উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে জীবনযাপনে আনুন ৫ পরিবর্তন

 


ODD বাংলা ডেস্ক: উচ্চ রক্তচাপ একটি পরিচিত সমস্যা। একসময় মনে করা হতো, কেবল বয়স্ক ব্যক্তিরা এতে আক্রান্ত হন। কিন্তু এখন অল্পবয়সীরাও এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।  আবার গ্রামের তুলনায় শহরের মানুষ উচ্চ রক্তচাপে বেশি ভোগেন।


উচ্চ রক্তচাপকে বলা হয় ‘নীরব ঘাতক’। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ে। এ কারণে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ খুবই জরুরি।


বিশেষজ্ঞদের মতে, জীবনযাপনে ইতিবাচক পরিবর্তনের মাধ্যমে এ রোগের ঝুঁকি এড়াতে বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। কী করবেন-


স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন: অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়। স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখার মাধ্যমে, আপনি কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের ওপর চাপ  এবং রক্তচাপ কমাতে পারেন। ওজন কমাতে শাকসবজি, ফল, গোটা শস্য, চর্বিহীন প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি খাদ্যতালিকায় যুক্ত করুন। পাশাপাশি ওজন কমাতে নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করুন।


সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন: উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন। এজন্য ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য, চর্বিহীন প্রোটিন এবং কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবারের ওপর জোর দিন। এছাড়া প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্ট ফুড এবং চিনিযুক্ত পানীয় গ্রহণ সীমিত করুন। কারণ এসব খাবারে সোডিয়াম এবং অস্বাস্থ্যকর চর্বি বেশি থাকে।


সোডিয়াম গ্রহণ সীমিত করুন: উচ্চ সোডিয়াম গ্রহণ উচ্চ রক্তচাপ বাড়ায়। লবণাক্ত খাবার যেমন প্রক্রিয়াজাত মাংস, টিনজাত স্যুপ, ফাস্ট ফুড এবং চিপসের মতো স্ন্যাকস খাওয়া কমিয়ে দিন। বেশি মসলাযুক্ত খাবার, সস এবং রেস্তোরাঁর অনেক খাবারে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে। এসব খাবার খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হোন। উচ্চ রক্তচাপ থাকলে প্রতিদিন ২৩০০ মিলিগ্রাম বা তার চেয়ে কম সোডিয়াম খাওয়া যেতে পারে।


নিয়মিত শারীরিক কার্যক্রমে যুক্ত থাকুন: নিয়মিত ব্যায়াম একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখতে এবং রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। দ্রুত হাঁটা, জগিং, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো বা নাচের মতো কার্যকলাপ রক্তচাপ কমাতে উপকারী হতে পারে। প্রয়োজনে কোনো ব্যায়াম শুরুর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


মানসিক চাপ কমান: দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম কারণ। মানসিক চাপ কমাতে স্বাস্থ্যকর উপায় বের করুন। এর মধ্যে গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, মেডিটেশন, যোগব্যায়ামের মতো মন শান্ত করার কৌশলগুলো অনুসরণ করতে পারেন। এছাড়াও আনন্দ দেয় এবং মন ভালো করতে সহায়তা করে এমন কাজ করুন। এজন্য আপনার শখের কোনো কাজ, প্রিয়জনের সাথে সময় কাটানো বা প্রকৃতির সান্নিধ্যে যেতে পারেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.