অবিকল ‘বার্বি’ হতে একের পর এক অস্ত্রোপচার, খসালেন কোটি টাকা
ODD বাংলা ডেস্ক: পছন্দের পুতুল ‘বার্বি’র মতো জীবনই তো চেয়েছিলেন তিনি! কিন্তু খোদ নিজেকেই পাল্টে ফেলা তো এত সহজ কাজ নয়! কৃত্রিম স্তন প্রতিস্থাপন, মাত্র ১৮ বছর বয়সেই ওই তরুণী তাঁর ঠোঁটেও অস্ত্রোপচার করেন। ধাপে ধাপে গাল, নাক, চোয়াল এবং কপাল সবই বার্বি পুতুলের মতো করে গড়িয়ে ফেলেন।
প্রায় ১ কোটি টাকা খরচ করে ‘বার্বি’ সেজেছেন ২৫ বছর বয়সী এক তরুণী। অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের বাসিন্দা জাজমিন ফরেস্ট সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, একাধিক অস্ত্রোপচারের পর নতুন পাওয়া এই রূপ তার জীবন সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছে।
ওই তরুণীকে এখন বাস্তবের বার্বি রাজকুমারীর মতো দেখতে। কয়েকটি বিশেষ সার্জারি করিয়ে নিজেকে বার্বি করে তুলেছেন ওই তরুণী। অস্ট্রেলিয়ার একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাজমিন ফরেস্ট নামের ওই তরুণী তার অভিজ্ঞতার কথাও জানিয়েছেন। তার জীবনকে আগাগোড়া পাল্টে দিয়েছে এই সার্জারি। তার কথায়, ১৮ বছর বয়সে প্রথমবার তাকে সার্জারির মুখোমুখি হতে হয়। সেই সময় স্তনের আকৃতি বাড়াতেই সার্জারি করিয়েছিলেন তিনি। এরপর লস অ্যাঞ্জেলেসে ছুটিতে যাওয়ার সময় আবারও সার্জারি করান তিনি।
ওই তরুণী তার ঠোঁটেও অস্ত্রোপচার করেন। ধাপে ধাপে গাল, নাক, চোয়াল এবং কপাল সবই বার্বি পুতুলের মতো করে গড়িয়ে ফেলেন। এ ছাড়াও ত্বক টানটান রাখতে জাজমিন নিয়মিত ‘বোটক্স’ ইঞ্জেকশনও নেন। এর পর ২৪ বছর বয়সে আবারও তিনি অস্ত্রোপচার করান। তবে এ বার পেট, হাত, ঊরু, কোমর এবং মুখের বিভিন্ন অংশ থেকে মেদ ঝরানোর লক্ষ্যে ‘লাইপোসাকশন’ পন্থা অবলম্বন করেন।
এরই মধ্যে নিজেকে বাস্তবের বার্বি করে তোলার জন্য ফরেস্ট একাধিক প্লাস্টিক সার্জারি করেছেন। ভবিষ্যতে আরো এমন একাধিক সার্জারি করানোর পরিকল্পনা রয়েছে তার। এর পেছনে একটি বড় কারণও রয়েছে বলে তার মত। তার কথায়, অস্ত্রোপচার করে বাস্তবের বার্বি হয়ে উঠতে না পারলে তার পক্ষে জীবনে এগিয়ে যাওয়া মুশকিল ছিল। এখন তাকে এভাবে দেখে অনেকেই সাহসী নারী বলে মনে করেন। যখন তিনি কিশোরী ছিলেন, তখনই ভেবেছিলেন প্লাস্টিক সার্জারি করে নিজের ভোল পাল্টে ফেলবেন। এখন ধীরে ধীরে নিজের সেই স্বপ্নই পূরণ করছেন জাজমিন।
একইসঙ্গে জাজমিন এও বলেন, তিনি রাস্তায় নকল স্তন নিয়ে মেয়েদের ঘোরাফেরা করতে দেখতেন। পাশাপাশি সুন্দরী নারীদের প্রতি পুরুষরা কেমন আচরণ করেন, সেও তার নজর এড়াত না। তাই সব মিলিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেন জাজমিন। তখনই ঠিক করে ফেলেন বড় হয়ে নিজের শরীরেই বিনিয়োগ করতে হবে তাকে।
শুধু তাই নয়, প্রতিটি অস্ত্রোপচারের পর নিজের পাল্টে যাওয়া চেহারাকে বেশ উপভোগ করতেন তিনি। তার প্রতি ছেলে ও মেয়েদের ব্যবহারও অনেকটা পাল্টে যায় সার্জারির পর। জাজমিন জানান, আরও উন্নত অস্ত্রোপচারের জন্য খুব সম্প্রতি তিনি দক্ষিণ কোরিয়া পাড়ি দেবেন।
Post a Comment