এই দিনগুলিতে রুটি বানালে দুঃখে কাটাতে হবে সারা জীবন, পরিবারের ওপর বাড়বে কষ্টের বোঝা!

 


ODD বাংলা ডেস্ক: আমরা দিন, শুভক্ষণ দেখে কাজ করি। শুভ কাজ করার সময় মুহূর্ত তো দেখা হয়ই, এর পাশাপাশি দৈনন্দিন কাজকর্ম করার সময়েও সেই দিন, সময় ইত্যাদি বিচার করি। বিশেষ কিছু খাবার-দাবার রান্না ও তৈরির ক্ষেত্রেও দিন বিচার করা হয়ে থাকে। যেমন একাদশীর দিনে চাল খাওয়া নিষিদ্ধ। তেমনই রুটি তৈরির সঙ্গেও কিছু নিয়ম জড়িত। আমরা প্রতিদিন রুটি তৈরি করি। কখনও অফিস বা স্কুলের টিফিনের জন্য, কখনও আবার রাতের খাবারে। কিন্তু হিন্দু শাস্ত্রে এমন ৫টি সময় রয়েছে, যখন রুটি রান্না করতে নেই। শাস্ত্র বলছে এদিন ভুল করে রুটি তৈরি করে নিলে তা সারা জীবনের দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কোন কোন সময়ে রুটি তৈরি করবেন না জেনে নিন।


১. লক্ষ্মী পুজো


সনাতন ধর্ম অনুযায়ী লক্ষ্মী পুজো বা লক্ষ্মীর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত যে কোনও উৎসবে রুটি করতে নেই। এর পরিবর্তে নানান পদ রান্না করা উচিত। এ সময়ে লুচি, তরকারি, পায়েস রান্না করে গ্রহণ করা উচিত। এই তিথিতে রুটি তৈরি করলে লক্ষ্মী মনে করবেন যে, তাঁর আগমনে পরিবারের সদস্যরা আনন্দিত নন।


২. শরৎ পূর্ণিমা


এই তিথিতে পায়েস রান্না করে সন্ধ্যাবেলা চাঁদের আলোয় রেখে তা পরের দিন প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করা উচিত। মনে করা হয় এই তিথিতে আকাশ থেকে অমৃত বর্ষা হয়। যার ফলে পায়েস অমৃতে পরিণত হয়। এই তিথিতে ভুলেও রুটি বানাবেন না।



৩. শীতলাষ্টমী


এই তিথিতে শীতলা মায়ের পুজো করা হয়। এদিন বাসী খাবারের ভোগ নিবেদন করা হয়। তার পর অবশিষ্ট খাবার প্রসাদ রূপে গ্রহণ করার প্রথা প্রচলিত আছে। এই তিথিতে রুটি নিবেদন করা হয় না।


৪. নাগপঞ্চমী


শাস্ত্র মতে নাগপঞ্চমীতে উনুনে চাটু রাখা ও রুটি তৈরি করা নিষিদ্ধ। শাস্ত্রে চাটুকে নাগের ফনার প্রতীক মনে করা হয়। তাই নাগপঞ্চমীতে উনুনে চাটু রাখবেন না। এর পরিবর্তে লুচি করতে পারেন।


৫. মৃত্যু


পুরাণ অনুযায়ী কোনও ব্যক্তির মৃত্যুর পর ভুলেও রুটি বানাতে নেই। এ সময়ে পরোটা করা যেতে পারে। শ্রাদ্ধের পর রুটি করা যেতে পারে। শাস্ত্র মতে এ সময়ে রুটি করলে পরিবারের সদস্যদের অশুভ ফলাফল ভোগ করতে হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.