চন্দনের এই উপায়ে রাতারাতি লাখপতি হতে পারেন! জেনে নিন চন্দনের সহজ টোটকা



ODD বাংলা ডেস্ক: চন্দন গাছের গায়ে জড়িয়ে থাকে মারাত্মক বিষধর সাপ। তবু কখনও বিষাক্ত বা অশুদ্ধ হয়ে যায় না চন্দন। শরীর শীতল রাখতে ও সৌন্দর্যচর্চায় প্রাচীনকাল থেকেই চন্দন ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এমনকি শাস্ত্র অনুসারে দেবতারাও তাঁদের রূপটান করেন চন্দন দিয়ে। জ্যোতিষ অনুসারে চন্দন অত্যন্ত শুভ। কপালে চন্দনের তিলক লাগালে সব অশুভ শক্তি দূর হয় যায় এবং জীবনে সুখ ও শান্তি বজায় থাকে। চন্দন ব্যবহার করে কোষ্ঠীতে বৃহস্পতির অশুভ দশাও কাটানো যায়। জেনে নিন চন্দনের সহজ টোটকা দিয়ে কী ভাবে জীবনে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি লাভ করবেন।


* বাড়িতে নানা কারণে অশান্তি চললে গুরু পুষ্য নক্ষত্রের আগের দিন সিঁদুর, হলুদ চাল ও জল কোনও চন্দন গাছের গোড়ায় নিবেদন করুন। এর পরের দিন ওই চন্দন গাছ থেকে সামান্য কাঠের টুকরো কেটে নিয়ে নিজের বাড়ির মূল দরজার সামনে লাল কাপড়ে বেঁধে ঝুলিয়ে দিন। এর ফল নেগেটিভ এনার্জি সরে গিয়ে বাড়িতে পজিটিভ এনার্জি বিরাজ করবে।


* আর্থিক উন্নতির জন্য লাল কাপড়ে এক টুকরো চন্দন কাঠ বেঁধে তা মা লক্ষ্মীর চরণে নিবেদন করুন। এরপর কনকধারা স্তোত্র পাঠ করলে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ আপনাক উপর বর্ষিত হবে।


* দাম্পত্য জীবনে সুখের জন্য পাঁজিতে শুভ সময় দেখে চন্দন কাঠের একটা ছোট টুকরো গঙ্গাজলে ধুয়ে নিন। তারপর এই চন্দন কাঠ এক টুকরো ফিটকিরির সঙ্গে বেঁধে নিজের কোমরে বেঁধে নিন। এর ফলে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসার টান বরাবর বজায় থাকবে।


* কোষ্ঠীতে বৃহস্পতিকে শক্তিশালী করতে প্রতি বৃহস্পতিবার কপালে সাদা বা লাল চন্দনের তিলক পরুন। এর ফলে মনে শান্তি পাবেন এবং সম্পদ বৃদ্ধি পাবে।


* প্রতিদিন কপালে চন্দনের তিলক পরলে অশুভ নজর কেটে যায় বলে মনে করা হয়।


* বাস্তু দোষ দূর করতেও চন্দন উপকারী। কর্পূরের সঙ্গে চন্দনগুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এর সঙ্গে অশ্বগন্ধা ও গোক্ষুর গুঁড়ো মিশিয়ে ৪০ দিন ধরে যজ্ঞ করতে হবে। সম্ভব হলে বাড়ির দক্ষিণ বা পশ্চিম দিকে চন্দন গাছ পুঁতুন। এর ফলে বাস্তু দোষ কেটে যাবে এবং পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.