অর্থাভাব-লোকাসনে বিধ্বস্ত? ছোট্ট একটি মাটির কলসি দূর করবে আপনার সব অনটন
ODD বাংলা ডেস্ক: অর্থ উপার্জনের জন্য প্রত্যেকে কঠোর পরিশ্রম করে থাকি। এর পাশাপাশি লক্ষ্মীকে প্রসন্ন করার জন্যও নানান উপায় করেন অনেকেই। হিন্দু ধর্ম ও বাস্তু শাস্ত্রে পূজার্চনা ও নানান টোটকার মাধ্যমে লক্ষ্মীকে খুশি করার পন্থা সম্পর্কে জানানো রয়েছে। পাশাপাশি এমন কিছু উপায় সম্পর্কে উল্লেখ রয়েছে যা করলে লক্ষ্মী আনন্দিত হয়ে কৃপা বর্ষণ করেন। এই উপায় প্রচুর সুখ ও অর্থ প্রদান করে থাকে। এমনই একটি সহজ উপায় রয়েছে মাটির কলসির। যার সাহায্যে অর্থাভাব দূর করতে পারেন। কী এই উপায় জেনে নিন।
১. প্রচুর অর্থ লাভের জন্য একটি ছোট মাটির কলসিতে ১ টাকার ৫টি কয়েন রাখুন। তার পর এর মধ্যে চাল, গম বা যব কানায় কানায় ভরে দিন। তার পর লাল রঙের কাপড় দিয়ে ঢেকে মৌলী সুতো দিয়ে এর মুখ বেঁধে দিন। এই কলসিটিকে লক্ষ্মীর মূর্তির পাশে রেখে নিয়ম মেনে পুজো করুন। পরের দিন ফের সেই কলসির পুজো করুন ও তা সেখান থেকে তুলে টাকা রাখার জায়গায় রেখে দিন। এর প্রভাবে বাড়িতে অর্থ আগমন বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে।
২. আবার বাস্তু শাস্ত্র মতে বাড়িতে জল ভরতি মাটির কলসি রাখা উচিত। এর ফলে পরিবারে কখনও অর্থাভাব থাকে না। ছোট মাটির কলসিতে জল ভরে রাখতে পারেন। তবে এই কলসি যেন সবসময় জল ভরতি থাকে।
৩. উত্তর দিককে কুবেরের দিক মনে করা হয়। এই দিকে জলের কলসি থাকা অত্যন্ত শুভ। তাই জল ভরতি কলসিকে সবসময় উত্তর দিকে রাখা উচিত। এর ফলে অর্থ আগমন হবে।
৪. এখন প্লাস্টিক ফাইবারের দেবমূর্তি পাওয়া গেলেও পুজোর জন্য মাটির মূর্তিই শ্রেষ্ঠ। তাই বাড়িতে মাটির মূর্তি রাখা উচিত। এর ফলে কখনও আর্থিক সমস্য়া হয় না।
৫. আর্থিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মাটির কলসির পাশে প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করুন। এর ফলে আর্থিক সমস্যা দূর হবে।
৬. মাটির কলসি থেকে গাছে জল দিলে মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৭. একটি নারকেল লাল কাপড়ে মুড়িয়ে মৌলী সুতোর দ্বারা বেঁধে নিন। তার পর লক্ষ্মীর কাছে রেখে নিয়ম মেনে তার পুজো করুন। তার পর সেই নারকেল টাকা রাখার স্থানে রেখে দিন। এতে খুশি হয়ে লক্ষ্মী ধন-সম্পদে ভরে দেবেন।
৮. বার বার আর্থিক ক্ষতি বা ব্যবসায় লোকসান হলে শুক্রবার লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দির গিয়ে পুজো করুন। পুজোয় হলুদ চাল ও লাল গোলাপ মিশিয়ে লক্ষ্মীকে নিবেদন করুন ও নিজের গৃহে আসার আমন্ত্রণ জানান। ১১ শুক্রবার এই উপায় করলে অর্থাভাব থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
Post a Comment