ধনে পাতার এত গুণ!

 


ODD বাংলা ডেস্ক: রান্নায় স্বাদ বাড়াতে ধনে পাতার তুলনা নেই । বিভিন্ন খাবারে এই পাতা ছড়িয়ে দিলে স্বাদ বেড়ে যায়। পাশাপাশি এর থেকে বেরিয়ে আসে এক মিষ্টি গন্ধ। এ কারণে সারা বছরই এই পাতার চাহিদা থাকে।


এই পাতার স্বাদ ও গন্ধ নিয়ে মেতে থাকলেও, অনেকেই এর ভেষজ গুণ সম্পর্কে জানেন না। পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, এই পাতা পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এমনকী বিভিন্ন অসুখ দূরে রাখে। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, আয়রন, ক্যালসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই সব উপাদানই শরীরের জন্য উপকারী। ধনেপাতা খেলে আরও যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-


ভিটামিন কে: অনেকেই ভিটামিন কে-এর উপকারিতা সম্পর্কে জানেন না। ভিটামিন কে শরীরের বিভিন্ন কাজে লাগে। বিশেষ করে হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখার কাজে এর জুড়ি নেই। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, অস্টিওপোরোসিসের মতো হাড়ের ক্ষয়জনিত অসুখ দূর করতে পারে এই ভিটামিন। এই ভিটামিন হৃদেরাগজনিত নানা জটিলতায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমায়। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন কে দেহে থাকা দরকার। এক্ষেত্রে ধনে পাতা হল এই ভিটামিনের অন্যতম সেরা উৎস।


ক্যানসার প্রতিরোধে: স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট ​ওয়েব এমডি'র এক প্রতিবেদন বলছে, ধনে পাতায় অনেকটা পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহে উপস্থিত ক্ষতিকর পদার্থ দূর করে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যানসার সেলের বৃদ্ধি রুখে দিতে পারে এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়াও এই উপাদান শরীর ও ত্বকের বয়স বাড়তে দেয় না। পাশাপাশি হৃদরোগ  প্রতিরোধেও এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। তাই নিয়মিত ধনে পাতা খাওয়া উপকারী।


হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে ধনে পাতা বেশ কার্যকর। এতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ডাউরেটিক হিসাবে কাজ করে। ফলে দেহে উপস্থিত থাকা অতিরিক্ত সোডিয়াম বেরিয়ে যায়। এই কারণে উচ্চ রক্তচাপ কমে। আর উচ্চ রক্তচাপ কমলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটা হ্রাস পায়। এছাড়া কিছু গবেষণায় প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল কমিয়ে দিতে পারে ধনে পাতা। এ কারণে হৃৎপিণ্ড সুস্থ থাকে।


সুগার কমায়: ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত ধনে পাতা খেতে পারেন। এতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা শরীরের বেশ কিছু উৎসেচককে সক্রিয় করে তোলে। এরপর এই উৎসেচকগুলি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক থাকে।


প্রদাহ দূর করে​: ধনে পাতায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা প্রদাহ কমায়। বিশেষ করে এই পাতায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এই কাজটিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। আর এই বিষয়টি গবেষণায় ইতিমধ্যেই প্রমাণিত। প্রদাহ কমাতে পারে বলেই ধনে পাতা ক্যানসার, হাড়ের সমস্যা,হৃদরোগ, স্ট্রোক, বিভিন্ন সংক্রমণ, ব্যথার মতো জটিলতর অসুখ প্রতিরোধ করতে পারে। তাই নিয়মিত ধনে পাতা খাওয়া প্রয়োজন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.