চুলের জট ছাড়ানোর উপায়

 


ODD বাংলা ডেস্ক: ভ্যাপসা গরমে ঘামে চুল চিটচিটে হয়ে জট বেঁধে থাকে। চুলের জট ছাড়াতে গিয়ে অনেকেরই নাজেহাল অবস্থা হয়। বিশেষ করে যাদের চুল লম্বা তাদেরকে পড়তে হয় বিপাকে। তবে খুব সহজে ঘরোয়া কিছু উপায়েই এই জট ছড়ানো সম্ভব।


কী করবেন-


তেল ব্যবহার : চুলের শুষ্কতা এড়াতে নিয়মিত চুলে তেল দেওয়া প্রয়োজন। তাছাড়াও অ্যান্টিস্ট্যাটিক হিসাবে তেল খুবই প্রয়োজনীয়। চুলের যত্নে নিতে পারেন স্টিম বাথ। নারকেল তেল ছাড়াও অলিভ অয়েল, ক্যাস্টার অয়েল, বাদাম তেল চুলের জন্য খুবই ভালো।  


কন্ডিশনার লাগানোর নিয়ম : চুলের জট এড়াতে অনেকেই কন্ডিশনার ব্যবহার করেন। তারপরও জটের সমস্যা থেকেই যায়। সেক্ষেত্রে কন্ডিশনার লাগানোর সময় কয়েকটি জিনিস খেয়াল করতে হবে। ভিজে চুলে কন্ডিশনার শুধুমাত্র চুলের ওপরের অংশে লাগাতে হবে। গোড়ায় ভুলেও লাগাবেন না কন্ডিশনার। লাগানোর পর চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলা জরুরি।


চুল আঁচড়ানো : চুলে জট থাকলে ভুলেও আগে গোড়া থেকে চুল আঁচড়াবেন না। ডগা থেকে অল্প অল্প করে চুল নিয়ে আঁচড়ে যান।


চিরুনি ব্যবহার : বলা হচ্ছে, চুলের জট ছাড়াতে আঙুলের চেয়ে ভালো আর কিছু নেই।  তবে জটের সমস্যা মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গেলে বড় দাঁড়ের চিরুনি ব্যবহার করতে পারেন। চিরুনি দিয়ে জট ছাড়াতে গেলে , চুল বেশি উঠে যায়। ভুলেও ভেজা চুল আঁচড়াবেন না।  


তোয়ালে ব্যবহার :  স্নানের পর খসখসে তোয়ালে দিয়ে চুল মুছতে যাবেন না। মাইক্রোফাইবারের তোয়ালে ব্যবহার করতে পারেন। এই ধরনের ফাইবার চুলের থেকে নরম হয়। আবার তাড়াতাড়ি জলও শুষে নেয়। তবে চুল ভালো রাখতে নরম সুতির গামছার জুড়ি নেই।


বিনুনি- চুল বিনুনি করে রাখতে জট কম হয়। তেল মেখেও চুল বিনুনি করে রাখতে পারেন। এছাড়াও সুতির চেয়ে সিল্কের বালিশের কভারে শুয়ে দেখতে পারেন, এতে চুলের জট কম হয়।


কতদিন পর পর চুল কাটবেন- চুলের আগা থেকেই জট পাকায়। ফলে ৪ থেকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে একবার চুলের আগা ছাঁটা জরুরি। এতে চুল আরও সতেজ হয়। এছাড়াও চুলের জট এড়াতে খোলা চুলে শোওয়া থেকে বিরত থাকুন। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.