২৮ এপ্রিল শুনানি, প্রকাশ্যের অভিনেত্রী জিয়া খান আত্মহত্যার মামলার শুনানির দিন
ODD বাংলা ডেস্ক: অল্প দিনে পেয়েছিলেন সাফল্য। কেরিয়ারের শুরুতেই আমির খান থেকে অমিতাভ বচ্চনের মতো স্টারের সঙ্গে কাজ করেছেন। ফিল্মি দুনিয়ায় নাম করতে না করতেই ছন্দ পতন। আত্মহত্যা করে বসেন জিয়া খান। ২০১৩ সালে ৩ মে মুম্বইয়ের ফ্ল্যাটে মেলে তাঁর ঝুলন্ত দেহ। এর পরই শুরু হয় নানান জল্পনা। মামলা দায়ের হয়েছিল সুরজ পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে। কারণ সুরজের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন জিয়া। আত্মহত্যার প্রচোরনা দেওয়ার মামলা দায়ের হয় মামলা। এবার সেই মামলার শুনানির দিন এগিয়ে এল। আগামী ২৮ এপ্রিল শুনানি হবে জিয়া খানের মামলার।
জিয়া ও সুরজ বেশ কিছুদিন সম্পর্কে ধরে ছিলেন। জিয়ার মৃতদেহের সঙ্গে একটি চিঠি পাওয়া যায়। যেখানে জিয়া লিখেছিলেন, তিনি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তিনি লিখেছিলন, আমি অনেক স্বপ্ন দেখেছিলাম তোমার সঙ্গে এক সঙ্গে থাকার। আমার সব স্বপ্ন ভেঙে গেল। জানা গিয়েছিল, সুরজের সঙ্গী অশান্তির জেড়েই আত্মহত্যা করেছিলেন জিয়া। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত তা প্রমাণিত হয়নি। বর্তমানে চলছে সেই মামলা। এবার ২৮ এপ্রিল হবে শুানানি।
দীর্ঘদিন কেস লড়ছেন জিয়ার পরিবারে। আদিত্য পঞ্চালির ছেলের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে নানান সমস্যায় পড়তে হয়েছে জিয়ার পরিবাকে। জিয়ার মা রাবিয়া জানিয়েছিলেন, ‘ক্ষমতা ও অর্থের অপব্যবহার করে যদি এভাবে কোনও মৃত্যুর ঘটনা আটকানে য়ায় তাহলে আমরা সাধারণ মানুষ কোথায় যাব? কার কাছে যাব?’ তিনি জানিয়েছিলেন, সুরজের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন নানা ভাবে হেনস্থা করা হত তাঁকে। সুরজ ও তার বিরুদ্ধে ছিল অভিযোগ। তবে, এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল সুরজের পরিবার। সেই মামলা আজও চলছে। এখনও জিয়া খানের মৃত্যুর কারণ খুঁজে চলেছে আদালত। শীঘ্রই এই মামলার নিষ্পত্তি হবে। প্রকাশ হবে আদালতের রায়।
এদিকে এক সময় সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার ঘটনায় বলিউড সরব হয়েছিল। সেই সময় নেপোটিজমের অভিযোগ ওঠে একাধিক হেভি ওয়াট ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এতে অংশ নিয়েছেল জিরা মা-ও। তিনি বলেছেন, বলিউডে এবার এমন সমস্যার অবসান হওয়া দরকার। প্রায় ১০ বছর হতে চলল জিয়ার মৃত্যুর আজও চলছে মামলা। এদিকে ফেব্রুয়ারি মানে জিয়া খানের মৃত্যুর মামলায় আদিত্য পাঞ্চোলিকে তলব করেছিল আদালত। সেশন কোর্টর হাজিরার নির্দেশ ছিল আদিত্য পাঞ্চোলি সহ পাঁচ জনের। সে যাই হোক, এখন অপেক্ষা শুধু আদালতের শুনানির।
Post a Comment