হাড় দুর্বল হলে যেসব উপসর্গ দেখা দেয়

 


ODD বাংলা ডেস্ক: ছোটবেলা থেকেই হাড়ের সুস্থতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুধ পান থেকে শুরু করে নিয়মিত ব্যায়াম হাড় সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। কিন্তু অনেকেই অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ না করার কারণে হাড়ের স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে ফেলে। হাড় দুর্বল এবং ভঙ্গুর হয়ে পড়লে সেই অবস্থাকে অস্টিওপোরোসিস বলা হয়। এমন হলে হাড় এতটাই দুর্বল হয়ে যায় যে সামান্য পড়ে গেলেও ফ্র্যাকচার হতে পারে। এ কারণে দুর্বল হাড়ের লক্ষণ ও উপসর্গ জানা খুবই জরুরি। তাহলে আগে থেকেই চিকিৎসা নেওয়া যায়। 'এনডিটিভি'র প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে দুর্বল হাড়ের কিছু লক্ষণের কথা।


দাঁতের মাড়ি ক্ষয় : হাড় দুর্বল হলে মাড়ির ক্ষয় হতে পারে। সেক্ষেত্রে দন্তচিকিৎসকের পরামর্শে হাড়ের ক্ষয়ের জন্য স্ক্রীন করতে পারেন।


দুর্বল এবং ভঙ্গুর নখ: বিভিন্ন কারণের কারণে নখ ভেঙে যেতে পারে। হাড়ের স্বাস্থ্য দুর্বল হলেও নখ ভেঙে যেতে পারে।  


কোন কিছু ধরার শক্তি কমে যাওয়া : কোন কিছু ধরার শক্তি কমে যাওয়া হাড়ের দুর্বলতার সঙ্গে যুক্ত। এটি আপনার দৈনন্দিন কার্যক্রম প্রভাবিত করতে পারে।


পিঠ এবং ঘাড় ব্যথা: এই ব্যথা হালকা থেকে শক্তিশালী হতে পারে। অনেকসময় বসার ভঙ্গির কারণে অনেকের পিঠে এবং ঘাড়ের ব্যথা হয়। তবে এ ধরনের ব্যথা অস্টিওপোরোসিসের লক্ষণও হতে পারে।


শরীরে পরিবর্তন: অস্টিওপোরোসিস হলে শরীরে বিভিন্ন পরিবর্তন দেখা দেয়। এই অসুখের উপসর্গের মধ্যে জরুরি হলো, হঠাৎ দৈহিক উচ্চতা কমতে থাকা। কোমরে বা শরীরের কোনো অংশে সব সময় যন্ত্রণা হওয়া।


বিশেষজ্ঞদের মতে, হাড় দুর্বল হওয়া প্রতিরোধে প্রতিদিন ৩০ মিনিট অন্তত ব্যায়াম করা প্রয়োজন। ফল, সবজি, ব্রোকোলি, আমন্ডের মতো খাবার খেলে হাড় শক্ত হয় এবং অস্টিওপোরিসসের ভয় খানিক কমে। এছাড়া প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া দরকার। জল হাড় থেকে অপ্রয়োজনীয় টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। অন্তত এক ঘন্টা করে প্রতিদিন শরীরে সূর্যের তাপ লাগানো প্রয়োজন, যাতে হাড় মজবুত হয়। পাশপাশি ধূমপান এবং মদ্যপান থেকে বিরত থাকা জরুরি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.