লক্ষ্মীর আশীর্বাদ থাকে, বাবা-স্বামীর জীবনকে সুখ-সৌভাগ্যে ভরিয়ে দেন এই তারিখে জন্মানো মহিলারা

 


ODD বাংলা ডেস্ক: সংখ্যা জ্যোতিষ অনুযায়ী ব্যক্তির জন্ম তারিখ তাঁদের স্বভাব, ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে অনেক কিছু জানিয়ে থাকে। এমন কিছু জন্ম তারিখ রয়েছে, যে তারিখে জন্মানো মেয়েরা অত্যন্ত ভাগ্যবান হন। এঁরা নিজের সৌভাগ্যের জোরে স্বামী ও বাবার ভাগ্য পাল্টে ফেলতে পারেন। সংখ্যা জ্যোতিষে জন্ম তারিখের যোগফলকে মূলাঙ্ক বলা হয়। এই মূলাঙ্কের সাহায্যেই ব্যক্তির ভবিষ্যৎ ও ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে জানা যায়। জ্যোতিষ অনুযায়ী যে মেয়েদের মূলাঙ্ক ৩, অর্থাৎ যে কোনও মাসের ৩, ১২, ২১ বা ৩০ তারিখে যাঁদের জন্মদিন তাঁরা বাবা ও স্বামীর জন্য সৌভাগ্যবতী হন। শাস্ত্র মতে সৌভাগ্য নিয়ে জন্মায় এই মেয়েরা। এঁদের আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই বাবা ও স্বামীর ভাগ্য চমকে যায়।


লক্ষ্মীর আশীর্বাদ থাকে এঁদের ওপর


সংখ্যা জ্যোতিষ অনুযায়ী এই তারিখে জন্মগ্রহণকারী মেয়েরা যে ঘরে জন্মগ্রহণ করে, সেই ঘর ধন-সম্পত্তিতে ভরে যায়। সেখানে কখনও অর্থাভাব থাকে না। স্বয়ং লক্ষ্মীর আশীর্বাদ থাকে এই মেয়েদের ওপর। এঁরা এক বার যে কাজ করার পরিকল্পনা করে নেন, তা করেই দম নেন। শাস্ত্র মতে এই মেয়েরা যেখানে যান সেখানেই আনন্দ ও সৌভাগ্যের আগমন ঘটে। এই মূলাঙ্কের চাকরিজীবী মহিলারা অফিসেও সকলের প্রিয় হন এবং ভালো ভাবে কাজ করেন। এঁরা জীবনে পৃথক কিছু করার স্বপ্ন দেখেন এবং তা পুরো করার জন্য পরিশ্রম করে যান।


সমাজ কল্যাণের কাজ করেন


এই মূলাঙ্কের জাতিকাদের সামাজিক জীবন খুব ভালো। সমাজ কল্যাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন এই মেয়েরা। কর্মক্ষেত্রে নিজের কাজের মাধ্যমে সকলকে মুগ্ধ করতে পারেন। অফিসে উচ্চপদ লাভ করেন এঁরা। নিজের স্বভাবের দ্বারা সকলের মন জয় করে নিতে পারেন এঁরা। এই মূলাঙ্কের মেয়েদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণ থাকে। সকলে তাঁদের কথা শুনতে প্রস্তুত থাকেন। এঁদের আর্থিক পরিস্থিতিও খুব ভালো থাকে। এই মহিলাদের আত্মসম্মান বোধ চরমে থাকে। এঁরা নিজের জোরে সমস্ত কিছু লাভ করতে পারেন। কিছু করার জন্য কারও সাহায্যের প্রয়োজন হয় না। এঁরা চ্যালেঞ্জকে ভয় পান না। কড়া হাতে সমস্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেন। বিলাসবহুল জীবনযাপন করতে ভালোবাসেন এই মূলাঙ্কের জাতিকারা। মিশুকে স্বভাবের এই মহিলাদের বন্ধু সংখ্যাও অনেক বেশি।


বাবা ও স্বামীর জন্য ভাগ্যবান হন এই মেয়েরা


এই তারিখে জন্মগ্রহণকারী মেয়েরা নিজের প্রচেষ্টা ও পরিশ্রমের জোরে জনপ্রিয়তা অর্জন করেনই, পাশাপাশি এঁরা নিজের বাবার জন্যও অত্যন্ত সৌভাগ্যবতী হন। আবার যে পরিবারে এঁদের বিয়ে হয়, সেখানেও এঁরা সকলের মন জয় করে নেন। বিয়ের পর এই জাতিকাদের স্বামীর ভাগ্যবৃদ্ধি ঘটে। শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের জীবনে আনন্দে আগমন ঘটে। যে পরিবারে বিয়ে হয়, সেখানে কখনও ধন-ধান্যের অভাব দেখা দেয় না। স্বামীর প্রতি সৎ হন এঁরা। পরিবারের সকল সদস্যদের এক সুতোয় বেঁধে রাখতে পারেন এই মূলাঙ্কের জাতিকারা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.