তীক্ষ্ণ বা ধারযুক্ত বস্তু দিয়ে খোচাবেন না।


৩. চাটুতে সবার প্রথম ২ বা ৩ ইঞ্চির রুটি বানিয়ে নিন। এই রুটিটি গরু বা কুকুরকে খাইয়ে দেওয়া উচিত। এর প্রভাবে পরিবারের নেতিবাচক শক্তি সমাপ্ত হবে এবং সুখ-সমৃদ্ধির আগমন ঘটবে।


৪. চাটু ব্যবহার না-করলে তাকে এমন স্থানে রাখবেন যাতে কেউ দেখতে না-পারে।


৫. চাটু ও কড়া কখনও উল্টো রাখতে নেই।


৬. যেখানে রান্না করেন, তার ডান দিকে চাটু ও কড়াই রাখা উচিত।


৭. রান্নার পর গ্যাসের ওপর চাটু বা কড়া ছেড়ে দেবেন না। অথবা সিঙ্কেও চাটু বা কড়া ফেলে রাখবেন না। বাস্তু মতে গৃহস্বামীর স্বাস্থ্যের ওপর এর কুপ্রভাব পড়ে।


৮. গরম চাটুতে জল ছেটাবেন না। গরম চাটুতে জল ছেটালে যে শব্দ উৎপন্ন হয়, তা জীবনে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।


৯. রাত্রে রান্নার পর চাটু ধুয়ে রাখা উচিত।


১০. সমস্ত বাসনের মধ্যে চাটু ও কড়া অত্যন্ত সম্মানের বস্তু। চাটু ও কড়া কখনও এঁটো করা উচিত নয়। আবার এতে কোনও এঁটো বস্তু রাখাও উচিত নয়। চাটু ও কড়া যত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবেন, ততই অর্থ আগমনের পথ প্রশস্ত হবে।


১১. চাটু ঠান্ডা হয়ে গেলে তাতে নুন ও লেবু ঘষে নেওয়া উচিত। এর ফলে চাটু উজ্জ্বল হবে। বাস্তু মতে এই উজ্জ্বল চাটু আপনার ভাগ্যকেও চমকে দেবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.