দাম্পত্য জীবন সুখের হবে, শুধু মেনে চলুন বাস্তুর এই নিয়ম

 


ODD বাংলা ডেস্ক: পারিবারিক কলহ হোক বা আর্থিক সমস্যা, এই সমস্ত কিছুরই সমাধান রয়েছে এই শাস্ত্রে। তেমনই দাম্পত্য কলহ থেকে মুক্তি পেতে ও বিবাহিত জীবন সুখে কাটানোরও পথ দেখিয়ে থাকে বাস্তু শাস্ত্র। বাস্তু অনুযায়ী বেশ কিছু নিয়ম মেনে চললে দাম্পত্য জীবন সুখী তো হবেই, পাশাপাশি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রেম ও আকর্ষণও বৃদ্ধি পাবে।


সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য কী করবেন?


১. প্রেম ও আকর্ষণের দিক উত্তর-উত্তর-পশ্চিমে নিজের শয়নকক্ষ বানাতে পারেন। এই দিকে শয়নকক্ষ হলে পারস্পরিক সম্পর্ক মজবুত হয়, এর ফলে জীবনে ভালোবাসা বজায় থাকে।


২. মানসিক অবসাদ বা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ-কলহ চলতে থাকলে ঘুমানোর সময় মাথার কাছে বাঁসী রেখে ঘুমালে সুফল পেতে পারেন।


৩. দাম্পত্য সম্পর্কে মাধুর্যের জন্য উত্তর দিকে নৃত্যরত ময়ূর বা রাধা-কৃষ্ণের আলিঙ্গনবদ্ধ ছবি লাগানো উচিত।


৪. সন্তান লাভের ইচ্ছা থাকলে বালগোপাল অথবা গরু-বাছুড়ের ছবি লাগানো উচিত।


৫. ভালোবাসা ও শয়নকক্ষের সৌন্দর্য বজায় রাখার জন্য এখানে মানি প্লান্ট রাখতে পারেন। এটি শুক্রের কারক। মানি প্লান্ট লাগালে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক মধুর হয়।


৬. বাস্তু অনুযায়ী সবসময় দক্ষিণ বা পূর্ব দিকে মাথা রেখে ঘুমানো উচিত। এর ফলে পৃথিবীর চুম্বকীয় ক্ষেত্র অনুযায়ী দীর্ঘায়ু লাভ করা যায় এবং ভালো ঘুম হয়।


সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী এই কাজগুলি ভুলেও করবেন না—


১. স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে মজবুত ও ভালোবাসায় ভরিয়ে রাখার জন্য বিমের নীচে কখনও বিছানা রাখবেন না। বিম বিচ্ছিন্নতার প্রতীক যা সম্পর্কে দূরত্ব সৃষ্টি করে। তবে বিম থেকে সরিয়ে বিছানা রাখা সম্ভব না-হলে বিমে বাঁসী বা পবনঘন্টি টাঙিয়ে দিতে পারেন। এর ফলে বাস্তু দোষ দূর হবে।


২. বাস্তু অনুযায়ী শয়নকক্ষে আয়না থাকা উচিত নয়। তবে থাকলে তা ঢেকে ঘুমানো উচিত।


৩. লোহার আসবাব রাখবেন না। আবার ধনুষাকৃতি, অর্ধচন্দ্রাকৃতি বা বৃত্তাকৃতি কোনও আসবাব রাখবেন না। এর ফলে দম্পতি অসুস্থ থাকতে পারে। আয়তাকৃতি, চতুর্ভূজাকৃতি এবং কাঠের ফার্নিচার বাস্তু অনুযায়ী শুভ।


৪. বাস্তু দোষ প্রতিরোধ করার জন্য কক্ষে তীব্র আলো রাখবেন না। এই লাইট এমন হওয়া উচিত, যাতে বিছানার ওপর সরাসরি আলো না-পড়ে। আলো সবসময় পিছন বা বাঁ দিক থেকে আসা উচিত।


৫. শয়নকক্ষের দরজার একদম কাছে বিছানা রাখবেন না। এমন হলে মনে অশান্তি ও ব্যাকুলতা থাকবে।


৬. শয়নকক্ষে শৌচালয় থাকলে, তার দরজা সবসময় বন্ধ রাখবেন। তা না-হলে শৌচালয়ের নেতিবাচক শক্তি আপনার জীবনে তিক্ততা সৃষ্টি করবে। আবার বিছানার তলায় কখনও নোংরা বা ভাঙাচোরা বস্তু রাখবেন না।


৭. শয়নকক্ষের দেওয়াল সাদা বা লাল রঙের হওয়া উচিত নয়। গাঢ় রঙের পরিবর্তে হাল্কা রঙ ব্যবহার করতে পারেন। সবুজ, গোলাপী ও আকাশী রঙ জীবনে ভালো প্রভাব ফেলে ও ইতিবাচক শক্তি সৃষ্টি করে। পারস্পরিক মতভেদ দূর করার জন্য এই রঙের পর্দা ও বিছানার চাদর ব্যবহার করতে পারেন।


৮. শয়নকক্ষে অপরাধ, অশান্তি, যাতনার ছবি লাগাবেন না। নিজের বিবাহের ছবি রাখলে ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়।


৯. নিজের শয়নকক্ষে সকলকে আসতে দেবেন না। অতিথি বা বন্ধুদের বৈঠকখানায় বসান। বাস্তু মতে শয়নকক্ষে অতিথিদের আনলে নেতিবাচক শক্তির স্তর বৃদ্ধি পায়। এর ফলে ঝগড়া লড়াই বাড়তে পারে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.