এই রাশির ভাগ্য উজ্জ্বল করে বিশেষ ৩ রত্ন, সঙ্গে থাকবে বুধ-শুক্র-শনির আশীর্বাদ

 


ODD বাংলা ডেস্ক: ব্যক্তির ভবিষ্যৎ গণনার ক্ষেত্রে তাঁর কোষ্ঠীর লগ্ন স্থানের বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। জন্মলগ্ন অনুযায়ী সেই ব্যক্তির ভবিষ্যৎ জানা যায়। ব্যক্তি যদি তাঁর লগ্ন অনুযায়ী রত্ন ধারণ করে, তা হলে তাঁদের ভাগ্যোদয় সম্ভব। কোষ্ঠীতে কোনও গ্রহ শুভ গ্রহ দুর্বল হলে তার শক্তি বৃদ্ধির জন্য এই রত্ন অত্যন্ত কার্যকরী। উল্লেখ্য, জ্যোতিষ শাস্ত্রে ৯টি রত্ন ও তাদের উপরত্ন সম্পর্ক জানানো হয়েছে। প্রতিটি রত্ন কোনও না-কোনও গ্রহের প্রতিনিধিত্ব করে। রত্ন ধারণের ফলে গ্রহ মজবুত হয় ও শুভ ফলাফল বিস্তার করতে শুরু করে। যে জাতকদের জন্ম মিথুন লগ্নে তাঁরা কোন কোন রত্ন ধারণ করলে ভাগ্যোন্নতি ঘটাতে পারবেন, তা জানানো হল এখানে।


পান্না


মিথুন লগ্নের জাতকদের আত্মবিশ্বাস কম হলে, নিজের মনে কথা খোলাখুলি বলতে না-পারলে, অসুস্থ থাকলে তাঁদের পান্না ধারণ করা উচিত। পান্না ধারণ করার সঙ্গে সঙ্গে কোষ্ঠীতে বুধ সক্রিয় হয়ে যায়। বুধ মিথুন লগ্নের অধিপতি। তাই বুধের শুভ পরিস্থিতিই কাম্য। পান্না ধারণ করলে মিথুন লগ্নের জাতকদের আত্মবল বৃদ্ধি পায়। শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকে। কনিষ্ঠা অর্থাৎ সবচেয়ে ছোট আঙুলে বুধবার এই রত্ন ধারণ করা উচিত।


হীরে


মিথুন জাতকদের মেধা শুক্রের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এই গ্রহ সমৃদ্ধির কারক। সন্তান সুখের জন্য এই রত্ন ধারণ শুভ। তবে কোনও অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর সঙ্গে পরামর্শ করে এটি ধারণ করা উচিত। উচ্চশিক্ষা লাভ বা প্রতিযোগিতায় সাফল্য লাভের আকাঙ্খা থাকলে এই রত্ন ধারণ করতে পারেন। মিথুন লগ্নের জাতকদের শুক্রের রাশি পঞ্চম স্থানে পড়লে হীরে এঁদের জন্য যোগকারক রত্ন হয়ে ওঠে। লগ্নেশ বুধ ও শুক্র পরস্পরের মিত্র। এই দুই গ্রহের যুতি বুদ্ধি তীব্র করে। এঁদের ব্যবসায়িক ক্ষমতাও প্রবল হয়। ব্যবসায়ীরা হীরে ধারণ করলে উন্নতি লাভ করতে পারেন।


নীলম


শনি ত্রিকোণের অধিপতি হওয়ায় মিথুন লগ্নের জন্য শুভ। নীলম শনির রত্ন। শনির মহাদশা থেকে মুক্তি পেতে এটি ধারণ করা উচিত। নীলমের সঙ্গে পান্না পরা যেতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.