মুক্তি মেলে শনি-মঙ্গল-কেতুর দশা থেকে! বাড়ির বাইরে এক নিম গাছ বদলে দিতে পারে ভাগ্য

 


ODD বাংলা ডেস্ক:  নিম একটি অত্যন্ত উপকারী গাছ। আয়ুর্বেদে যেমন নিমের অনেক উপকারী গুণাগুণের কথা বলা আছে, তেমনই জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারেও নিমের প্রচুর লাভজনক প্রভাব রয়েছে। মানুষের জীবনের উপর নিমগাছ নানা ভাবে গভীর প্রভাব বিস্তার করতে পারে। হিন্দুধর্মে নানা গাছের পুজো করা হয়, তার মধ্যে নিমগাছ অন্যতম। নিমের প্রভাবে অশুভ শক্তি দূর হতে পারে। কিন্তু জানেন কি বাড়ির সঠিক দিকে নিম গাছ পুঁতলে শনির দশা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। মঙ্গল ও কেতুর ক্ষতিকর প্রভাব থেকেও বাঁচাতে পারে নিম। নিম গাছ বাস্তু দোষ থেকেও মুক্তি দেয়।


নিমগাছের মাহাত্ম্য


হিন্দুধর্মে নিমগাছের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বাড়ির বাইরে নিমগাছ থাকলে তা অশুভ শক্তি থেকে রক্ষা করে। এছাড়া শনি, মঙ্গল ও রাহু-কেতুর অশুভ দশা থেকেও বাঁচায় নিমগাছ। বাড়ির সঠিক দিকে নিমগাছ থাকলে ঈশ্বরের আশীর্বাদ লাভ করা সম্ভব হয়। নিমগাছ সরাসরি মঙ্গলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বলে মনে করা হয়। এছাড়া শনি ও কেতুর সঙ্গেও সম্পর্ক রয়েছে নিমের। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে বাড়ির দক্ষিণ দিকে নিমগাছ থাকা অত্যন্ত শুভ। যে বাড়ির দক্ষিণ দিকে নিমগাছ থাকে, সেই বাড়িতে শুভ শক্তির প্রভাব সব সময় থাকে।


হিন্দুধর্মে নিমগাছে নিমাড়ি দেবী বলা হয়ে থাকে। নিম গাছেই এই দেবীর অবস্থান। নিমগাছের কাঠ দিয়ে যজ্ঞ করলে সব বাস্তু দোষ কেটে যায় বলে মনে করা হয়। নিমগাছের কাঠ দিয়ে যজ্ঞ করলে প্রয়াত পিতৃপুরুরা খুশি হন। এর ফলে পিতৃদোষ কেটে গিয়ে সেই সংসারে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি ফেরে। এছাড়া নিম কাঠের ধোঁয়ায় অশুভ শক্তি দূর হয়।


জ্যোতিষে নিমের গুরুত্ব


নিম গাছের গোড়ায় রোজ জল দিলে খুশি হন বজরংবলী। তাঁর আশীর্বাদে শনি, মঙ্গল ও কেতুর দশা দূর হয়। নিম কাঠের মালা গলায় পরলেও শনির দোষ দূর করা সম্ভব হয়। অন্য়দিকে স্নানের জলে রোজ নিমপাতা মিশিয়ে স্নান করলে কেতুর দোষ কেটে যায় বলে মনে করা হয়। বাড়ির বাইরে নিমগাছ বসালে কোনও কোনও রাশির জাতকরা বিশেষ ভাবে উপকৃত হন। জ্যোতিষ অনুসারে এই দুই রাশির গ্রহ অধিপতি হল শনি। তাই এই দুই রাশির জাতকদের বাড়ির বাইরে নিমগাছ থাকলে এঁদের জীবনের অনেক সমস্যা দূর হয়ে যেতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.