সিজারের পর বেল্ট ব্যবহারের সুবিধা-অসুবিধা
ODD বাংলা ডেস্ক: স্বাভাবিক প্রসবের তুলনায় সিজারিয়ান অপারেশন অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। সিজারিয়ান অপারেশন মায়ের জন্য কিছু শারীরিক জটিলতা তৈরি করে।
বিষয়টি সম্পর্কে রহিমা ম্যাটারনিটি ক্লিনিকের চিকিৎসক রহিমা আক্তার বলেন, দেশে এখন সিজারিয়ান পদ্ধতির বদলে স্বাভাবিক প্রসবেই সবার আগ্রহ বেশি। কারণ সিজারিয়ানদের মেদ বাড়াসহ কিছু বাড়তি শারীরিক জটিলতা তৈরি হয়। তারপরও নানা জটিলতার কারণে অনেকেই সিজারিয়ান পদ্ধতিতে সন্তান জন্ম দেন।
সিজারিয়ান পদ্ধতিতে সন্তান জন্ম দেওয়ার পর পেটের মেদ কমিয়ে আগের অবস্থায় ফেরার জন্য অনেক সময় লাগে। সেজন্য অনেকে বেল্ট ব্যবহারের চিন্তা করেন। কিন্তু বেল্ট ব্যবহার করলে পেটে বেশি চাপ পড়ায় ক্ষতি হবে কি-না তা বিবেচনায় থাকে। তাই সিজারিয়ান পদ্ধতিতে সন্তান জন্ম দিলে বেল্ট ব্যবহার করলে কি সুবিধা হবে নাকি অসুবিধা হবে সে বিষয়ে রহিমা আক্তারের পরামর্শগুলো কাজে আসবে:
অপারেশনের পর যখন এনেস্থেশিয়ার প্রভাব কেটে যাবে তখনই বেল্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। বেল্ট ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে। সাইজ অনুসারে সঠিকভাবে পরুন। টাইট করে পরবেন না।
বেল্ট ব্যবহার করলে অপারেশনের জায়গার ওপর চাপ পড়ে এমন ধারণা একটু ভুল। আপনি যদি আপনার কোমরের মাপ না জেনে ছোট বেল্ট পরেন তাহলে স্বাভাবিকভাবেই কষ্ট হওয়ার কথা। কিন্তু সঠিক সাইজের বেল্ট পরলে আপনার অপারেশনের জায়গায় ব্যথা কম হবে।
অনেকেই সিজারিয়ান অপারেশনের পর সবসময় বেল্ট পরে থাকেন। মা যখন হাঁটাচলা করবে তখন বেল্ট পরতে হবে। বেল্ট মূলত তার পেটের একটি অংশকে স্টেবল রাখতে সাহায্য করে। শুয়ে থাকার সময় বেল্ট পরার প্রয়োজন নেই।
অনেক সময় শুয়ে থাকা অবস্থায় বেকায়দা ভঙ্গিতে পড়লে পেটে বাজে চাও পড়তে পারে।
সিজারিয়ান অপারেশন করার পর এক বা দুই সপ্তাহ বেল্ট ব্যবহার করলেই হয়। অপারেশনের পর আপনার পেটের কাটা অংশে নড়াচড়া থামাতে বেল্টটা কাজে আসে। অনেকে ভাবেন এটি পেটের মেদ কমায়। আদপে এমন কিছু হওয়ার পক্ষে মেডিক্যাল সায়েন্সের হাতে প্রমাণ নেই। একথা সত্য, পেটের ওপর উষ্ণতার কারণে ঘাম ঝরিয়ে বা ক্যালরি বার্ন করানোর জন্য বেল্ট পরেন। কিন্তু এভাবে ক্যালরি বার্ন হয় খুবই সামান্য।
কমদামি বেল্ট কিনবেন না। এমন বেল্ট কিনুন যার ব্যাক সাপোর্ট রয়েছে।
Post a Comment